বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহী বাঘা উপজেলার হলুদের সুখ্যাতি আছে সারা দেশে। বিশেষ করে আড়ানীর হলুদের রং হয় কড়া। এবারও উপজেলায় হলুদের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি ডিমলা, সুন্দরী হলুদ আবাদ হয়েছে। এতে যুক্ত আছেন প্রায় ৩ হাজার কৃষক। হলুদ বিক্রি করে তাঁদের আয় হবে অন্তত ৪৩ কোটি টাকা।
উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকা, গোচর, হামিদকুড়া, জোতরঘু, কুশাবাড়িয়া চকশিংগা পিয়াদাপাড়া, রুস্তমপুর আড়ানী ইউনিয়নে পাঁচপাড়া, সোনাদহ খোর্দ্দ বাউসাসহ বাউসা ইউনিয়নে বাউসা মিয়াপাড়া, বাউসা সরকারপাড়া, ফতেপুর বাউসা, দিঘা এলাকার কৃষকেরা হলুদ চাষ করেছেন। এ ছাড়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা কম বেশি সব এলাকায় হলুদের চাষ হয়। কৃষকেরা গত বছর হলুদের ফলন ও ভালো দাম পেয়েছেন। তাই এবার আরও বেশি জমিতে হলুদের আবাদ করেছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, হলুদের আবাদে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম হয়। চাষ শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। জমি থেকে ২৭০ থেকে ২৮০ দিনের মধ্যে হলুদ উত্তোলন করতে হয়। এই সময়ে হলুদের জমিতে ‘সাথি ফসল’ হিসেবে পটোল, শিম, ঝিঙে, করলা, পুঁই, আলু, লাউ, কুমড়া চাষ করে বাড়তি আয় করা যায়। অর্থাৎ হলুদ চাষ করা জমিতে একই সঙ্গে কৃষকেরা দুই ফসল ফলাতে পারেন।
উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের চাষি আমানুল হক বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। জমিতে হলুদ রোপণের পর কিছু রাসায়নিক সার কীটনাশক প্রয়োগে পর পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। হলুদের খেতে শাক-সবজিও ফলানো যায়। এ কারণে অনেক কৃষক হলুদ আবাদে ঝুঁকছেন।
উপজেলার আড়ানী এলাকার চাষি অলিম বলেন, তাঁর নিজের জমি নেই। তাই ১০ কাঠা জমি ইজারা নিয়ে হলুদ চাষ করেছেন।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের চাষি গোলাম তোরাবুল কিবরিয়া বলেন, হলুদ আবাদে অন্য ফসলের মতো সেচ দিতে হয় না, বাড়তি রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। রোপণের পর পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। এই এলাকার মাটি উর্বর। তাই ফলন বেশ ভালো হয়। হলুদের রং কড়া হয়। আশা করছেন, এবার ভালো ফলন ও দাম পাবেন।
উপজেলা খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের শিক্ষক সাহাদত হোসেন বলেন, ‘হলুদ চাষ আমাদের এলাকার লোকজনের পারিবারিক ঐতিহ্য। হলুদ চাষ না করলে যেন ভালোই লাগে না। এই এলাকার বেশির ভাগ লোক হলুদ ওঠানো পরে প্রক্রিয়াজাত করে ঘরে রেখে দেওয়া হয়। ব্যাংকে টাকা রাখার মতো মনে করে আমরা ঘরে হলুদ রাখি। সংসারে টাকার সংকট দেখা দিলে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু হলুদ বাজারে বিক্রি করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত শুকনো হলুদ বিক্রি করে অন্তত ৪৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
রাজশাহী বাঘা উপজেলার হলুদের সুখ্যাতি আছে সারা দেশে। বিশেষ করে আড়ানীর হলুদের রং হয় কড়া। এবারও উপজেলায় হলুদের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি ডিমলা, সুন্দরী হলুদ আবাদ হয়েছে। এতে যুক্ত আছেন প্রায় ৩ হাজার কৃষক। হলুদ বিক্রি করে তাঁদের আয় হবে অন্তত ৪৩ কোটি টাকা।
উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকা, গোচর, হামিদকুড়া, জোতরঘু, কুশাবাড়িয়া চকশিংগা পিয়াদাপাড়া, রুস্তমপুর আড়ানী ইউনিয়নে পাঁচপাড়া, সোনাদহ খোর্দ্দ বাউসাসহ বাউসা ইউনিয়নে বাউসা মিয়াপাড়া, বাউসা সরকারপাড়া, ফতেপুর বাউসা, দিঘা এলাকার কৃষকেরা হলুদ চাষ করেছেন। এ ছাড়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা কম বেশি সব এলাকায় হলুদের চাষ হয়। কৃষকেরা গত বছর হলুদের ফলন ও ভালো দাম পেয়েছেন। তাই এবার আরও বেশি জমিতে হলুদের আবাদ করেছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, হলুদের আবাদে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম হয়। চাষ শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। জমি থেকে ২৭০ থেকে ২৮০ দিনের মধ্যে হলুদ উত্তোলন করতে হয়। এই সময়ে হলুদের জমিতে ‘সাথি ফসল’ হিসেবে পটোল, শিম, ঝিঙে, করলা, পুঁই, আলু, লাউ, কুমড়া চাষ করে বাড়তি আয় করা যায়। অর্থাৎ হলুদ চাষ করা জমিতে একই সঙ্গে কৃষকেরা দুই ফসল ফলাতে পারেন।
উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের চাষি আমানুল হক বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। জমিতে হলুদ রোপণের পর কিছু রাসায়নিক সার কীটনাশক প্রয়োগে পর পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। হলুদের খেতে শাক-সবজিও ফলানো যায়। এ কারণে অনেক কৃষক হলুদ আবাদে ঝুঁকছেন।
উপজেলার আড়ানী এলাকার চাষি অলিম বলেন, তাঁর নিজের জমি নেই। তাই ১০ কাঠা জমি ইজারা নিয়ে হলুদ চাষ করেছেন।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের চাষি গোলাম তোরাবুল কিবরিয়া বলেন, হলুদ আবাদে অন্য ফসলের মতো সেচ দিতে হয় না, বাড়তি রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। রোপণের পর পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। এই এলাকার মাটি উর্বর। তাই ফলন বেশ ভালো হয়। হলুদের রং কড়া হয়। আশা করছেন, এবার ভালো ফলন ও দাম পাবেন।
উপজেলা খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের শিক্ষক সাহাদত হোসেন বলেন, ‘হলুদ চাষ আমাদের এলাকার লোকজনের পারিবারিক ঐতিহ্য। হলুদ চাষ না করলে যেন ভালোই লাগে না। এই এলাকার বেশির ভাগ লোক হলুদ ওঠানো পরে প্রক্রিয়াজাত করে ঘরে রেখে দেওয়া হয়। ব্যাংকে টাকা রাখার মতো মনে করে আমরা ঘরে হলুদ রাখি। সংসারে টাকার সংকট দেখা দিলে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু হলুদ বাজারে বিক্রি করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত শুকনো হলুদ বিক্রি করে অন্তত ৪৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে