মিজান মাহী, দুর্গাপুর
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। করোনা সংক্রমণ কমলে গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় সারা দেশের স্কুল–কলেজ। সংক্রমণ এড়াতে মানতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে সবজির হাট। কারণ, এই হাট বসছে বিদ্যালয়ের মাঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্গাপুরের বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪২৮ জন শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বিশাল সবজির হাট বসায় দূর–দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা–বিক্রেতার সমাগম হয়। যাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বছরের পর বছর এই হাট বসিয়ে অর্থ আদায় করছে প্রভাবশালীরা। প্রশাসন একাধিকবার বিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়েও মাঠ থেকে হাট উঠাতে ব্যর্থ হয়। পড়াশোনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, করোনা আতঙ্কে অনেক অভিভাবক সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেন না। এর ওপর হাট বসায় তাঁদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠে বসে বিশাল হাট। সমাগম হয় বিপুলসংখ্যক ক্রেতা–বিক্রেতার। তাঁদের অনেকের মুখেই থাকে না মাস্ক, মানেন না সামাজিক দূরত্ব। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এই পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে অভিভাবক ও সচেতন মানুষকে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাক থামিয়ে সবজি তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠে বসেছে সবজির বিশাল হাট। বিদ্যালয়ের ভেতরেও ট্রাকে তোলা হচ্ছে সবজি। করোনার সময়েও অন্য এলাকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আনাগোনা এবং দর কষাকষি, চেঁচামেচির মধ্যেই চলছে ক্লাস। হাট বসানোর কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও চলাফেরায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, করোনার কারণে এমনিতেই সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারপর আবার বিদ্যালয় মাঠে বিশাল সবজির হাট বসে। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। এতে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিদ্যালয় মাঠের এই হাট বন্ধের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমি নিরুপায়। এর আগে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েও হাট বন্ধ করা যায়নি। রাজনীতিক ও প্রভাবশালীদের দাপটে আবার বিদ্যালয় মাঠে হাট চালু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বারান্দা ঘেঁষে কেনাবেচা চলে। অনেক দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা হাটে আসেন। এতে ৪২৮ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং আমরা শিক্ষকেরা করোনা ঝুঁকিতে রয়েছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কানপাড়া হাট কমিটির সভাপতি আমির আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে ও এসএমএস দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, করোনার সময়েও বিদ্যালয় মাঠে এমন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এলাকাবাসীর এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা প্রতিক্রিয়ায় বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরানো যাচ্ছে না। দ্রুত বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানো যাবে না। এতে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। করোনা সংক্রমণ কমলে গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় সারা দেশের স্কুল–কলেজ। সংক্রমণ এড়াতে মানতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে সবজির হাট। কারণ, এই হাট বসছে বিদ্যালয়ের মাঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্গাপুরের বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪২৮ জন শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বিশাল সবজির হাট বসায় দূর–দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা–বিক্রেতার সমাগম হয়। যাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বছরের পর বছর এই হাট বসিয়ে অর্থ আদায় করছে প্রভাবশালীরা। প্রশাসন একাধিকবার বিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়েও মাঠ থেকে হাট উঠাতে ব্যর্থ হয়। পড়াশোনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, করোনা আতঙ্কে অনেক অভিভাবক সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেন না। এর ওপর হাট বসায় তাঁদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠে বসে বিশাল হাট। সমাগম হয় বিপুলসংখ্যক ক্রেতা–বিক্রেতার। তাঁদের অনেকের মুখেই থাকে না মাস্ক, মানেন না সামাজিক দূরত্ব। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এই পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে অভিভাবক ও সচেতন মানুষকে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাক থামিয়ে সবজি তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠে বসেছে সবজির বিশাল হাট। বিদ্যালয়ের ভেতরেও ট্রাকে তোলা হচ্ছে সবজি। করোনার সময়েও অন্য এলাকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আনাগোনা এবং দর কষাকষি, চেঁচামেচির মধ্যেই চলছে ক্লাস। হাট বসানোর কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও চলাফেরায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, করোনার কারণে এমনিতেই সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারপর আবার বিদ্যালয় মাঠে বিশাল সবজির হাট বসে। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। এতে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিদ্যালয় মাঠের এই হাট বন্ধের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমি নিরুপায়। এর আগে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েও হাট বন্ধ করা যায়নি। রাজনীতিক ও প্রভাবশালীদের দাপটে আবার বিদ্যালয় মাঠে হাট চালু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বারান্দা ঘেঁষে কেনাবেচা চলে। অনেক দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা হাটে আসেন। এতে ৪২৮ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং আমরা শিক্ষকেরা করোনা ঝুঁকিতে রয়েছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কানপাড়া হাট কমিটির সভাপতি আমির আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে ও এসএমএস দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, করোনার সময়েও বিদ্যালয় মাঠে এমন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এলাকাবাসীর এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা প্রতিক্রিয়ায় বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরানো যাচ্ছে না। দ্রুত বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানো যাবে না। এতে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে