মিজানুর রহমান, তানোর
তানোরে আসন্ন সাত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংঘাতের শঙ্কায় দায়িত্ব পালনে অনীহা কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে। নানা ‘অজুহাত’ দেখিয়ে তাঁরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখানোর চেষ্টা করছেন। এ জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদবির করানোর ঘটনাও ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর তানোর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ভোট হবে। ১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৫ জন ভোটারের এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৮টি কেন্দ্রে ৩৩৭ ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার মিলিয়ে ৭ ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৯ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর্মকর্তা থাকবেন রিজার্ভড হিসেবে।
তানোর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অনীহা আছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে এ প্রতিবেদক কথা বলেছেন। দায়িত্ব পালনে অনীহার কারণ তাঁরা জানালেও নিজেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
তানোরে কর্মরত একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে তিনি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। তবে আশ্বস্ত হতে পারিনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি যে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন, তাতে দুর্বৃত্তরা গণ্ডগোল বাধিয়ে দিয়েছিল। অন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে কোনোমতে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও নির্বাচনী সামগ্রী তাঁরা রক্ষা করতে পারেননি। সেই ঘটনার পর নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে মন সাড়া দেয় না।
মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘তানোরে এবার সরকারদর্লীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে যেটা শুরু হয়েছে, তাতে আতঙ্ক কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাড়িতে এসে আমাদের খোঁজ নিচ্ছে। সব ঠিকানা জানার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাচ্ছেন। এটা সত্যি বিব্রতকর।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অনেকেই দায়িত্ব পালনে অনীহা জানিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ না থাকলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করার সুযোগ কারও নেই।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘অল্প কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহের বিষয়টি জানিয়েছেন।’
তানোরে আসন্ন সাত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংঘাতের শঙ্কায় দায়িত্ব পালনে অনীহা কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে। নানা ‘অজুহাত’ দেখিয়ে তাঁরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখানোর চেষ্টা করছেন। এ জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদবির করানোর ঘটনাও ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর তানোর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ভোট হবে। ১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৫ জন ভোটারের এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৮টি কেন্দ্রে ৩৩৭ ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার মিলিয়ে ৭ ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৯ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর্মকর্তা থাকবেন রিজার্ভড হিসেবে।
তানোর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অনীহা আছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে এ প্রতিবেদক কথা বলেছেন। দায়িত্ব পালনে অনীহার কারণ তাঁরা জানালেও নিজেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
তানোরে কর্মরত একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে তিনি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। তবে আশ্বস্ত হতে পারিনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি যে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন, তাতে দুর্বৃত্তরা গণ্ডগোল বাধিয়ে দিয়েছিল। অন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে কোনোমতে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও নির্বাচনী সামগ্রী তাঁরা রক্ষা করতে পারেননি। সেই ঘটনার পর নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে মন সাড়া দেয় না।
মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘তানোরে এবার সরকারদর্লীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে যেটা শুরু হয়েছে, তাতে আতঙ্ক কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাড়িতে এসে আমাদের খোঁজ নিচ্ছে। সব ঠিকানা জানার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাচ্ছেন। এটা সত্যি বিব্রতকর।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অনেকেই দায়িত্ব পালনে অনীহা জানিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ না থাকলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করার সুযোগ কারও নেই।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘অল্প কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহের বিষয়টি জানিয়েছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে