আতাউর রহমান সায়েম
জন্ম-জয়ন্তী: জন্ম নিয়ে যে উৎসব = জয়ন্তী। তাই জন্মবার্ষিক অনুষ্ঠান অর্থে ‘জয়ন্তী’ শব্দের আগে ‘জন্ম’ লেখা ঠিক না। শুদ্ধ শব্দ হবে ‘জয়ন্তী’। ‘জয়ন্তী’ শব্দের অর্থ কারও জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর স্মরণে ও সম্মানে অনুষ্ঠিত উৎসব। ‘নজরুলজয়ন্তী’ বা ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী’। ‘জয়ন্তী’ শব্দের আগে ‘জন্ম’ যোগ করার কোনো দরকার নেই।
পান্তাভাত: ‘পান্তা’ মানে জলে ভিজিয়ে রাখা বাসিভাত। পান্তা মিশ্রিত ভাত = পান্তা। এটি সমাস সাধিত শব্দ। ‘পান্তা’ শব্দের সঙ্গেই ‘ভাত’ যুক্ত আছে। তাই পান্তা লেখার পর আবার ভাত লেখা বাহুল্য দোষ হবে। শুদ্ধ হবে পান্তা।
জন্মদিন: ‘জন্মদিন’ অপেক্ষা ‘জন্মবার্ষিক’ প্রয়োগ করা যুক্তিযুক্ত। কারণ স্বভাবতই প্রশ্ন আসে ‘জন্মদিন’ ও ‘জন্মরাত’ প্রসঙ্গে।
প্রায়, প্রায়শ: ‘প্রায়’ অর্থ কাছাকাছি, কিন্তু ‘প্রায়শ’ মানে মাঝে-মাঝে। যেমন: ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছিল। আমি প্রায়শ ঐতিহাসিক জায়গায় ভ্রমণ করতে যাই।
সংজ্ঞা/ সংজ্ঞার্থ/ সংজ্ঞায়ন: Definition শব্দের বাংলা অর্থ ‘সংজ্ঞা’ লেখার বহুল প্রবণতা লক্ষণীয়। এটি ভুল। প্রশ্নপত্রে লেখা হয় সংজ্ঞা (Definition) দাও। কিন্তু Definition শব্দের বাংলা অর্থ সংজ্ঞা নয়, সংজ্ঞার্থ বা সংজ্ঞায়ন। ‘সংজ্ঞা’ শব্দের অর্থ হলো ‘নাম’ বা ‘পরিভাষা’। ‘সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য’, অর্থাৎ নামবাচক বিশেষ্য। বস্তুত অপাদান কারক, অপনিহিতি, বিপ্রকর্ষ, অব্যয়ীভাব সমাস প্রভৃতি হচ্ছে সংজ্ঞা বা পরিভাষা। সুতরাং ‘অপাদান কারকের সংজ্ঞা দাও’ বাক্যের অর্থ হবে অপাদান কারকের ‘নাম’ দাও বা অপাদান কারকের ‘পরিভাষা’ দাও। কিন্তু এটি কোনো অর্থপূর্ণ বাক্য হতে পারে না। বলা যেতে পারে অপাদান কারকের ‘সংজ্ঞার্থ’ দাও কিংবা অপাদান কারকের ‘ব্যাখ্যা’ দাও। তাই ইংরেজি Definition শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ সংজ্ঞার্থ বা সংজ্ঞায়ন।
কাব্যগ্রন্থ: ‘কাব্য’ মানে কবিতার বই। আবার গ্রন্থ মানে বই। সুতরাং ‘কাব্য’ শব্দের শেষে ‘গ্রন্থ’ যোগ করা ভুল। ‘কাব্য’ শব্দের সঙ্গে ‘বই’ যোগ করলে অর্থ হয় ‘কবিতার বই বই’। এটি একটি হাস্যকর বাগ্ভঙ্গি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বলাকা’ একটি কাব্য, কাব্যগ্রন্থ নয়।
হল, হলো: আবাসিক হল, সিনেমা হল শুদ্ধ রূপ। কিন্তু নিচে উদাহরণ অর্থে দেওয়া হলো, বর্ণিত হলো লেখা উচিত।
সরকারি, সহকারী: ‘সরকারি’ ফারসি শব্দ। তাই বিদেশি প্রত্যয়ে ‘ই’ হবে। কিন্তু ‘সহকারী’ সংস্কৃত শব্দ হওয়ায় ‘ঈ’ প্রত্যয় ব্যবহার হবে। যেমন: সরকারি চাকরি, সহকারী শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক প্রভৃতি।
উচ্চবালিকা বিদ্যালয়/ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়: ‘ইংরেজিতে লেখা হয় ‘...Girls’ High School’ কিন্তু বাংলায় লিখতে গিয়ে কেউ কেউ লেখেন ‘...বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’, কেউ বা লেখেন ‘...উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেবল বালিকারাই পড়ে, সেই সব বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডের দিকে তাকালে এর সত্যতা মেলে। এটি শুদ্ধ নয়, লেখা উচিত, ‘বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’। যেহেতু ইংরেজি Primary School, High School ও College প্রভৃতির বাংলারূপ যথাক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়। তাই ‘Girls High School’ ও ‘Girls College’-এর বাংলারূপ হবে যথাক্রমে ‘বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’ ও ‘বালিকা মহাবিদ্যালয়’।
ইত্যাদি/ প্রভৃতি/ প্রমুখ: ইংরেজি ‘etc.’-এর আগে কমা ব্যবহৃত হলেও বাংলায় ‘ইত্যাদি’; ‘প্রভৃতি’; ‘প্রমুখ’-এর আগে কমার প্রয়োগ উচিত নয়। যেমন: এখন বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যয়, উপসর্গ, সমাস, বচন প্রভৃতি শব্দতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়। বাংলা ব্যাকরণে গবেষণায় অবদান রেখেছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. এনামুল হক প্রমুখ।
প্রেক্ষিত, পরিপ্রেক্ষিত: ইদানীং ‘পরিপ্রেক্ষিত’ বোঝাতে ‘প্রেক্ষিত’ শব্দটি ভুলভাবে অনেকেই ব্যবহার করছেন। ‘পরিপ্রেক্ষিত’ মানে দৃশ্যমান বিষয়ের বিভিন্ন অংশের আকৃতি; চিত্রে প্রতিফলন; দূরত্ব; নৈকট্য; পটভূমিকা; পরিবেষ্টনী, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বোঝায়। ইংরেজি backgroung/perspective-এর মানে প্রেক্ষিত নয়; পরিপ্রেক্ষিত লেখাই সংগত। যেমন: ওই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে এর পরিপ্রেক্ষিত ভাবা উচিত।
জবাবদিহিতা: জবাবদিহি একটি বিশেষ্য পদ। এর সঙ্গে ‘তা’ প্রত্যয় যোগ করে পুনরায় বিশেষ্য করার প্রয়োজন নেই। এ রকম অশুদ্ধ শব্দ হচ্ছে ‘দীর্ঘসূত্রিতা’; ‘মতদ্বৈততা’। এগুলোর শুদ্ধরূপ হচ্ছে ‘দীর্ঘসূত্রতা’; ‘মতদ্বৈত’।
এতদ্বারা/ এতদ্দ্বারা: অনেকে লেখেন, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে,...। এত্ + দ্বারা = এতদ্বারা। ‘এত্ (এত)’ শব্দের অর্থ অতিরিক্ত, বিশাল বা বেশি পরিমাণ। সুতরাং ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে শব্দের অর্থ হচ্ছে: অতিরিক্ত দ্বারা, বিশাল দ্বারা বা বেশি পরিমাণ দ্বারা জানানো যাচ্ছে। অনেকে ‘এটার দ্বারা/ইহার দ্বারা/এর দ্বারা জানানো যাচ্ছে’ অর্থ বোঝাতে লেখেন এতদ্বারা। এটা শুধু ভুল নয়; মারাত্মক ভুল। অন্যদিকে এতদ্ (ৎ) + দ্বারা = এতদ্দ্বারা। ‘এতদ্’ অর্থ এটা, ইহা বা এর। সুতরাং ‘এতদ্দ্বারা জানানো যাচ্ছে’ বাক্যের অর্থ হলো: এর দ্বারা, এটার দ্বারা, ইহার দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে,...। তেমনি তদ্দ্বারা, যদ্দ্বারা শব্দ লিখতেও অনেকে ভুল করে বসেন। কখনো তদ্বারা বা যদ্বারা লেখা ঠিক না।
লেখক: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।
জন্ম-জয়ন্তী: জন্ম নিয়ে যে উৎসব = জয়ন্তী। তাই জন্মবার্ষিক অনুষ্ঠান অর্থে ‘জয়ন্তী’ শব্দের আগে ‘জন্ম’ লেখা ঠিক না। শুদ্ধ শব্দ হবে ‘জয়ন্তী’। ‘জয়ন্তী’ শব্দের অর্থ কারও জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর স্মরণে ও সম্মানে অনুষ্ঠিত উৎসব। ‘নজরুলজয়ন্তী’ বা ‘রবীন্দ্রজয়ন্তী’। ‘জয়ন্তী’ শব্দের আগে ‘জন্ম’ যোগ করার কোনো দরকার নেই।
পান্তাভাত: ‘পান্তা’ মানে জলে ভিজিয়ে রাখা বাসিভাত। পান্তা মিশ্রিত ভাত = পান্তা। এটি সমাস সাধিত শব্দ। ‘পান্তা’ শব্দের সঙ্গেই ‘ভাত’ যুক্ত আছে। তাই পান্তা লেখার পর আবার ভাত লেখা বাহুল্য দোষ হবে। শুদ্ধ হবে পান্তা।
জন্মদিন: ‘জন্মদিন’ অপেক্ষা ‘জন্মবার্ষিক’ প্রয়োগ করা যুক্তিযুক্ত। কারণ স্বভাবতই প্রশ্ন আসে ‘জন্মদিন’ ও ‘জন্মরাত’ প্রসঙ্গে।
প্রায়, প্রায়শ: ‘প্রায়’ অর্থ কাছাকাছি, কিন্তু ‘প্রায়শ’ মানে মাঝে-মাঝে। যেমন: ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছিল। আমি প্রায়শ ঐতিহাসিক জায়গায় ভ্রমণ করতে যাই।
সংজ্ঞা/ সংজ্ঞার্থ/ সংজ্ঞায়ন: Definition শব্দের বাংলা অর্থ ‘সংজ্ঞা’ লেখার বহুল প্রবণতা লক্ষণীয়। এটি ভুল। প্রশ্নপত্রে লেখা হয় সংজ্ঞা (Definition) দাও। কিন্তু Definition শব্দের বাংলা অর্থ সংজ্ঞা নয়, সংজ্ঞার্থ বা সংজ্ঞায়ন। ‘সংজ্ঞা’ শব্দের অর্থ হলো ‘নাম’ বা ‘পরিভাষা’। ‘সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য’, অর্থাৎ নামবাচক বিশেষ্য। বস্তুত অপাদান কারক, অপনিহিতি, বিপ্রকর্ষ, অব্যয়ীভাব সমাস প্রভৃতি হচ্ছে সংজ্ঞা বা পরিভাষা। সুতরাং ‘অপাদান কারকের সংজ্ঞা দাও’ বাক্যের অর্থ হবে অপাদান কারকের ‘নাম’ দাও বা অপাদান কারকের ‘পরিভাষা’ দাও। কিন্তু এটি কোনো অর্থপূর্ণ বাক্য হতে পারে না। বলা যেতে পারে অপাদান কারকের ‘সংজ্ঞার্থ’ দাও কিংবা অপাদান কারকের ‘ব্যাখ্যা’ দাও। তাই ইংরেজি Definition শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ সংজ্ঞার্থ বা সংজ্ঞায়ন।
কাব্যগ্রন্থ: ‘কাব্য’ মানে কবিতার বই। আবার গ্রন্থ মানে বই। সুতরাং ‘কাব্য’ শব্দের শেষে ‘গ্রন্থ’ যোগ করা ভুল। ‘কাব্য’ শব্দের সঙ্গে ‘বই’ যোগ করলে অর্থ হয় ‘কবিতার বই বই’। এটি একটি হাস্যকর বাগ্ভঙ্গি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বলাকা’ একটি কাব্য, কাব্যগ্রন্থ নয়।
হল, হলো: আবাসিক হল, সিনেমা হল শুদ্ধ রূপ। কিন্তু নিচে উদাহরণ অর্থে দেওয়া হলো, বর্ণিত হলো লেখা উচিত।
সরকারি, সহকারী: ‘সরকারি’ ফারসি শব্দ। তাই বিদেশি প্রত্যয়ে ‘ই’ হবে। কিন্তু ‘সহকারী’ সংস্কৃত শব্দ হওয়ায় ‘ঈ’ প্রত্যয় ব্যবহার হবে। যেমন: সরকারি চাকরি, সহকারী শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক প্রভৃতি।
উচ্চবালিকা বিদ্যালয়/ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়: ‘ইংরেজিতে লেখা হয় ‘...Girls’ High School’ কিন্তু বাংলায় লিখতে গিয়ে কেউ কেউ লেখেন ‘...বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’, কেউ বা লেখেন ‘...উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেবল বালিকারাই পড়ে, সেই সব বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডের দিকে তাকালে এর সত্যতা মেলে। এটি শুদ্ধ নয়, লেখা উচিত, ‘বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’। যেহেতু ইংরেজি Primary School, High School ও College প্রভৃতির বাংলারূপ যথাক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়। তাই ‘Girls High School’ ও ‘Girls College’-এর বাংলারূপ হবে যথাক্রমে ‘বালিকা উচ্চবিদ্যালয়’ ও ‘বালিকা মহাবিদ্যালয়’।
ইত্যাদি/ প্রভৃতি/ প্রমুখ: ইংরেজি ‘etc.’-এর আগে কমা ব্যবহৃত হলেও বাংলায় ‘ইত্যাদি’; ‘প্রভৃতি’; ‘প্রমুখ’-এর আগে কমার প্রয়োগ উচিত নয়। যেমন: এখন বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যয়, উপসর্গ, সমাস, বচন প্রভৃতি শব্দতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়। বাংলা ব্যাকরণে গবেষণায় অবদান রেখেছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. এনামুল হক প্রমুখ।
প্রেক্ষিত, পরিপ্রেক্ষিত: ইদানীং ‘পরিপ্রেক্ষিত’ বোঝাতে ‘প্রেক্ষিত’ শব্দটি ভুলভাবে অনেকেই ব্যবহার করছেন। ‘পরিপ্রেক্ষিত’ মানে দৃশ্যমান বিষয়ের বিভিন্ন অংশের আকৃতি; চিত্রে প্রতিফলন; দূরত্ব; নৈকট্য; পটভূমিকা; পরিবেষ্টনী, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বোঝায়। ইংরেজি backgroung/perspective-এর মানে প্রেক্ষিত নয়; পরিপ্রেক্ষিত লেখাই সংগত। যেমন: ওই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে এর পরিপ্রেক্ষিত ভাবা উচিত।
জবাবদিহিতা: জবাবদিহি একটি বিশেষ্য পদ। এর সঙ্গে ‘তা’ প্রত্যয় যোগ করে পুনরায় বিশেষ্য করার প্রয়োজন নেই। এ রকম অশুদ্ধ শব্দ হচ্ছে ‘দীর্ঘসূত্রিতা’; ‘মতদ্বৈততা’। এগুলোর শুদ্ধরূপ হচ্ছে ‘দীর্ঘসূত্রতা’; ‘মতদ্বৈত’।
এতদ্বারা/ এতদ্দ্বারা: অনেকে লেখেন, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে,...। এত্ + দ্বারা = এতদ্বারা। ‘এত্ (এত)’ শব্দের অর্থ অতিরিক্ত, বিশাল বা বেশি পরিমাণ। সুতরাং ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে শব্দের অর্থ হচ্ছে: অতিরিক্ত দ্বারা, বিশাল দ্বারা বা বেশি পরিমাণ দ্বারা জানানো যাচ্ছে। অনেকে ‘এটার দ্বারা/ইহার দ্বারা/এর দ্বারা জানানো যাচ্ছে’ অর্থ বোঝাতে লেখেন এতদ্বারা। এটা শুধু ভুল নয়; মারাত্মক ভুল। অন্যদিকে এতদ্ (ৎ) + দ্বারা = এতদ্দ্বারা। ‘এতদ্’ অর্থ এটা, ইহা বা এর। সুতরাং ‘এতদ্দ্বারা জানানো যাচ্ছে’ বাক্যের অর্থ হলো: এর দ্বারা, এটার দ্বারা, ইহার দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে,...। তেমনি তদ্দ্বারা, যদ্দ্বারা শব্দ লিখতেও অনেকে ভুল করে বসেন। কখনো তদ্বারা বা যদ্বারা লেখা ঠিক না।
লেখক: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে