ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
যশোর সদরের ছোট মেঘলা ও ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে সেচের পানির অভাবে বোরো খেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বোরো চাষ। গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বে ওই এলাকায় সেচের পানি বন্ধ রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি গ্রামের বোরো ধানের খেতে তাঁর গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু পানি দেওয়ার নামে টালবাহানা করায় ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক নিজেদের উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুজ্জামান ওই কৃষকদের নামে মামলা করেন। পরে কৃষকদের চাপে পড়ে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সাইফুজ্জামান আপসে আসেন এবং সেচের পানি ঠিকঠাক দেবেন বলে কথা দেন। কিন্তু সাইফুজ্জামান এখন সেচের পানি দিচ্ছেন না।
সরেজমিনে মল্লিকপুর এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের অধিকাংশ ধানখেতের মাটি শুকিয়ে ধান গাছ হলুদ হয়ে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ সব খেতে সেচ না দিতে পারলে ধান গাছ সব মরে যাবে বলছেন কৃষকেরা।
ছোট মেঘলা গ্রামের আব্দুর রহিম ভুট্টো বলেন, ‘এ মাঠের শতাধিক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য আমরা ২০১৭ সালে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করি। উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে লাইসেন্স দেয়। এ নিয়ে আরেক গভীর নলকূপের মালিক ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান মামলা করেন। ফলে আমাদের নলকূপের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায় এবং সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। অথচ তাঁর নলকূপটি রয়েছে দুই হাজার ফুট দূরে ও নিচু জায়গায়।
কৃষক ভুট্টো আরও বলেন, প্রচলিত সেচ আইনে বলা আছে, একটি গভীর নলকূপ থেকে অপর গভীর নলকূপের দূরত্ব হবে ১ হাজার ৯৪১ ফুট। তারপরও সাইফুজ্জামান ওই বছরেই ১৯৮৬-৮৭ সালের সেচ আইন উল্লেখ করে একটি ষড়যন্ত্র মামলা করে আমাদের লাইসেন্সটি স্থগিত করে দেন। সেই থেকে কৃষকেরা মাঠটিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না।
কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘সেচের পানির অভাবে আমার এক বিঘা জমির ধান গাছ একেবারে হলুদ হয়ে গেছে। এক বিঘা ধান চাষে মোট খরচের অর্ধেক করা শেষ। এখন যদি এ ধান না হয় তাহলে আমার যে ক্ষতি হবে, তা সহ্য করার মতো সামর্থ্য আমার নেই।
কৃষক সাইদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েক কৃষক বলেন, ‘সাইফুজ্জামান আমাদের জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ইচ্ছামতো পানি দেবেন। এ ছাড়া পানি নিতে হলে আগের থেকে বেশি টাকা দিতে হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাইফুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলও তিনি রিসিভ করেননি।
যশোর সদরের ছোট মেঘলা ও ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে সেচের পানির অভাবে বোরো খেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বোরো চাষ। গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বে ওই এলাকায় সেচের পানি বন্ধ রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি গ্রামের বোরো ধানের খেতে তাঁর গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু পানি দেওয়ার নামে টালবাহানা করায় ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক নিজেদের উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুজ্জামান ওই কৃষকদের নামে মামলা করেন। পরে কৃষকদের চাপে পড়ে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সাইফুজ্জামান আপসে আসেন এবং সেচের পানি ঠিকঠাক দেবেন বলে কথা দেন। কিন্তু সাইফুজ্জামান এখন সেচের পানি দিচ্ছেন না।
সরেজমিনে মল্লিকপুর এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের অধিকাংশ ধানখেতের মাটি শুকিয়ে ধান গাছ হলুদ হয়ে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ সব খেতে সেচ না দিতে পারলে ধান গাছ সব মরে যাবে বলছেন কৃষকেরা।
ছোট মেঘলা গ্রামের আব্দুর রহিম ভুট্টো বলেন, ‘এ মাঠের শতাধিক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য আমরা ২০১৭ সালে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করি। উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে লাইসেন্স দেয়। এ নিয়ে আরেক গভীর নলকূপের মালিক ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান মামলা করেন। ফলে আমাদের নলকূপের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায় এবং সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। অথচ তাঁর নলকূপটি রয়েছে দুই হাজার ফুট দূরে ও নিচু জায়গায়।
কৃষক ভুট্টো আরও বলেন, প্রচলিত সেচ আইনে বলা আছে, একটি গভীর নলকূপ থেকে অপর গভীর নলকূপের দূরত্ব হবে ১ হাজার ৯৪১ ফুট। তারপরও সাইফুজ্জামান ওই বছরেই ১৯৮৬-৮৭ সালের সেচ আইন উল্লেখ করে একটি ষড়যন্ত্র মামলা করে আমাদের লাইসেন্সটি স্থগিত করে দেন। সেই থেকে কৃষকেরা মাঠটিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না।
কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘সেচের পানির অভাবে আমার এক বিঘা জমির ধান গাছ একেবারে হলুদ হয়ে গেছে। এক বিঘা ধান চাষে মোট খরচের অর্ধেক করা শেষ। এখন যদি এ ধান না হয় তাহলে আমার যে ক্ষতি হবে, তা সহ্য করার মতো সামর্থ্য আমার নেই।
কৃষক সাইদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েক কৃষক বলেন, ‘সাইফুজ্জামান আমাদের জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ইচ্ছামতো পানি দেবেন। এ ছাড়া পানি নিতে হলে আগের থেকে বেশি টাকা দিতে হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাইফুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলও তিনি রিসিভ করেননি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে