তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সাত ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১১ জনকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন দিঘী ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নুসরাত ইসলাম নুপুর, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসমত আলী, একই ইউনিয়নের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদ ফিলিপ।

বহিষ্কৃতের তালিকায় আছেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল হামিদ চান্দু দারোগা। পুটাইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল জলিল, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি সোয়েব আহম্মেদ রাজা।

বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাফর ইমাম শাহাজাদা, হাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান এবং আটিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নার্গিস আক্তার বাচ্চা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ‘দলীয় পদে থেকে যাঁরা ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’