নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত করিম সরকারের (৭০) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁ থানায় এ মামলা করেন নিহতের ছেলে সাদেক সরকার।

মামলায় বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হকসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার বারদী বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নির্দেশে সাবেক ইউপি সদস্য দাইয়ান সরকার ও তাঁর লোকজন করিম সরকারকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার পর করিম সরকারের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যান। পরে ২০ এপ্রিল সকালে তাঁর আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাঁরা উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।