জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ
এক সময়ের খরস্রোতা বাসিয়া নদী ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আশপাশের দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, বাসা-বাড়ি ও সড়কের সব ময়লা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে দূষণের পাশাপাশি নদী ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার মাসুকগঞ্জ বাজারে সুরমা নদী থেকে বাসিয়া নদীর উৎপত্তি। এটি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাইকা নামক স্থানে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিশেছে। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২ কিলোমিটার ও প্রস্থ প্রায় ৩০ মিটার।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাসিয়া নদী। চর ভরাট করে দখল করতে কতিপয় ব্যক্তি নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পলিমাটি ও দখলদারদের কারণে বাসিয়ার দুই মুখ আগের চেয়ে অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ফজল খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ধ্বংস করা হচ্ছে। নদীতে ময়লা না ফেলার জন্য আন্দোলন করলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। উচ্ছেদের জন্য বরাদ্দ এলেও নদী দখল উচ্ছেদ হচ্ছে না। আর বাসিয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ হচ্ছে না বলে আন্দোলনকারীরাও হতাশ।’
বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ বলেন, ‘ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান আছে, তারপরেও মানুষ দোকানপাট ও বাজারের ময়লা-আবর্জনাগুলো নদীতেই ফেলছে। আর বাসিয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদও হচ্ছে না। নির্দেশ এসেছে উচ্ছেদ করার জন্য। কিন্তু কী কারণে ভাঙা হচ্ছে না আমার জানি না। আমাদের দাবি অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হোক।’
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার রেস্তোরাঁ, বাসাবাড়ির ছাই ও ময়লা-আবর্জনাই বাসিয়াকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে দ্রুত নদীর চর ভরাট ও পানি দূষিত হওয়ার পরিমাণও বাড়ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, ‘নদীতে ময়লা না ফেলার জন্য আইনশৃঙ্খলা সভায় অনেক কথা বলেছি। ইতিমধ্যে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্বনাথের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আর মানুষকে সচেতন হতে হবে। অবৈধ দখলে রয়েছে কিছু আইনি জটিলতা। আইনি জটিলতা নিরসন করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদীর আগের রূপ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে কাজ চলছে। আর নদীতে ময়লা না ফেলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, ‘অবৈধ দখল উচ্ছেদ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। বাসিয়া নদীতে যেভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তাতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আর যেভাবে দোকানপাট উঠছে এগুলো আইনের পরিপন্থী এবং পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। দ্রুত এসব অবৈধ দোকানপাট ভাঙার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা জরুরি।’
এক সময়ের খরস্রোতা বাসিয়া নদী ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আশপাশের দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, বাসা-বাড়ি ও সড়কের সব ময়লা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে দূষণের পাশাপাশি নদী ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার মাসুকগঞ্জ বাজারে সুরমা নদী থেকে বাসিয়া নদীর উৎপত্তি। এটি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাইকা নামক স্থানে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিশেছে। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২ কিলোমিটার ও প্রস্থ প্রায় ৩০ মিটার।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাসিয়া নদী। চর ভরাট করে দখল করতে কতিপয় ব্যক্তি নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পলিমাটি ও দখলদারদের কারণে বাসিয়ার দুই মুখ আগের চেয়ে অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ফজল খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ধ্বংস করা হচ্ছে। নদীতে ময়লা না ফেলার জন্য আন্দোলন করলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো ভূমিকা পালন করছে না। উচ্ছেদের জন্য বরাদ্দ এলেও নদী দখল উচ্ছেদ হচ্ছে না। আর বাসিয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ হচ্ছে না বলে আন্দোলনকারীরাও হতাশ।’
বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ বলেন, ‘ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান আছে, তারপরেও মানুষ দোকানপাট ও বাজারের ময়লা-আবর্জনাগুলো নদীতেই ফেলছে। আর বাসিয়া নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদও হচ্ছে না। নির্দেশ এসেছে উচ্ছেদ করার জন্য। কিন্তু কী কারণে ভাঙা হচ্ছে না আমার জানি না। আমাদের দাবি অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হোক।’
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার রেস্তোরাঁ, বাসাবাড়ির ছাই ও ময়লা-আবর্জনাই বাসিয়াকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে দ্রুত নদীর চর ভরাট ও পানি দূষিত হওয়ার পরিমাণও বাড়ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, ‘নদীতে ময়লা না ফেলার জন্য আইনশৃঙ্খলা সভায় অনেক কথা বলেছি। ইতিমধ্যে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্বনাথের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আর মানুষকে সচেতন হতে হবে। অবৈধ দখলে রয়েছে কিছু আইনি জটিলতা। আইনি জটিলতা নিরসন করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদীর আগের রূপ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে কাজ চলছে। আর নদীতে ময়লা না ফেলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, ‘অবৈধ দখল উচ্ছেদ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। বাসিয়া নদীতে যেভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তাতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আর যেভাবে দোকানপাট উঠছে এগুলো আইনের পরিপন্থী এবং পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। দ্রুত এসব অবৈধ দোকানপাট ভাঙার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা জরুরি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে