নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতা ছাড়বেন। কে নেবেন দায়িত্ব? প্রথমে আলোচনায় আসে উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম। কিন্তু ভরসা মিলছে না। সে সময়ের আন্দোলনকারী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে অন্যতম ৫ দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নাম।
১৯৯০ সালেই শুরুতে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাবের শুরুতেই শর্ত দিয়েছিলেন দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি দায়িত্ব নেবেন, তবে নির্বাহী দায়িত্ব পালন শেষে আবার ফিরে যাবেন বিচারকাজে। বিচারপতি হিসেবে। কথা রেখেছিলেন তিনি, হয়ে উঠেছিলেন উদাহরণ।
নিজের সেই প্রিয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আজ আবারও ফিরবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তবে শেষবারের মতো।
দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র চালুতে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করা মানুষটি রাজনীতি থেকে বিস্মৃত ছিলেন বহুদিন ধরে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সাহাবুদ্দীন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সাহাবুদ্দীন আহমদ (৯২) মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর প্রথম জানাজা গতকাল শনিবার তাঁর নিজ গ্রাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই-এ অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এই প্রধান বিচারপতির জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের সম্মানে আজ সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ঢাকার দুই মেয়রসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আইনাঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। এরপর ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রথম কর্মজীবন শুরু ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। প্রশাসক হিসেবে গোপালগঞ্জ ও নাটোর মহকুমায় চাকরি করেন। পরে ১৯৬০ সালে বদলি হন বিচার বিভাগে। ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং পরে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে সাহাবুদ্দীন আহমেদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হন। ১৯৮০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তাঁদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। দেশের সেই ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তাঁর অধীনেই ৫ম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয় এবং দেশ ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে। এরপর তিনি ফিরে যান প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁকে আবার রাষ্ট্রপতি করা হয়।
সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতা ছাড়বেন। কে নেবেন দায়িত্ব? প্রথমে আলোচনায় আসে উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম। কিন্তু ভরসা মিলছে না। সে সময়ের আন্দোলনকারী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে অন্যতম ৫ দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নাম।
১৯৯০ সালেই শুরুতে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাবের শুরুতেই শর্ত দিয়েছিলেন দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি দায়িত্ব নেবেন, তবে নির্বাহী দায়িত্ব পালন শেষে আবার ফিরে যাবেন বিচারকাজে। বিচারপতি হিসেবে। কথা রেখেছিলেন তিনি, হয়ে উঠেছিলেন উদাহরণ।
নিজের সেই প্রিয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আজ আবারও ফিরবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তবে শেষবারের মতো।
দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র চালুতে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করা মানুষটি রাজনীতি থেকে বিস্মৃত ছিলেন বহুদিন ধরে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সাহাবুদ্দীন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সাহাবুদ্দীন আহমদ (৯২) মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর প্রথম জানাজা গতকাল শনিবার তাঁর নিজ গ্রাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই-এ অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এই প্রধান বিচারপতির জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের সম্মানে আজ সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ঢাকার দুই মেয়রসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আইনাঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। এরপর ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রথম কর্মজীবন শুরু ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। প্রশাসক হিসেবে গোপালগঞ্জ ও নাটোর মহকুমায় চাকরি করেন। পরে ১৯৬০ সালে বদলি হন বিচার বিভাগে। ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং পরে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে সাহাবুদ্দীন আহমেদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হন। ১৯৮০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তাঁদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। দেশের সেই ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তাঁর অধীনেই ৫ম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয় এবং দেশ ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে। এরপর তিনি ফিরে যান প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁকে আবার রাষ্ট্রপতি করা হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে