ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝিকরগাছার গদখালীর ফুলচাষিরা নতুন করে লোকসান শঙ্কায় পড়েছেন। টানা দুই বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ অসময়ের বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে যখন নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন ফুলচাষিরা, তখন করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ফুলচাষিদের আবার শঙ্কায় ফেলেছে। ফুলচাষিরা বলছেন, বিজয় দিবসে কিছুটা দাম পেলেও সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার গদখালী ফুলবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সংক্রমণ বাড়ার আগে বিভিন্ন ফুল যে দামে বিক্রি হয়েছিল বর্তমান সে দাম নেমে এসেছে ৪ ভাগের ১ ভাগে। বাজারে এখন প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৮০০-৯০০ টাকা। একটি গোলাপ ফুল বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা করে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৪-৬ টাকায়। প্রতিটি রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫-৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৭-১০ টাকা। রংভেদে প্রতিটি গ্ল্যাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ৬-৯ টাকায়, যা আগে ছিল ৯-১৫ টাকায়। জারবেরা বিক্রি হচ্ছে ৬-৮ টাকায়, যা আগে ছিল ৮-১৫ টাকায়। প্রতি আঁটি কামিনীপাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। জিপসির আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হতো ৩০-৪৫ টাকায়।
গদখালী বাজারের ফুল ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নতুন করে যে বিধিনিষেধ দিয়েছে তাতে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন কমে গেছে। ফলে ফুলের চাহিদাও কমে গেছে। তাই বাজারে ফুলের দাম একপ্রকার নেই বললেই চলে।’
হাড়িয়া মাঠের ফুলচাষি শাহজান আলী বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমে গেছে। ফলে ফুল তোলার মতো হলেও তুলছি না। যদি দাম ভালো পাই, তাহলে আমার শেডের জারবেরা ফুল প্রায় দুই লাখ টাকায় বিক্রি হবে। আর যে দুই বিঘায় গ্ল্যাডিওলাস ও এক বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল রয়েছে তা ৪-৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব।’
ফুল কানন পানিসারা মাঠে জারবেরা ফুলের খেত পরিচর্যা করছিলেন ফুলচাষি আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, চায়না গোলাপ রয়েছে। তা ছাড়া ১০ কাঠা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ও ১৫ কাঠা জমিতে গাঁদা ফুল রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষত কাটিয়ে বিজয় দিবসে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। আশা করছিলাম এ বছরের বিভিন্ন দিবসে অন্তত চার লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমে গেছে। ফুলের দাম যদি আরও পড়ে যায় এবং লকডাউন শুরু হয় তাহলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
কথা হয় কুলিয়া গ্রামের শের আলী, হাড়িয়ার মোমেনা খাতুন, ইমামুল হোসেনের, বল্লার শামীম রেজা, রাশিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমানের সঙ্গে। ইমামুল হোসেন বলেন, ‘করোনাকালীন খেতে লাখ লাখ টাকার ফুল থাকতেও শেডের টিন বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘এর আগে করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে ফুলচাষিদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার পর আবারও ফুলের দাম কমে গেছে। কৃষকদের অবস্থা বিবেচনা করে আবারও সহযোগিতার চেষ্টা করা করা হবে।’
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝিকরগাছার গদখালীর ফুলচাষিরা নতুন করে লোকসান শঙ্কায় পড়েছেন। টানা দুই বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ অসময়ের বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে যখন নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন ফুলচাষিরা, তখন করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ফুলচাষিদের আবার শঙ্কায় ফেলেছে। ফুলচাষিরা বলছেন, বিজয় দিবসে কিছুটা দাম পেলেও সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার গদখালী ফুলবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সংক্রমণ বাড়ার আগে বিভিন্ন ফুল যে দামে বিক্রি হয়েছিল বর্তমান সে দাম নেমে এসেছে ৪ ভাগের ১ ভাগে। বাজারে এখন প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৮০০-৯০০ টাকা। একটি গোলাপ ফুল বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা করে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৪-৬ টাকায়। প্রতিটি রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫-৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৭-১০ টাকা। রংভেদে প্রতিটি গ্ল্যাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ৬-৯ টাকায়, যা আগে ছিল ৯-১৫ টাকায়। জারবেরা বিক্রি হচ্ছে ৬-৮ টাকায়, যা আগে ছিল ৮-১৫ টাকায়। প্রতি আঁটি কামিনীপাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। জিপসির আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হতো ৩০-৪৫ টাকায়।
গদখালী বাজারের ফুল ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নতুন করে যে বিধিনিষেধ দিয়েছে তাতে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন কমে গেছে। ফলে ফুলের চাহিদাও কমে গেছে। তাই বাজারে ফুলের দাম একপ্রকার নেই বললেই চলে।’
হাড়িয়া মাঠের ফুলচাষি শাহজান আলী বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমে গেছে। ফলে ফুল তোলার মতো হলেও তুলছি না। যদি দাম ভালো পাই, তাহলে আমার শেডের জারবেরা ফুল প্রায় দুই লাখ টাকায় বিক্রি হবে। আর যে দুই বিঘায় গ্ল্যাডিওলাস ও এক বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল রয়েছে তা ৪-৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব।’
ফুল কানন পানিসারা মাঠে জারবেরা ফুলের খেত পরিচর্যা করছিলেন ফুলচাষি আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, চায়না গোলাপ রয়েছে। তা ছাড়া ১০ কাঠা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ও ১৫ কাঠা জমিতে গাঁদা ফুল রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষত কাটিয়ে বিজয় দিবসে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। আশা করছিলাম এ বছরের বিভিন্ন দিবসে অন্তত চার লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম কমে গেছে। ফুলের দাম যদি আরও পড়ে যায় এবং লকডাউন শুরু হয় তাহলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
কথা হয় কুলিয়া গ্রামের শের আলী, হাড়িয়ার মোমেনা খাতুন, ইমামুল হোসেনের, বল্লার শামীম রেজা, রাশিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমানের সঙ্গে। ইমামুল হোসেন বলেন, ‘করোনাকালীন খেতে লাখ লাখ টাকার ফুল থাকতেও শেডের টিন বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘এর আগে করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে ফুলচাষিদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার করোনার সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার পর আবারও ফুলের দাম কমে গেছে। কৃষকদের অবস্থা বিবেচনা করে আবারও সহযোগিতার চেষ্টা করা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে