নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনা বাজারে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামানের ভাবি সালমা বেগম ১৫-২০ জন নারীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বাছুর আলগা গ্রামের দড়িপাড়া যান।
এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকেরা বিবাদে জড়িয়ে তাঁদের সামনেই চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের ছবি সংবলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং মারধর করে তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখে। এ সময় সালমা ইসলাম ও গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চন্দ্রকোনা বাজারে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম (৬০) ও ভাতিজা উচ্ছাসসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- বাছুরআলগা গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র বুলবুল মিয়া (২৮), মৃত সমশের মিয়ার পুত্র আব্দুল মান্নান (৭০) ও নেওয়াজ আলী (৫৫), রফিকুল ইসলামের পুত্র মঞ্জু মিয়া (৩০), সাজন মিয়ার পুত্র শিপু মিয়া (২৫), হাসান আলীর পুত্র মেহেরুল্লাহ (৪০) এবং আনারস প্রতীকের সমর্থক চন্দ্রকোনা গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র উৎসব মিয়া (২১), চর বাছুরআলগী গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪০) এবং শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের সোজা মিয়ার পুত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াকে (২৬) নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানসহ নকলা থানা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাছুরআগলা গ্রামের দড়িপাড়া থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের ভাবির সালমা বেগমসহ আটককৃতদের উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে পুলিশ।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু সাইদ ছিদ্দিকী জানান, বাছুরআলগা গ্রামের দড়িপাড়ায় ঘটনার সময় কোনো পুরুষ মানুষ বাড়িতে ছিল না। মহিলাদের মধ্যে নির্বাচনী বিষয়াদি নিয়ে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
এ জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের লোকজন ইট, পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে চন্দ্রকোনা বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ আমার লোকজনদের পিটিয়ে আহত করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, বাছুরআলগা গ্রামের দড়িপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে যায় আমার মহিলা কর্মী সমর্থকেরা। তখন আমার কর্মী-সমর্থকদের সামনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকীর লোকজন আমার ছবি সংবলিত নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের পিটিয়ে আহত করে একটি ঘরে আটকে রাখে। এ ছাড়া তারা জোটবদ্ধ হয়ে চন্দ্রকোনা বাজারে ইট, পাটকেল ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে আমার কর্মী সমর্থকদের আহত করেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী বাদী হয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানসহ ৩০ জনকে আসামি করে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনা বাজারে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামানের ভাবি সালমা বেগম ১৫-২০ জন নারীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বাছুর আলগা গ্রামের দড়িপাড়া যান।
এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকেরা বিবাদে জড়িয়ে তাঁদের সামনেই চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের ছবি সংবলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং মারধর করে তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখে। এ সময় সালমা ইসলাম ও গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চন্দ্রকোনা বাজারে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম (৬০) ও ভাতিজা উচ্ছাসসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- বাছুরআলগা গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র বুলবুল মিয়া (২৮), মৃত সমশের মিয়ার পুত্র আব্দুল মান্নান (৭০) ও নেওয়াজ আলী (৫৫), রফিকুল ইসলামের পুত্র মঞ্জু মিয়া (৩০), সাজন মিয়ার পুত্র শিপু মিয়া (২৫), হাসান আলীর পুত্র মেহেরুল্লাহ (৪০) এবং আনারস প্রতীকের সমর্থক চন্দ্রকোনা গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র উৎসব মিয়া (২১), চর বাছুরআলগী গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪০) এবং শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের সোজা মিয়ার পুত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াকে (২৬) নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি চালক রঞ্জু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমানসহ নকলা থানা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাছুরআগলা গ্রামের দড়িপাড়া থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের ভাবির সালমা বেগমসহ আটককৃতদের উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে পুলিশ।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু সাইদ ছিদ্দিকী জানান, বাছুরআলগা গ্রামের দড়িপাড়ায় ঘটনার সময় কোনো পুরুষ মানুষ বাড়িতে ছিল না। মহিলাদের মধ্যে নির্বাচনী বিষয়াদি নিয়ে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
এ জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের লোকজন ইট, পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে চন্দ্রকোনা বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ আমার লোকজনদের পিটিয়ে আহত করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, বাছুরআলগা গ্রামের দড়িপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে যায় আমার মহিলা কর্মী সমর্থকেরা। তখন আমার কর্মী-সমর্থকদের সামনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকীর লোকজন আমার ছবি সংবলিত নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের পিটিয়ে আহত করে একটি ঘরে আটকে রাখে। এ ছাড়া তারা জোটবদ্ধ হয়ে চন্দ্রকোনা বাজারে ইট, পাটকেল ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে আমার কর্মী সমর্থকদের আহত করেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী বাদী হয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানসহ ৩০ জনকে আসামি করে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে