সাত মাস পর দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। গত মার্চে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি হয়ে ছয় মাসের বেশি সময় তিনি ছিলেন গা ঢাকা দিয়ে। হাইকোর্টে জামিন পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই তিনি আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিএনপিকে রাজশাহী বিভাগে সংগঠিত করার ঘোষণা দিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগের জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক পর্যালোচনা সভার রাজশাহী জেলাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। শহরের রানিবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। আরেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন সভা পরিচালনা করেন।

সভায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হবে। বিভাগের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা-মহানগর কমিটিতে যাঁরা নিষ্ক্রিয় তাঁদের বাদ দিয়ে তরুণ, শক্তিশালী ও সাহসীদের জায়গা দেওয়া হবে। করোনার কারণে এত দিন সবকিছু স্থবির থাকলেও এবার তাঁরা দলকে সুসংগঠিত করার কাজে হাত দিয়েছেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবেশে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার ভিডিও এখনো আছে। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ হয় এমন কোনো বক্তব্য দেননি। তারপরও মামলা হয়।

২ মার্চ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ১৬ মার্চ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। এতে দুলু ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনকে আসামি করা হয়েছিল। দুলু ছাড়া অন্য তিনজন আগেই জামিন নিয়েছেন।