বাবলু মোস্তাফিজ, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
ভেড়ামারা শহরের অধিকাংশ স্কুল ও কলেজের সামনে গতিরোধক, জেব্রা ক্রসিং বা কোনো ধরনের পারাপারের চিহ্ন বা সংকেত না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সড়ক পার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জেব্রা ক্রসিং বা গতিসীমার চিহ্ন না থাকার সঙ্গে যোগ হয়েছে যাত্রীবাহী বাসের অ্যারাইভাল টাইম নির্ধারণ করে জরিমানা। ফলে সময়মতো স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে শহরের মধ্যে দ্রুতগতিতে চলে এসব বাস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়কের পাশে অবস্থিত ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হালিমা বেগম একাডেমি, ভেড়ামারা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রোসিড স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ ছাড়াও ভেড়ামারা কলেজ, আদর্শ কলেজ, রহিমা আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ, প্রতিভা মডেল স্কুল, সাতবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া মাদ্রাসা, ভিশন ইংলিশ মডেল স্কুল, সবুজ কলি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে জেব্রা ক্রসিং, সংকেতের সাইনবোর্ড ও সর্বোচ্চ গতিসীমার সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা নেই।
শহরের শাপলা চত্বর, বক চত্বর, গোডাউন মোড়, থানা মোড়, উপজেলা মোড়, উত্তর ও দক্ষিণ রেলগেট মোড়, কাচারিপাড়ার চার রাস্তার মোড়সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেব্রা ক্রসিং নেই। গতিরোধক চিহ্ন ও সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারিত না থাকায় যানবাহনগুলো দ্রুতগতিতে চলাচল করছে।
ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার সিমু বলে, ‘সড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য স্কুলের সামনের রাস্তা ঝুঁকির মধ্যে পার হতে হয়। গাড়ি আমাদের শরীরের ওপর উঠে পড়ে।’
ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর সোবহান। তার বাবা খন্দকার আব্দুর ওয়াহেদ বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সাবধান! সামনে স্কুল লেখা সাইনবোর্ড, সর্বোচ্চ গতিসীমা উল্লেখ ও জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন নেই।
ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য স্কুলের সামনে জেব্রা ক্রসিং ও গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। এর সঙ্গে দ্রুতগতির বাস-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত ইজিবাইক, বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’
ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হক বলেন, ‘স্কুলের সামনের ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়ক খুবই ব্যস্ততম। এখানে জেব্রা ক্রসিং বা সিগন্যাল লাইট নেই। সারাক্ষণ এই সড়কে শত শত বাস, ট্রাক, ট্রলি, নসিমন, ইঞ্জিনচালিত অটোবাইক ও রিকশা চলাচল করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিপাটি নগরীর আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ‘ভেড়ামারায় একটিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গতিরোধক এমনকি জেব্রা ক্রসিং নেই। এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
জেলা বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভেড়ামারা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘জেব্রা ক্রসিং ও গতিসীমা নির্ধারণ করে দিলে ঝুঁকি কমবে। তবে যাত্রীবাহী বাসগুলোর ক্ষেত্রে অ্যারাইভাল টাইম নির্ধারণ করা আছে ৩০ সেকেন্ডে এক মিনিট। এক মিনিট লেট মানে ১২০ টাকা জরিমানা। ফলে সর্বোচ্চ গতি ও তাড়াহুড়ো করে স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হয়। এ বিষয়টিও সমাধান করা জরুরি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, ‘এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ সমস্যা সম্পর্কে কখনো কেউ জানায়নি। ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক ও স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ভেড়ামারা শহরের অধিকাংশ স্কুল ও কলেজের সামনে গতিরোধক, জেব্রা ক্রসিং বা কোনো ধরনের পারাপারের চিহ্ন বা সংকেত না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সড়ক পার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জেব্রা ক্রসিং বা গতিসীমার চিহ্ন না থাকার সঙ্গে যোগ হয়েছে যাত্রীবাহী বাসের অ্যারাইভাল টাইম নির্ধারণ করে জরিমানা। ফলে সময়মতো স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে শহরের মধ্যে দ্রুতগতিতে চলে এসব বাস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়কের পাশে অবস্থিত ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হালিমা বেগম একাডেমি, ভেড়ামারা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রোসিড স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ ছাড়াও ভেড়ামারা কলেজ, আদর্শ কলেজ, রহিমা আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ, প্রতিভা মডেল স্কুল, সাতবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া মাদ্রাসা, ভিশন ইংলিশ মডেল স্কুল, সবুজ কলি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে জেব্রা ক্রসিং, সংকেতের সাইনবোর্ড ও সর্বোচ্চ গতিসীমার সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা নেই।
শহরের শাপলা চত্বর, বক চত্বর, গোডাউন মোড়, থানা মোড়, উপজেলা মোড়, উত্তর ও দক্ষিণ রেলগেট মোড়, কাচারিপাড়ার চার রাস্তার মোড়সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেব্রা ক্রসিং নেই। গতিরোধক চিহ্ন ও সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারিত না থাকায় যানবাহনগুলো দ্রুতগতিতে চলাচল করছে।
ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার সিমু বলে, ‘সড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য স্কুলের সামনের রাস্তা ঝুঁকির মধ্যে পার হতে হয়। গাড়ি আমাদের শরীরের ওপর উঠে পড়ে।’
ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর সোবহান। তার বাবা খন্দকার আব্দুর ওয়াহেদ বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সাবধান! সামনে স্কুল লেখা সাইনবোর্ড, সর্বোচ্চ গতিসীমা উল্লেখ ও জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন নেই।
ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য স্কুলের সামনে জেব্রা ক্রসিং ও গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। এর সঙ্গে দ্রুতগতির বাস-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত ইজিবাইক, বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’
ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হক বলেন, ‘স্কুলের সামনের ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়ক খুবই ব্যস্ততম। এখানে জেব্রা ক্রসিং বা সিগন্যাল লাইট নেই। সারাক্ষণ এই সড়কে শত শত বাস, ট্রাক, ট্রলি, নসিমন, ইঞ্জিনচালিত অটোবাইক ও রিকশা চলাচল করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিপাটি নগরীর আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ‘ভেড়ামারায় একটিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গতিরোধক এমনকি জেব্রা ক্রসিং নেই। এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
জেলা বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভেড়ামারা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘জেব্রা ক্রসিং ও গতিসীমা নির্ধারণ করে দিলে ঝুঁকি কমবে। তবে যাত্রীবাহী বাসগুলোর ক্ষেত্রে অ্যারাইভাল টাইম নির্ধারণ করা আছে ৩০ সেকেন্ডে এক মিনিট। এক মিনিট লেট মানে ১২০ টাকা জরিমানা। ফলে সর্বোচ্চ গতি ও তাড়াহুড়ো করে স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হয়। এ বিষয়টিও সমাধান করা জরুরি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, ‘এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ সমস্যা সম্পর্কে কখনো কেউ জানায়নি। ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক ও স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে