মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও কমিশনকে আগলে রাখার জন্য পাঁচ বছর আগে দায়িত্বভার নিয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিশন। তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিদায়ের শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে এই কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার শেষ ধাপে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। এই ভোট দিয়েই শেষ হচ্ছে হুদা কমিশনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড। এই কমিশনের পাঁচ বছরে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের একাধিক নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া বাকি সব নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আছে। নির্বাচন বিশ্লেষক, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে কম-বেশি সবারই অভিযোগ ছিল, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কে এম নূরুল হুদা। বিশেষ করে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁরা বলছেন, ব্যর্থতার গ্লানি নিয়েই বিদায় নিতে হচ্ছে নূরুল হুদা কমিশনকে।
অবশ্য হুদা কমিশন বরাবরই নির্বাচন যথাযথ হয়েছে বলে দাবি করে এসেছে। গত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনে সংঘাত, প্রাণহানি—সবকিছুর দায় এড়িয়ে গেছে নূরুল হুদা। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। তবে এর কোনো দায় নিতে নারাজ ইসি।
গত বছরের জুন থেকে এখন পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে সাত ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি ধাপেই ভোটগ্রহণের আগে পরে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ভোটের দিন প্রথম ধাপে (দুই পর্বে) ছয়জন, দ্বিতীয় ধাপে ২৮ জন, তৃতীয় ধাপে ২৬ জন, চতুর্থ ধাপে ৯ জন, পঞ্চম ধাপে ২০ জন, ষষ্ঠ ধাপে দুজন এবং সপ্তম ধাপে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ অষ্টম ধাপে ভোট নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, পাঁচ বছরে সিইসি নুরুল হুদার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ছিটেফোঁটাও ছিল না বর্তমান কমিশনের মধ্যে। সংস্থাটি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে কোনো নির্বাচনেই নিরপেক্ষ আচরণ দেখাতে পারেনি। আমরা ৪২ নাগরিকের পক্ষ থেকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং বিদায়ের বেলায় আমাদের বিরুদ্ধে তোলা হয়।’
ইউপিতে যেমন ছিল চিত্র
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২১ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের প্রথম পর্বের ভোটে ১৪৮টিতে নৌকা ও ৪৯ টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ী হন। দ্বিতীয় পর্বে ১১৯ জন নৌকার ও ৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। প্রথম ধাপে সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭১ জনসহ) এবং স্বতন্ত্র ৮৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে নৌকার প্রার্থীরা জয় পান ৪৮৬টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭৭ জনসহ) এবং ৩৩০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান ৫২৫ টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯৯ জন) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন ৪৪৬টিতে। ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের ৩৯৬ প্রার্থী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৮ জন)) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন; স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জেতেন ৩৯০টি ইউনিয়নে। পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৩৪১টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫২ জনসহ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৩৪৬টিতে। ষষ্ঠ ধাপে আওয়ামী লীগ জিতেছে ১১৭টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২ জনসহ) ও স্বতন্ত্র ৯৫টিতে। সপ্তম ধাপে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পান ৪০টিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৬ টিতে। বিনা ভোটে জয়ী হন ১১জন নৌকার প্রার্থী।
নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও কমিশনকে আগলে রাখার জন্য পাঁচ বছর আগে দায়িত্বভার নিয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিশন। তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিদায়ের শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে এই কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার শেষ ধাপে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। এই ভোট দিয়েই শেষ হচ্ছে হুদা কমিশনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড। এই কমিশনের পাঁচ বছরে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের একাধিক নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া বাকি সব নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আছে। নির্বাচন বিশ্লেষক, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে কম-বেশি সবারই অভিযোগ ছিল, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কে এম নূরুল হুদা। বিশেষ করে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁরা বলছেন, ব্যর্থতার গ্লানি নিয়েই বিদায় নিতে হচ্ছে নূরুল হুদা কমিশনকে।
অবশ্য হুদা কমিশন বরাবরই নির্বাচন যথাযথ হয়েছে বলে দাবি করে এসেছে। গত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনে সংঘাত, প্রাণহানি—সবকিছুর দায় এড়িয়ে গেছে নূরুল হুদা। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। তবে এর কোনো দায় নিতে নারাজ ইসি।
গত বছরের জুন থেকে এখন পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে সাত ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি ধাপেই ভোটগ্রহণের আগে পরে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ভোটের দিন প্রথম ধাপে (দুই পর্বে) ছয়জন, দ্বিতীয় ধাপে ২৮ জন, তৃতীয় ধাপে ২৬ জন, চতুর্থ ধাপে ৯ জন, পঞ্চম ধাপে ২০ জন, ষষ্ঠ ধাপে দুজন এবং সপ্তম ধাপে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ অষ্টম ধাপে ভোট নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, পাঁচ বছরে সিইসি নুরুল হুদার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ছিটেফোঁটাও ছিল না বর্তমান কমিশনের মধ্যে। সংস্থাটি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে কোনো নির্বাচনেই নিরপেক্ষ আচরণ দেখাতে পারেনি। আমরা ৪২ নাগরিকের পক্ষ থেকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং বিদায়ের বেলায় আমাদের বিরুদ্ধে তোলা হয়।’
ইউপিতে যেমন ছিল চিত্র
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২১ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের প্রথম পর্বের ভোটে ১৪৮টিতে নৌকা ও ৪৯ টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ী হন। দ্বিতীয় পর্বে ১১৯ জন নৌকার ও ৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। প্রথম ধাপে সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭১ জনসহ) এবং স্বতন্ত্র ৮৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে নৌকার প্রার্থীরা জয় পান ৪৮৬টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭৭ জনসহ) এবং ৩৩০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান ৫২৫ টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯৯ জন) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন ৪৪৬টিতে। ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের ৩৯৬ প্রার্থী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৮ জন)) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন; স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জেতেন ৩৯০টি ইউনিয়নে। পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগ জিতেছে ৩৪১টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫২ জনসহ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৩৪৬টিতে। ষষ্ঠ ধাপে আওয়ামী লীগ জিতেছে ১১৭টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২ জনসহ) ও স্বতন্ত্র ৯৫টিতে। সপ্তম ধাপে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পান ৪০টিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৬ টিতে। বিনা ভোটে জয়ী হন ১১জন নৌকার প্রার্থী।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে