নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগের কমিশনের আদলেই আমলাদের প্রাধান্য রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান এবং সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল শনিবার নতুন ইসি গঠনের গেজেট প্রকাশ করে। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটি প্রাথমিকভাবে ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা পাঁচজনের নাম ওই তালিকায় আছে। তবে সার্চ কমিটি চূড়ান্তভাবে যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে সেখানে তালিকার বাইরে কারও নাম আছে কি না, তা জানানো হয়নি। নতুন কমিশনে যারা স্থান পেয়েছেন কোন দল বা ব্যক্তি তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিল, এবার তাও জানানো হয়নি। এ বছরই প্রথমবারের মতো আইনের আলোকে ইসি গঠিত হলো। এই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশনেও দুজন আমলা, একজন বিচারক ও একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, সিইসি ও কমিশনার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্চ কমিটি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা বঙ্গভবন থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, এ বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি। টিভিতে আমার নাম দেখে প্রজ্ঞাপন সংগ্রহ করেছি।’
সার্চ কমিটির একটি সূত্র জানায়, নাম চূড়ান্ত করার পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খবর প্রকাশ হয়ে যায় বলে এবার কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়নি। সার্চ কমিটির তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে একজন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছেন। এর বাইরে আরও কয়েকজন তালিকায় নাম দেখে সিইসি বা কমিশনারের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে নতুন কমিশন শপথ নিতে পারে।
সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৯৮১ সালে সহকারী জজ হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। ২০০০ সালে যুগ্ম সচিব হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান তিনি। ২০০৪ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৭ সালের ২৮ জুন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারির (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব পদে নিয়োগ পান তিনি। এরপর রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল ধর্মসচিব এবং ২০১৪ সালের ৩ মার্চ প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ সচিব হন। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁর পিআরএল বাতিল করে এক বছরের চুক্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে নেওয়ার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সন্তান হাবিবুল আউয়ালের জন্ম ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। জেল হত্যা মামলার বাদী সাবেক ডিআইজি প্রিজন কাজী আবদুল আউয়াল তাঁর বাবা।
নবনিযুক্ত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অন্যান্য সব সংস্থা সমানভাবে দায়িত্ব পালন করলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলব, তাদের সহায়তা কামনা করব। তারা কি প্রত্যাশা করেন, আমরা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব এটা আলোচনা হবে। আমি আশা করি বিএনপিও আসবে।’
গত রাতে নিজের পরীবাগের বাসায় হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের ভোটমুখী করাই নতুন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের ভোটের অধিকার আছে। সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
১৯৮৫ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা রাশিদা সুলতানা ১৯৮৮ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। গাইবান্ধা ও রংপুরের জেলা জজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য আনন্দের, খুবই খুশির খবর। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব।’
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার আগে আরও তিন বছরের জন্য বিটিআরসির স্পেকট্রামের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিটিআরসিতে একটি প্রকল্পে এক বছরের জন্য মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান আহসান হাবীব।
১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন মো. আলমগীর। ২০১৯ সালের নির্বাচন কমিশনের সচিব পদে যোগ দেন তিনি। ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে জ্যেষ্ঠ সচিব করে সরকার। এর আগে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া মো. আলমগীরের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায়।
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আনিছুর রহমান শরীয়তপুর জেলার সখীপুর থানার ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৮৫ সালের বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিতে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। ২৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, ছয়টি পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সার্চ কমিটিতে ৩১৫ জনের নাম জমা দেন। সেখান থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করে সার্চ কমিটি।
আগের কমিশনের আদলেই আমলাদের প্রাধান্য রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান এবং সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল শনিবার নতুন ইসি গঠনের গেজেট প্রকাশ করে। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটি প্রাথমিকভাবে ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা পাঁচজনের নাম ওই তালিকায় আছে। তবে সার্চ কমিটি চূড়ান্তভাবে যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে সেখানে তালিকার বাইরে কারও নাম আছে কি না, তা জানানো হয়নি। নতুন কমিশনে যারা স্থান পেয়েছেন কোন দল বা ব্যক্তি তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিল, এবার তাও জানানো হয়নি। এ বছরই প্রথমবারের মতো আইনের আলোকে ইসি গঠিত হলো। এই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশনেও দুজন আমলা, একজন বিচারক ও একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, সিইসি ও কমিশনার হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্চ কমিটি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা বঙ্গভবন থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, এ বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি। টিভিতে আমার নাম দেখে প্রজ্ঞাপন সংগ্রহ করেছি।’
সার্চ কমিটির একটি সূত্র জানায়, নাম চূড়ান্ত করার পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খবর প্রকাশ হয়ে যায় বলে এবার কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়নি। সার্চ কমিটির তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে একজন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছেন। এর বাইরে আরও কয়েকজন তালিকায় নাম দেখে সিইসি বা কমিশনারের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে নতুন কমিশন শপথ নিতে পারে।
সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৯৮১ সালে সহকারী জজ হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালের জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। ২০০০ সালে যুগ্ম সচিব হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান তিনি। ২০০৪ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৭ সালের ২৮ জুন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারির (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব পদে নিয়োগ পান তিনি। এরপর রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল ধর্মসচিব এবং ২০১৪ সালের ৩ মার্চ প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ সচিব হন। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁর পিআরএল বাতিল করে এক বছরের চুক্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি চাকরি থেকে অবসরে নেওয়ার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সন্তান হাবিবুল আউয়ালের জন্ম ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। জেল হত্যা মামলার বাদী সাবেক ডিআইজি প্রিজন কাজী আবদুল আউয়াল তাঁর বাবা।
নবনিযুক্ত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অন্যান্য সব সংস্থা সমানভাবে দায়িত্ব পালন করলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলব, তাদের সহায়তা কামনা করব। তারা কি প্রত্যাশা করেন, আমরা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব এটা আলোচনা হবে। আমি আশা করি বিএনপিও আসবে।’
গত রাতে নিজের পরীবাগের বাসায় হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের ভোটমুখী করাই নতুন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের ভোটের অধিকার আছে। সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
১৯৮৫ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা রাশিদা সুলতানা ১৯৮৮ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। গাইবান্ধা ও রংপুরের জেলা জজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য আনন্দের, খুবই খুশির খবর। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব।’
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার আগে আরও তিন বছরের জন্য বিটিআরসির স্পেকট্রামের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিটিআরসিতে একটি প্রকল্পে এক বছরের জন্য মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান আহসান হাবীব।
১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন মো. আলমগীর। ২০১৯ সালের নির্বাচন কমিশনের সচিব পদে যোগ দেন তিনি। ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে জ্যেষ্ঠ সচিব করে সরকার। এর আগে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া মো. আলমগীরের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায়।
কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আনিছুর রহমান শরীয়তপুর জেলার সখীপুর থানার ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৮৫ সালের বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিতে যোগ দেন। দীর্ঘ দিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। ২৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, ছয়টি পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সার্চ কমিটিতে ৩১৫ জনের নাম জমা দেন। সেখান থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করে সার্চ কমিটি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে