নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
‘মেলাদিন ধইরা আমার জমিটুকু পইরা আছিলো। কোনো ফসলই আবাদ করা যায় না এই জমিতে। এ বছর ৫৫ শতাংশ জমিতে কাসাভা চাষ করছিলাম। এতে আমার খরচ হইছে ২০ হাজার টাকা। এহন পর্যন্ত জমি থাইক্কা প্রায় ৭০ হাজার টাকার কাসাভা বিক্রি করছি। আরও ২০-২৫ হাজার টাকার কাসাভা বিক্রি করবার পামু বইলা আশা করতাছি।’
কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বেলতৈল গ্রামের কাসাভা চাষি মোস্তফা কামাল (৪০)।
শুধু তিনিই নন, পতিত জমিতে অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন পেতে কাসাভা চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার অনেক কৃষক।’ কাসাভা’ ফসলটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু যা পাহাড়ি, অনাবাদি এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত। অনেকের কাছে কাঠ আলু নামেও পরিচিত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধী হওয়ায় সহজেই কাসাভা অনুর্বর জমি ও খরা প্রবণ এলাকায় চাষ করা হয়। উচ্চ শর্করা সমৃদ্ধ কন্দ জাতীয় ফসল কাসাভা থেকে উন্নতমানের স্টার্চ পাওয়া যায়। যা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপড়, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়। এ ছাড়াও বস্ত্র এবং ওষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে কাসাভা আবাদ করা হয়েছে। কাসাভার ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ২০ টন। উপজেলার কাসাভা চাষিরা প্রতি ৫ শতাংশ জমি থেকে ১০-১২ মণ কাসাভা উত্তোলন করতে পারছেন। যা পাইকারের কাছে প্রতি মণ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। এ ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলায় ২০টি প্রদর্শনীর আওতায় ২০ জন কৃষক কাসাভা চাষ করেছেন। এতে প্রকল্প হতে সকল ধরনের উপকরণ সহায়তাসহ কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন তাঁরা। কাসাভা চাষিদের সফলতা দেখে নতুন করে এই ফসল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের কাসাভা চাষি রুস্তম আলী (৪৭) বলেন, ‘এ বছর আমার ২০ শতাংশ জমিতে কাসাভার চাষ করেছি। পইরা থাকা এই জমিটার থাইক্কা যে টাকা আয় করবার পামু তা স্বপ্নেও ভাবি নাই। অল্প পরিশ্রমেই আমার অনাবাদি জমিটুকুতে ভালো ফলন পাইছি। সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে আবাদ করার ইচ্ছা আছে।’
একই গ্রামের কাসাভা চাষি মোখলেছ আলী (৬৫) বলেন, ‘শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার কইরা এত্ত ভালা আবাদ হইবো তা চিন্তাও করি নাই। দাম ও ভালা পাইছি। আর কাসাভার কাটিং বেইচাও বাড়তি টাকা পাইতাছি। এই বছর ২৫ শতাংশ জমিতে কাসাভার আবাদ করছি। সামনের বছর আরও ১৫ শতাংশ জমি বাড়াইয়া মোট ৪০ শতাংশ জমিতে এই ফসল আবাদ করমু।’
আরেক কাসাভা চাষি আব্দুল হান্নান (৪৪) বলেন, ‘ভালো দাম পাওয়ায় কাসাভা আবাদ কইরা বেশ লাভবান হইছি। তবে কাসাভা উত্তোলনের পর বেশিদিন ঘরে রাইখা দেওয়া যায় না। তাই কোনো কোম্পানি যদি সরাসরি আমগর কাছ থাইক্কা কাসাভা কিনা নিতো, তবে এই ফসল চাষে আমরা আরও লাভবান হইতাম’।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় কাসাভা হয়ে উঠতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। বিদেশে কাসাভার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিদেশে কাসাভা রপ্তানি করা গেলে স্থানীয় কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
‘মেলাদিন ধইরা আমার জমিটুকু পইরা আছিলো। কোনো ফসলই আবাদ করা যায় না এই জমিতে। এ বছর ৫৫ শতাংশ জমিতে কাসাভা চাষ করছিলাম। এতে আমার খরচ হইছে ২০ হাজার টাকা। এহন পর্যন্ত জমি থাইক্কা প্রায় ৭০ হাজার টাকার কাসাভা বিক্রি করছি। আরও ২০-২৫ হাজার টাকার কাসাভা বিক্রি করবার পামু বইলা আশা করতাছি।’
কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বেলতৈল গ্রামের কাসাভা চাষি মোস্তফা কামাল (৪০)।
শুধু তিনিই নন, পতিত জমিতে অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন পেতে কাসাভা চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার অনেক কৃষক।’ কাসাভা’ ফসলটি অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু যা পাহাড়ি, অনাবাদি এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত। অনেকের কাছে কাঠ আলু নামেও পরিচিত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধী হওয়ায় সহজেই কাসাভা অনুর্বর জমি ও খরা প্রবণ এলাকায় চাষ করা হয়। উচ্চ শর্করা সমৃদ্ধ কন্দ জাতীয় ফসল কাসাভা থেকে উন্নতমানের স্টার্চ পাওয়া যায়। যা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপড়, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়। এ ছাড়াও বস্ত্র এবং ওষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে কাসাভা আবাদ করা হয়েছে। কাসাভার ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ২০ টন। উপজেলার কাসাভা চাষিরা প্রতি ৫ শতাংশ জমি থেকে ১০-১২ মণ কাসাভা উত্তোলন করতে পারছেন। যা পাইকারের কাছে প্রতি মণ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। এ ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলায় ২০টি প্রদর্শনীর আওতায় ২০ জন কৃষক কাসাভা চাষ করেছেন। এতে প্রকল্প হতে সকল ধরনের উপকরণ সহায়তাসহ কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন তাঁরা। কাসাভা চাষিদের সফলতা দেখে নতুন করে এই ফসল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের কাসাভা চাষি রুস্তম আলী (৪৭) বলেন, ‘এ বছর আমার ২০ শতাংশ জমিতে কাসাভার চাষ করেছি। পইরা থাকা এই জমিটার থাইক্কা যে টাকা আয় করবার পামু তা স্বপ্নেও ভাবি নাই। অল্প পরিশ্রমেই আমার অনাবাদি জমিটুকুতে ভালো ফলন পাইছি। সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে আবাদ করার ইচ্ছা আছে।’
একই গ্রামের কাসাভা চাষি মোখলেছ আলী (৬৫) বলেন, ‘শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার কইরা এত্ত ভালা আবাদ হইবো তা চিন্তাও করি নাই। দাম ও ভালা পাইছি। আর কাসাভার কাটিং বেইচাও বাড়তি টাকা পাইতাছি। এই বছর ২৫ শতাংশ জমিতে কাসাভার আবাদ করছি। সামনের বছর আরও ১৫ শতাংশ জমি বাড়াইয়া মোট ৪০ শতাংশ জমিতে এই ফসল আবাদ করমু।’
আরেক কাসাভা চাষি আব্দুল হান্নান (৪৪) বলেন, ‘ভালো দাম পাওয়ায় কাসাভা আবাদ কইরা বেশ লাভবান হইছি। তবে কাসাভা উত্তোলনের পর বেশিদিন ঘরে রাইখা দেওয়া যায় না। তাই কোনো কোম্পানি যদি সরাসরি আমগর কাছ থাইক্কা কাসাভা কিনা নিতো, তবে এই ফসল চাষে আমরা আরও লাভবান হইতাম’।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় কাসাভা হয়ে উঠতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। বিদেশে কাসাভার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিদেশে কাসাভা রপ্তানি করা গেলে স্থানীয় কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে