ফজলুল কবির
সামনে বিরাটকায় দেয়াল। সুপ্রশস্ত রাস্তা সফলভাবে লম্বচ্ছেদ করে দেওয়া সেই দেয়াল আবার নিরেট নয়। মেট্রোরেলের কাজের জন্যই এই আড়ালের ব্যবস্থা; বেশ ফাঁকফোকর আছে। এই ফাঁকফোকর দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দেয় ‘মানি না’, ‘চাই’, ‘করতে হবে’ শব্দগুলো। জায়গাটি রাজধানীর ঢাকার অতিপরিচিত স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব, যা ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন এবং অতি অবশ্যই দাবিনামার এক অবিকল্প কোলাজে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই এখন যতটা যা সভা-সমিতির জ্যান্ত দশা দেখা যায়। সেই জ্যান্ত দশা দেখলে আর যা-ই হোক সভা বা সমাবেশ কোনোটাই করার ইচ্ছা জাগবে না; বরং বুকের ভেতরটা একটু হু হু করে উঠতে পারে। সামনে দিয়ে হুসহাস করে চলে যাচ্ছে বাস, গাড়ি। মাথার ওপর দুর্ভাবনার ছাতা হয়ে আছে মেট্রোরেলের কাঠামো। নির্মাণাধীন কাঠামোর নিচে বা পাশে দাঁড়িয়ে আর যা-ই হোক মন খুলে দাবি পেশ বা বিক্ষোভ প্রদর্শনও সহজ নয়।
এই গত শুক্রবারেই (২০ মে) যেমন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, নাগরিক যুব ঐক্য, লেবার পার্টির নেতা-কর্মীরা। সড়কে দাঁড়িয়ে করা বিক্ষোভ সভা বা সমাবেশগুলোর দাবিনামায় ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি, বাজার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়। প্রেসক্লাবের ভেতরটাও তখন কিন্তু শান্ত ছিল না। সেখানে ছিল বেসরকারি শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রেসক্লাবের হাড়-পাঁজর শত শত দাবির উচ্চারণ শোনে। কখনো কখনো কঠোর আন্দোলনের ডাকে কেঁপেও ওঠে হয়তো।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, তোপখানা রোড নামেই যাকে সবাই চেনে, তা কিন্তু বেশ প্রশস্ত (ছিল)। নাগরিক চাহিদায় এবং যানজট মুক্তির অভিপ্রায়ে সেই প্রশস্ত সড়ক এখন ব্যবচ্ছেদটি মেনে নিয়েছে। তার বুক ফুঁড়ে চলে যাবে দ্রুতগামী মেট্রোরেল; কোনো হুইসেল বাজবে কী? সে যাক, আর তো কয়েকটা দিন। এখন মাথার ওপর লোহালক্কড়, পেছনে প্রেসক্লাবের দারুণ ঐতিহাসিক ব্যাকড্রপ, সামনে বুক ব্যাদান করে দাঁড়ানো সড়ক বিভাজক এবং লোহার কাঠামো দিয়ে বানানো দেয়াল। এই দেয়াল আবার একটানা নয়। মাঝে আইনের মতোই ফাঁক আছে। সেই ফাঁক দিয়ে এপার থেকে ওপারের সব দাবিনামা পড়া যায় চাইলে। প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ও অবশ্য পড়া যায়। তবে একটু দ্রুতগতিতে সরে যেতে হয়। কারণ, এখন দুই পাশের সড়কেই, এমনকি যানবাহনেরও যানজট ছাড়া দুদণ্ড দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
ফলে চলে যেতে হবে। হয় পেছনে হাইকোর্ট রেখে সোজা পুরানা পল্টনের দিকে, নয়তো পুরানা পল্টন থেকে হাইকোর্টের দিকে। উভয় ক্ষেত্রেই মহান সচিবালয় সাক্ষী হয়ে পাশে থাকবে! যে পাশ থেকেই যাওয়া হোক না কেন, চোখে পড়ুক বা না পড়ুক, কানে এসে লাগবেই কারও না কারও কণ্ঠ। কেউ না কেউ, তখন দারুণ আবেগে পড়ে যাচ্ছেন তাঁর বা তাঁর সংগঠনের দাবিনামা। এই দাবিতে মন ঠিকমতো বাঁধার আগেই কানে এসে লাগবে হয়তো সরকারের প্রশস্তিগাথা। আবার তা হজম হওয়ার আগেই হয়তো শুনতে থাকবেন কঠোর আন্দোলনের ডাক। বলার অপেক্ষা রাখে না এই যাবতীয় দাবি ও প্রশস্তিগাথা হেঁটে পার হতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৮ মিনিট। আর অন্য বাহনে তো কথাই নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাব রাজধানী ঢাকার ছোট-বড় সংগঠনগুলোর বড় সহায়। এর ভেতর যতটা না, তার চেয়েও বেশি এর সংলগ্ন মূল রাস্তা। পল্টন ময়দান, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বায়তুল মোকাররম, মুক্তাঙ্গন ইত্যাদি—বিগত ঢাকায় ক্ষোভ ও সন্তোষ দুই-ই প্রদর্শনের একমাত্র কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই প্রেসক্লাব। এটা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে অবশ্য কারও কোনো আক্ষেপও নেই। দাবি উত্থাপন তো করা যাচ্ছে। জায়গাটা একটু সংকীর্ণ হয়ে গেল; এই যা। এ নিয়ে অহেতুক আক্ষেপ বা ক্ষোভ দেখানোর বদলে অন্য কত কী নিয়ে দেখানো যায়।
তাই প্রতিদিনই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভিড় করে কিছু মানুষ। নানা উদ্দেশ্য তাদের। মোটাদাগে তাদের ব্যানার বা পোস্টার বা ফেস্টুনে লেখা থাকে ‘মানি না’, ‘চাই’, ‘করতে হবে’-এর মতো শব্দগুলো। প্রেক্ষাপট বদল হয়, এই শব্দগুলোর সহশব্দও বদলে যায়। এখন যেমন এই সহশব্দের তালিকায় আছে ‘ভোজ্যতেলের দাম’, ‘চাকরি স্থায়ীকরণ’, ‘বাক্স্বাধীনতা’ ইত্যাদি। কিছুদিন আগে হয়তো ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবি, ছিল জ্বালানি তেল বা পরিবহন ব্যয় কমানোর দাবি।
আগে এই সভা-সমাবেশগুলোর সামনে কিছু মানুষ জড়ো হতো। রিকশাচালকেরা নতুন যাত্রী পাওয়ার আগে কিছুক্ষণ রিকশা থামিয়ে শুনতেন। পথচারীরা কিংবা যানজটে ঘামতে ঘামতে বাসের ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে প্রবল ঔৎসুক্যে কান পেতে থাকত মানুষ। এমনকি রাষ্ট্রের হয়ে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও কি শুনতেন না? কী শুনতেন? দাবিনামায় তাঁদের জন্য কিছু আছে কি না, হয়তো তাই শোনার চেষ্টা করতেন তাঁরা। এখন সেই সুযোগও নেই। মেট্রোর কল্যাণে সড়কটি এতটাই সংকীর্ণ হয়েছে যে সেখানে কেউ আর দাঁড়িয়ে চলমান সভাগুলোর বক্তাদের বক্তব্য আলাদা করে শুনতে পান না। পরিসর ছোট হওয়ায় একই সময়ে সভা-সমাবেশ করা সংগঠনগুলোও বেশ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়াচ্ছে এখন। একটা বেশ নৈকট্য হয়েছে বলা যায়, তবে তা মতে নয়, শরীরগতভাবে। ফলে কারও দাবি বা উচ্চারিত শব্দই আর আলাদা থাকছে না। একজনের কণ্ঠ গিলে খাচ্ছে আরেকজনের দাবি। যেমনটা চলছে সর্বত্র। আজকের এই জাতীয় প্রেসক্লাব যেন গোটা রাষ্ট্রেরই সারসংক্ষেপ হয়ে দৃশ্যমান, যেখানে নানা মতের মানুষের ভাষ্য এক মামুলি কোলাজে পরিণত হয়েছে, যেখানে পূর্ণ চিত্রের দেখা আর কেউ পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আর ধরতেই পারছে না, কে যে কেন কোথায় কী নিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কার ব্যথা আসলে কী, মাত্রাই-বা কত? এই এক কোলাজের ভেতরে এসে তাবৎ ক্ষোভ পথ হারিয়ে ভুলে বসে আছে যেন।
সামনে বিরাটকায় দেয়াল। সুপ্রশস্ত রাস্তা সফলভাবে লম্বচ্ছেদ করে দেওয়া সেই দেয়াল আবার নিরেট নয়। মেট্রোরেলের কাজের জন্যই এই আড়ালের ব্যবস্থা; বেশ ফাঁকফোকর আছে। এই ফাঁকফোকর দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দেয় ‘মানি না’, ‘চাই’, ‘করতে হবে’ শব্দগুলো। জায়গাটি রাজধানীর ঢাকার অতিপরিচিত স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব, যা ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন এবং অতি অবশ্যই দাবিনামার এক অবিকল্প কোলাজে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই এখন যতটা যা সভা-সমিতির জ্যান্ত দশা দেখা যায়। সেই জ্যান্ত দশা দেখলে আর যা-ই হোক সভা বা সমাবেশ কোনোটাই করার ইচ্ছা জাগবে না; বরং বুকের ভেতরটা একটু হু হু করে উঠতে পারে। সামনে দিয়ে হুসহাস করে চলে যাচ্ছে বাস, গাড়ি। মাথার ওপর দুর্ভাবনার ছাতা হয়ে আছে মেট্রোরেলের কাঠামো। নির্মাণাধীন কাঠামোর নিচে বা পাশে দাঁড়িয়ে আর যা-ই হোক মন খুলে দাবি পেশ বা বিক্ষোভ প্রদর্শনও সহজ নয়।
এই গত শুক্রবারেই (২০ মে) যেমন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, নাগরিক যুব ঐক্য, লেবার পার্টির নেতা-কর্মীরা। সড়কে দাঁড়িয়ে করা বিক্ষোভ সভা বা সমাবেশগুলোর দাবিনামায় ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি, বাজার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়। প্রেসক্লাবের ভেতরটাও তখন কিন্তু শান্ত ছিল না। সেখানে ছিল বেসরকারি শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রেসক্লাবের হাড়-পাঁজর শত শত দাবির উচ্চারণ শোনে। কখনো কখনো কঠোর আন্দোলনের ডাকে কেঁপেও ওঠে হয়তো।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, তোপখানা রোড নামেই যাকে সবাই চেনে, তা কিন্তু বেশ প্রশস্ত (ছিল)। নাগরিক চাহিদায় এবং যানজট মুক্তির অভিপ্রায়ে সেই প্রশস্ত সড়ক এখন ব্যবচ্ছেদটি মেনে নিয়েছে। তার বুক ফুঁড়ে চলে যাবে দ্রুতগামী মেট্রোরেল; কোনো হুইসেল বাজবে কী? সে যাক, আর তো কয়েকটা দিন। এখন মাথার ওপর লোহালক্কড়, পেছনে প্রেসক্লাবের দারুণ ঐতিহাসিক ব্যাকড্রপ, সামনে বুক ব্যাদান করে দাঁড়ানো সড়ক বিভাজক এবং লোহার কাঠামো দিয়ে বানানো দেয়াল। এই দেয়াল আবার একটানা নয়। মাঝে আইনের মতোই ফাঁক আছে। সেই ফাঁক দিয়ে এপার থেকে ওপারের সব দাবিনামা পড়া যায় চাইলে। প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ও অবশ্য পড়া যায়। তবে একটু দ্রুতগতিতে সরে যেতে হয়। কারণ, এখন দুই পাশের সড়কেই, এমনকি যানবাহনেরও যানজট ছাড়া দুদণ্ড দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
ফলে চলে যেতে হবে। হয় পেছনে হাইকোর্ট রেখে সোজা পুরানা পল্টনের দিকে, নয়তো পুরানা পল্টন থেকে হাইকোর্টের দিকে। উভয় ক্ষেত্রেই মহান সচিবালয় সাক্ষী হয়ে পাশে থাকবে! যে পাশ থেকেই যাওয়া হোক না কেন, চোখে পড়ুক বা না পড়ুক, কানে এসে লাগবেই কারও না কারও কণ্ঠ। কেউ না কেউ, তখন দারুণ আবেগে পড়ে যাচ্ছেন তাঁর বা তাঁর সংগঠনের দাবিনামা। এই দাবিতে মন ঠিকমতো বাঁধার আগেই কানে এসে লাগবে হয়তো সরকারের প্রশস্তিগাথা। আবার তা হজম হওয়ার আগেই হয়তো শুনতে থাকবেন কঠোর আন্দোলনের ডাক। বলার অপেক্ষা রাখে না এই যাবতীয় দাবি ও প্রশস্তিগাথা হেঁটে পার হতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৮ মিনিট। আর অন্য বাহনে তো কথাই নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাব রাজধানী ঢাকার ছোট-বড় সংগঠনগুলোর বড় সহায়। এর ভেতর যতটা না, তার চেয়েও বেশি এর সংলগ্ন মূল রাস্তা। পল্টন ময়দান, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বায়তুল মোকাররম, মুক্তাঙ্গন ইত্যাদি—বিগত ঢাকায় ক্ষোভ ও সন্তোষ দুই-ই প্রদর্শনের একমাত্র কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই প্রেসক্লাব। এটা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে অবশ্য কারও কোনো আক্ষেপও নেই। দাবি উত্থাপন তো করা যাচ্ছে। জায়গাটা একটু সংকীর্ণ হয়ে গেল; এই যা। এ নিয়ে অহেতুক আক্ষেপ বা ক্ষোভ দেখানোর বদলে অন্য কত কী নিয়ে দেখানো যায়।
তাই প্রতিদিনই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভিড় করে কিছু মানুষ। নানা উদ্দেশ্য তাদের। মোটাদাগে তাদের ব্যানার বা পোস্টার বা ফেস্টুনে লেখা থাকে ‘মানি না’, ‘চাই’, ‘করতে হবে’-এর মতো শব্দগুলো। প্রেক্ষাপট বদল হয়, এই শব্দগুলোর সহশব্দও বদলে যায়। এখন যেমন এই সহশব্দের তালিকায় আছে ‘ভোজ্যতেলের দাম’, ‘চাকরি স্থায়ীকরণ’, ‘বাক্স্বাধীনতা’ ইত্যাদি। কিছুদিন আগে হয়তো ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবি, ছিল জ্বালানি তেল বা পরিবহন ব্যয় কমানোর দাবি।
আগে এই সভা-সমাবেশগুলোর সামনে কিছু মানুষ জড়ো হতো। রিকশাচালকেরা নতুন যাত্রী পাওয়ার আগে কিছুক্ষণ রিকশা থামিয়ে শুনতেন। পথচারীরা কিংবা যানজটে ঘামতে ঘামতে বাসের ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে প্রবল ঔৎসুক্যে কান পেতে থাকত মানুষ। এমনকি রাষ্ট্রের হয়ে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও কি শুনতেন না? কী শুনতেন? দাবিনামায় তাঁদের জন্য কিছু আছে কি না, হয়তো তাই শোনার চেষ্টা করতেন তাঁরা। এখন সেই সুযোগও নেই। মেট্রোর কল্যাণে সড়কটি এতটাই সংকীর্ণ হয়েছে যে সেখানে কেউ আর দাঁড়িয়ে চলমান সভাগুলোর বক্তাদের বক্তব্য আলাদা করে শুনতে পান না। পরিসর ছোট হওয়ায় একই সময়ে সভা-সমাবেশ করা সংগঠনগুলোও বেশ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়াচ্ছে এখন। একটা বেশ নৈকট্য হয়েছে বলা যায়, তবে তা মতে নয়, শরীরগতভাবে। ফলে কারও দাবি বা উচ্চারিত শব্দই আর আলাদা থাকছে না। একজনের কণ্ঠ গিলে খাচ্ছে আরেকজনের দাবি। যেমনটা চলছে সর্বত্র। আজকের এই জাতীয় প্রেসক্লাব যেন গোটা রাষ্ট্রেরই সারসংক্ষেপ হয়ে দৃশ্যমান, যেখানে নানা মতের মানুষের ভাষ্য এক মামুলি কোলাজে পরিণত হয়েছে, যেখানে পূর্ণ চিত্রের দেখা আর কেউ পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আর ধরতেই পারছে না, কে যে কেন কোথায় কী নিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কার ব্যথা আসলে কী, মাত্রাই-বা কত? এই এক কোলাজের ভেতরে এসে তাবৎ ক্ষোভ পথ হারিয়ে ভুলে বসে আছে যেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে