ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আট নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা।

গত মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ।

বহিষ্কার নেতারা হলেন-কুশলী ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দুলাল গাজী ও সদস্য শেখ কদর আলী।

বর্নি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খালিদ হোসেন জমাদ্দার। গোপালপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুশেন সেন, সদস্য অরুন বাইন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিকো কবিরাজ। পাটগাতী ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান শরীফ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘ডুমুরিয়া ইউনিয়নের দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসমত আলী কিনু ও সুখময় বাইন চইন্ঠা দলীয় মনোনয়ন চায়নি। তা ছাড়া তাঁদের দলীয় কোনো পদ-পদবী না থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাসান আহম্মেদ কচি বলেন, ‘উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান শরীফ দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর দুই চেয়ারম্যান ও ৬ ডিসেম্বর ১১ জন ইউপি সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ইউপি নির্বাচনে টুঙ্গিপাড়ার পাঁচ ইউনিয়নে মোট ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ১৩৯ জন ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ৫৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন