মোনাজাতে কাঁদলেন দুই লাখ মুসল্লি

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ২০
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২১

শেষ হলো বগুড়ার আঞ্চলিক ইজতেমা। গতকাল শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘটে। এতে অংশগ্রহণ করেন দুই লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মোনাজাত পরিচালনা করেন শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল্লাহ।

গতকাল সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এসে সমবেত হন ঝোপগাড়ি এলাকায়। ইজতেমার জন্য নির্ধারিত ৯ একর মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মহাসড়ক দাঁড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা।

দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শেষে একই স্থানে জোহরের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিচরণ থেকে ইজতেমায় আসেন ৭০ বছর বয়সী মোজাহার প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘হেলায় হেলায় দিন কাইটে গেল, আল্লাহর কাম তো করিনি। এখন মরার কাল চলে আসিচে। আখেরি মোনাজাতের লাখো হাতের ওছিলায় আল্লাহ আমার তওবা কবুল যেন করে—সেই আশায় মোনাজাতে শামিল হছি।’

বগুড়া সদরের জাহানাবাজ গ্রামের ৯ বছরের শিশু এহসান বাবা-দাদার সঙ্গে ইজতেমায় এসেছে। সে বলে, ‘এতগুলো মানুষকে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে আগে কখনো দেখিনি।’

ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহ আলম বলেন, ‘কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ইজতেমার মাঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।’ আখেরি মোনাজাতে প্রায় দুই লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে জানান শাহ আলম।

গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ঝোপগাড়ি এলাকায় মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়। বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে মিল রেখে তিন দিনব্যাপী এ আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইজতেমার দ্বিতীয় দিন গত শুক্রবার জুমায় প্রায় এক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

ইজতেমার তিন দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটেনি। শুরু থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করেছিল জেলা পুলিশ।

এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন জানান, ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলেন। রাত-দিন ভাগ করে তাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত