হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে ওষুধ কোম্পানিগুলো বিপণন প্রতিনিধিদের কাছে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতারা। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান ভোক্তা স্বার্থ অধিকার রক্ষার এ সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বার থেকে রোগীরা বের হলেই বিপণন প্রতিনিধিরা রোগীদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলেন। বিশেষ করে তাঁদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ওষুধ লিখেছেন কিনা—তা ছবি তুলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ হিসেবে পাঠাতে এই কাজ করেন তাঁরা। এতে সাধারণ রোগী ভোগান্তির শিকার হন, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে হয়রানি ও বিড়ম্বনা হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এই ধরনের অনৈতিক চর্চা ও হয়রানি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাব নেতারা দাবি জানান।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, কিছু অসাধু ওষুধ কোম্পানি তাঁদের ওষুধ বিপণনে চিকিৎসকদের মাঝে উপহার ও নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন। তাঁদের সেই প্রণোদনা ও অবৈধ সুবিধা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রোগীদের মাঝে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ওষুধ লিখেছেন কিনা তা তদারকি করেন।

তাঁরা বলেন, ওষুধ বিপণনে দীর্ঘদিন ধরেই একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও চর্চা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মানহীন ও ভেজাল ওষুধে পুরো দেশ ভরপুর। তেমনি কিছু চিকিৎসকরাও অনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য মানহীন কোম্পানির ওষুধ ও বিপুল পরিমাণ ওষুধ লিখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। আবার অনেকে ফুড সাপ্লিমেন্ট, শিশুখাদ্যসহ নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিচ্ছেন। যা শুধু অনৈতিক নয়, চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি চরম অবমাননা।