আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের তিন শহর রয়েছে। এগুলো হলো রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান একিউএয়ার-এর ২০২০ সালের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কোনো এলাকার বাতাস কতটা নির্মল, তা নির্ভর করে ওই বাতাসে দূষণকারী ক্ষুদ্র কণিকা পিএম ২.৫, পিএম ১০, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের উপস্থিতির হারের ওপর।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ ক্ষুদ্র কণিকা। এই কণাগুলোর ব্যাস যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার ও ১০ মাইক্রোমিটার। মানুষের চুলের ব্যাসের সঙ্গে তুলনা করলে এগুলোর আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মানুষের চুলের ব্যাস ৫০ থেকে ৭০ মাইক্রোমিটার হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-নির্ধারিত মাত্রা অনুসারে, কোনো এলাকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা যদি ১২ বা তার কম হয়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য। এই কণিকার মাত্রা যদি ৫৫ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হয়, তাহলে সেই বাতাস অস্বাস্থ্যকর। আর পিএম ২.৫-এর মাত্রা ২৫০ বা তার বেশি হলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
একিউএয়ারের তালিকার তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ২০২০ সালে বায়ুর গড় মান হিসাবে সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল মানিকগঞ্জ। বৈশ্বিক তালিকায় এই শহর ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক তালিকায় ২৩তম অবস্থানে থাকা রাজধানী শহর ঢাকা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দূষিত শহর। এ দেশের তৃতীয় দূষিত শহরটি হলো গাজীপুর। তবে গাজীপুর জেলার সবচেয়ে দূষিত এলাকা শ্রীপুর। বৈশ্বিক তালিকায় গাজীপুরের অবস্থান ৬১তম। একিউএয়ারের তথ্য বলছে, মানিকগঞ্জে ২০২০ সালে বায়ুর গড় মান ছিল ৮০ দশমিক ২। অর্থাৎ এখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। তবে ওই বছরের ডিসেম্বরে এখানকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ১৮১.৮-এ উঠে গিয়েছিল। অথচ করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে তখন সরকারের বিধিনিষেধ চলেছে। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেকাংশেই ছিল স্থবির।
ঢাকার বায়ুর গড় মান ২০২০ সালে ছিল ৭৭ দশমিক ১। এই শহরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত হয়ে উঠেছিল ওই বছরের জানুয়ারিতে। তখনো দেশে করোনাভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। এরপর দূষণের মাত্রা কমতে থাকে। ওই বছর ঢাকার বাতাস অনেকাংশেই নির্মল হয়ে ওঠে জুলাই ও আগস্ট মাসে। তখন এখানকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ২৪-এর ঘরে ছিল। তবে তারপর আবার দূষণ বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বরে বায়ুর মান দাঁড়ায় ১৬৫ দশমিক ৭-এ। গাজীপুরে ২০২০ সালের বায়ুর গড় মান ছিল ৫৫ দশমিক ৭। এখানে ওই বছর বাতাস সবচেয়ে দূষিত হয়ে ওঠে ডিসেম্বরে, ১৮০ দশমিক ৮।
একিউএয়ারের তালিকার তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চীনের হোতান। এরপরেই ভারতের গাজিয়াবাদের অবস্থান। ভারতের রাজধানী শহর নয়াদিল্লি আছে বৈশ্বিক তালিকায় ১০ নম্বরে। এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে দূষণ এতটাই বেড়েছে যে ধোঁয়াশায় পুরো শহর ঢেকে গেছে। গত সপ্তাহে এখানকার দূষণ এমন মাত্রায় পৌঁছায়, যে কারণে সরকার বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়।
একিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ভারতেরই শহর আছে ৪৬টি। দূষিত শহরের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের পরেই রয়েছে চীন, ৪২ টি। এ ছাড়া পাকিস্তানের ছয়টি শহরও ওই ১০০ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের সঙ্গে অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের তিন শহর রয়েছে। এগুলো হলো রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান একিউএয়ার-এর ২০২০ সালের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কোনো এলাকার বাতাস কতটা নির্মল, তা নির্ভর করে ওই বাতাসে দূষণকারী ক্ষুদ্র কণিকা পিএম ২.৫, পিএম ১০, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের উপস্থিতির হারের ওপর।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ ক্ষুদ্র কণিকা। এই কণাগুলোর ব্যাস যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার ও ১০ মাইক্রোমিটার। মানুষের চুলের ব্যাসের সঙ্গে তুলনা করলে এগুলোর আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মানুষের চুলের ব্যাস ৫০ থেকে ৭০ মাইক্রোমিটার হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-নির্ধারিত মাত্রা অনুসারে, কোনো এলাকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা যদি ১২ বা তার কম হয়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য। এই কণিকার মাত্রা যদি ৫৫ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হয়, তাহলে সেই বাতাস অস্বাস্থ্যকর। আর পিএম ২.৫-এর মাত্রা ২৫০ বা তার বেশি হলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
একিউএয়ারের তালিকার তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ২০২০ সালে বায়ুর গড় মান হিসাবে সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল মানিকগঞ্জ। বৈশ্বিক তালিকায় এই শহর ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক তালিকায় ২৩তম অবস্থানে থাকা রাজধানী শহর ঢাকা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দূষিত শহর। এ দেশের তৃতীয় দূষিত শহরটি হলো গাজীপুর। তবে গাজীপুর জেলার সবচেয়ে দূষিত এলাকা শ্রীপুর। বৈশ্বিক তালিকায় গাজীপুরের অবস্থান ৬১তম। একিউএয়ারের তথ্য বলছে, মানিকগঞ্জে ২০২০ সালে বায়ুর গড় মান ছিল ৮০ দশমিক ২। অর্থাৎ এখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। তবে ওই বছরের ডিসেম্বরে এখানকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ১৮১.৮-এ উঠে গিয়েছিল। অথচ করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে তখন সরকারের বিধিনিষেধ চলেছে। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেকাংশেই ছিল স্থবির।
ঢাকার বায়ুর গড় মান ২০২০ সালে ছিল ৭৭ দশমিক ১। এই শহরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত হয়ে উঠেছিল ওই বছরের জানুয়ারিতে। তখনো দেশে করোনাভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। এরপর দূষণের মাত্রা কমতে থাকে। ওই বছর ঢাকার বাতাস অনেকাংশেই নির্মল হয়ে ওঠে জুলাই ও আগস্ট মাসে। তখন এখানকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ২৪-এর ঘরে ছিল। তবে তারপর আবার দূষণ বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বরে বায়ুর মান দাঁড়ায় ১৬৫ দশমিক ৭-এ। গাজীপুরে ২০২০ সালের বায়ুর গড় মান ছিল ৫৫ দশমিক ৭। এখানে ওই বছর বাতাস সবচেয়ে দূষিত হয়ে ওঠে ডিসেম্বরে, ১৮০ দশমিক ৮।
একিউএয়ারের তালিকার তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চীনের হোতান। এরপরেই ভারতের গাজিয়াবাদের অবস্থান। ভারতের রাজধানী শহর নয়াদিল্লি আছে বৈশ্বিক তালিকায় ১০ নম্বরে। এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে দূষণ এতটাই বেড়েছে যে ধোঁয়াশায় পুরো শহর ঢেকে গেছে। গত সপ্তাহে এখানকার দূষণ এমন মাত্রায় পৌঁছায়, যে কারণে সরকার বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়।
একিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ভারতেরই শহর আছে ৪৬টি। দূষিত শহরের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের পরেই রয়েছে চীন, ৪২ টি। এ ছাড়া পাকিস্তানের ছয়টি শহরও ওই ১০০ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের সঙ্গে অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে