মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
বছর দশেক আগেও ফলেছে রবিশস্য, চাষ হয়েছে আউশ ও আমন ধান। কিন্তু এখন আবাদ তো দূরের কথা, শুষ্ক মৌসুমেও সেখানে যেতে লাগে নৌকা। পুকুর কেটে অবৈধভাবে মাছের ঘের করায় বন্ধ হয়ে গেছে পানিনিষ্কাশনের পথ। আর এভাবেই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিল কচুয়ার সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমি এখন পরিণত হয়েছে জলাভূমিতে।
উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর, বাঁকড়া, মুকুন্দপুর ও খোলসী গ্রাম; হাজিরবাগ ইউনিয়নের বিষ্ণপুর ও রায়পটন; মহেশপাড়া ও শংকরপুর ইউনিয়নের খাটবাড়িয়া গ্রামের কিছু অংশকে স্থানীয় লোকজন ডাকেন বিল কচুয়া নামে। কিন্তু একসময় সোনাফলা এই বিল এখন তিন ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষের দুর্দশার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিল কচুয়ার ৩ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে থই থই করছে পানি। নৌকা ছাড়া বিলের মাঝখানে যাওয়ার উপায় নেই। ফলে রোপা আমন চাষ করতে পারেননি সাত গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক। চলতি মৌসুমে বোরো ধানও চাষ করতে পারছেন না তাঁরা। ধানের প্রধান আবাদ এই বোরো ও রোপা আমন চাষ করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু জানান, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে পানি বের হতে না পেরে বিল কচুয়ার ৩ হাজার ৫০০ বিঘা জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এসব জমিতে আবাদ হচ্ছে না। খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পুকুরমালিকদের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বর্ষাকালে আশপাশের গ্রাম থেকে পানি এসে পড়ে বিল কচুয়ায়। আগে সেখান থেকে বিলের বুক চিরে খোলসী গ্রামের সেতুর নিচ দিয়ে শাঁকদাহ স্লুইসগেট হয়ে পানি প্রবাহিত হতো। কিন্তু পানিপ্রবাহের সেই পথে শতাধিক পুকুর কেটে মাছের ঘের করায় আটকে থাকছে পানি। জানা যায়, ১০ বছর আগে এসব পুকুর কাটেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন। এর পর থেকেই সেখানে আর কোনো আবাদ হচ্ছে না।
কাসেম আলী নামে বিষ্ণপুর গ্রামের একজন কৃষক জানান, বিলে তাঁর পাঁচ বিঘা জমি আছে। ৮-১০ বছর আগে এসব জমিতে চাষ করে যে ধান পেতেন, তা দিয়ে সারা বছর তাঁর সংসার চলত। কিন্তু এখন সেখানে পানি জমে থাকায় আবাদ করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কাসেম আলীর মতো এই উপজেলার হাজারো কৃষক।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চার শতাধিক কৃষক। ওই দরখাস্তে, বিলের পানিনিষ্কাশনের পথে খাটবাড়িয়ার মোজাম্মেল হক, আলীপুরের মোহাম্মদ বিসি ও বিষ্ণপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন অবৈধভাবে পুকুর কাটায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং অতিবৃষ্টি হলে পানি গ্রামে ঢুকে পড়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
দরখাস্তে স্বাক্ষরকারী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বিষ্ণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, দরখাস্ত দেওয়ার পর অবৈধভাবে পুকুর খননকারী খাটবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন ও মিজানুর রহমান সে সময় একটি অঙ্গীকারনামা করে দিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ ছিল, তাঁরা নিজ খরচে পানিনিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করে দেবেন। কিন্তু এখনো তাঁরা এটা নিয়ে টালবাহানা করছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, এই মৌসুমে বোরো আবাদের জন্য ঘের মালিকদের সহযোগিতায় পাইপের মাধ্যমে বিলের পানি খোলসী সেতুর নিচ দিয়ে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাসিক সভায় খাল খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হবে।
আর বিলটি পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতায় ৩-৪ হাজার বিঘা জমির আবাদ মার যেতে দেওয়া যাবে না। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বছর দশেক আগেও ফলেছে রবিশস্য, চাষ হয়েছে আউশ ও আমন ধান। কিন্তু এখন আবাদ তো দূরের কথা, শুষ্ক মৌসুমেও সেখানে যেতে লাগে নৌকা। পুকুর কেটে অবৈধভাবে মাছের ঘের করায় বন্ধ হয়ে গেছে পানিনিষ্কাশনের পথ। আর এভাবেই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিল কচুয়ার সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমি এখন পরিণত হয়েছে জলাভূমিতে।
উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর, বাঁকড়া, মুকুন্দপুর ও খোলসী গ্রাম; হাজিরবাগ ইউনিয়নের বিষ্ণপুর ও রায়পটন; মহেশপাড়া ও শংকরপুর ইউনিয়নের খাটবাড়িয়া গ্রামের কিছু অংশকে স্থানীয় লোকজন ডাকেন বিল কচুয়া নামে। কিন্তু একসময় সোনাফলা এই বিল এখন তিন ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষের দুর্দশার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিল কচুয়ার ৩ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে থই থই করছে পানি। নৌকা ছাড়া বিলের মাঝখানে যাওয়ার উপায় নেই। ফলে রোপা আমন চাষ করতে পারেননি সাত গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক। চলতি মৌসুমে বোরো ধানও চাষ করতে পারছেন না তাঁরা। ধানের প্রধান আবাদ এই বোরো ও রোপা আমন চাষ করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু জানান, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে পানি বের হতে না পেরে বিল কচুয়ার ৩ হাজার ৫০০ বিঘা জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এসব জমিতে আবাদ হচ্ছে না। খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পুকুরমালিকদের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বর্ষাকালে আশপাশের গ্রাম থেকে পানি এসে পড়ে বিল কচুয়ায়। আগে সেখান থেকে বিলের বুক চিরে খোলসী গ্রামের সেতুর নিচ দিয়ে শাঁকদাহ স্লুইসগেট হয়ে পানি প্রবাহিত হতো। কিন্তু পানিপ্রবাহের সেই পথে শতাধিক পুকুর কেটে মাছের ঘের করায় আটকে থাকছে পানি। জানা যায়, ১০ বছর আগে এসব পুকুর কাটেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন। এর পর থেকেই সেখানে আর কোনো আবাদ হচ্ছে না।
কাসেম আলী নামে বিষ্ণপুর গ্রামের একজন কৃষক জানান, বিলে তাঁর পাঁচ বিঘা জমি আছে। ৮-১০ বছর আগে এসব জমিতে চাষ করে যে ধান পেতেন, তা দিয়ে সারা বছর তাঁর সংসার চলত। কিন্তু এখন সেখানে পানি জমে থাকায় আবাদ করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কাসেম আলীর মতো এই উপজেলার হাজারো কৃষক।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চার শতাধিক কৃষক। ওই দরখাস্তে, বিলের পানিনিষ্কাশনের পথে খাটবাড়িয়ার মোজাম্মেল হক, আলীপুরের মোহাম্মদ বিসি ও বিষ্ণপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন অবৈধভাবে পুকুর কাটায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং অতিবৃষ্টি হলে পানি গ্রামে ঢুকে পড়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
দরখাস্তে স্বাক্ষরকারী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বিষ্ণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, দরখাস্ত দেওয়ার পর অবৈধভাবে পুকুর খননকারী খাটবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন ও মিজানুর রহমান সে সময় একটি অঙ্গীকারনামা করে দিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ ছিল, তাঁরা নিজ খরচে পানিনিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করে দেবেন। কিন্তু এখনো তাঁরা এটা নিয়ে টালবাহানা করছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, এই মৌসুমে বোরো আবাদের জন্য ঘের মালিকদের সহযোগিতায় পাইপের মাধ্যমে বিলের পানি খোলসী সেতুর নিচ দিয়ে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাসিক সভায় খাল খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হবে।
আর বিলটি পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতায় ৩-৪ হাজার বিঘা জমির আবাদ মার যেতে দেওয়া যাবে না। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে