মাহবুব আলম আরিফ, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমির মাটি তোলা হচ্ছে। উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে আনুমানিক দুই শতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ কাজ। এতে আশপাশের ফসলি জমির মাটিও ধসে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযানের আগাম খবর পেয়ে যাচ্ছেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযান শেষের ঘণ্টা পার না হতেই আবারও মাটি উত্তোলন শুরু করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গ্রামগুলোতে মাইলের পর মাইল পাইপ সংযোগ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাটি চালান করা হচ্ছে। এসব মাটি দিয়ে অন্য এলাকার ফসলি জমি বা পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের কারণে জমিগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের সুরুজ মিয়া, মফিজ মিয়া, আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রশাসনের লোকজন আসার আগেই কীভাবে যেন অভিযুক্তরা টের পেয়ে যান। এতে তাঁরা মেশিন বন্ধ করে চলে যান। পরে প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে তাঁরা আবার মাটি তোলা শুরু করেন। এ সময় নিজেদের ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই কৃষকেরা জানান, দারোরা ইউনিয়নের মধ্যেই আনুমানিক ২০টি ড্রেজার বসিয়ে বাচ-বিছার না করেই মাটি কাটা হচ্ছে। এতে তিন ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ ইচ্ছা করে জমি দিতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত ড্রেজার মালিকদের কাছে কম মূল্যে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
এই ইউনিয়নের ড্রেজার ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ বলেন, ‘সবাই মনে করে আমরা ড্রেজার চালাইয়া কত টাকা জানি কামাইতাছি। আসলে প্রতি মাসে ড্রেজার প্রতি থানায় দিতে হয় ছয় হাজার টাকা। অপর দিকে ভূমি অফিসের লোকজন এরে তাঁদের দিতে হয় টাকা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে আমাদের বেশি একটা লাভ হয় না।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে বেশির ভাগই দুই থেকে তিন ফসলি জমি। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, বিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অনাবাদি রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। তিন ফসলি জমির টপসয়েল (উর্বর মাটির ওপরের অংশ) ব্যাপক হারে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চাষাবাদের জন্য একখণ্ড জমিও থাকবে না। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে জমির মাটি কেটে নিয়ে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ‘আমি এসেছি মাত্র কয়েক দিন হলো। ড্রেজার থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি আসার আগে যদি কেউ নিয়ে থাকে তারও খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণ পাই তাহলে অবশ্যই সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘ভূমি অফিসের কোনো কর্মকর্তা ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ড্রেজার বন্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের অভিযানও চলছে।’
মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমির মাটি তোলা হচ্ছে। উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে আনুমানিক দুই শতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ কাজ। এতে আশপাশের ফসলি জমির মাটিও ধসে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযানের আগাম খবর পেয়ে যাচ্ছেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযান শেষের ঘণ্টা পার না হতেই আবারও মাটি উত্তোলন শুরু করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গ্রামগুলোতে মাইলের পর মাইল পাইপ সংযোগ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাটি চালান করা হচ্ছে। এসব মাটি দিয়ে অন্য এলাকার ফসলি জমি বা পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের কারণে জমিগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের সুরুজ মিয়া, মফিজ মিয়া, আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রশাসনের লোকজন আসার আগেই কীভাবে যেন অভিযুক্তরা টের পেয়ে যান। এতে তাঁরা মেশিন বন্ধ করে চলে যান। পরে প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে তাঁরা আবার মাটি তোলা শুরু করেন। এ সময় নিজেদের ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই কৃষকেরা জানান, দারোরা ইউনিয়নের মধ্যেই আনুমানিক ২০টি ড্রেজার বসিয়ে বাচ-বিছার না করেই মাটি কাটা হচ্ছে। এতে তিন ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ ইচ্ছা করে জমি দিতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত ড্রেজার মালিকদের কাছে কম মূল্যে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
এই ইউনিয়নের ড্রেজার ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ বলেন, ‘সবাই মনে করে আমরা ড্রেজার চালাইয়া কত টাকা জানি কামাইতাছি। আসলে প্রতি মাসে ড্রেজার প্রতি থানায় দিতে হয় ছয় হাজার টাকা। অপর দিকে ভূমি অফিসের লোকজন এরে তাঁদের দিতে হয় টাকা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে আমাদের বেশি একটা লাভ হয় না।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে বেশির ভাগই দুই থেকে তিন ফসলি জমি। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, বিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অনাবাদি রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। তিন ফসলি জমির টপসয়েল (উর্বর মাটির ওপরের অংশ) ব্যাপক হারে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চাষাবাদের জন্য একখণ্ড জমিও থাকবে না। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে জমির মাটি কেটে নিয়ে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ‘আমি এসেছি মাত্র কয়েক দিন হলো। ড্রেজার থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি আসার আগে যদি কেউ নিয়ে থাকে তারও খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণ পাই তাহলে অবশ্যই সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘ভূমি অফিসের কোনো কর্মকর্তা ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ড্রেজার বন্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের অভিযানও চলছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে