ঝালকাঠিতে ‘জীবন তরীতে’ আস্থা বাড়ছে রোগীদের

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৪৭
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ২৪

ঝালকাঠিতে ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’তে আস্থা বেড়েছে রোগীদের। কম খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ায় রোগীরা ভিড় করছেন ভাসমান এই হাসপাতালে। ফলে গত ৯ মাসে প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ‘জীবন তরী’ হাসপাতাল থেকে।

জানা গেছে, জেলা শহরের ডিসি পার্ক এলাকার সুগন্ধা নদীর তীরে পরিচালিত হচ্ছে ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’। হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থার সাহায্যে। হাসপাতালে কম খরচে চিকিৎসাসেবা পাওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন এখানে। প্রত্যাশিত সেবা পাওয়ায় খুশি তাঁরা। নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর পা, বাঁকা পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থোপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিকলাঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে নদীতে ভাসমান এই হাসপাতাল থেকে। আরও ছয় মাস এখানে হাসপাতালটি চিকিৎসাসেবা দেবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পালট গ্রামের বাহার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছেন। তিনি জানান, এখানে ৩ হাজার টাকায় নিলেও ভালো মানের লেন্স পাওয়া যায়। চিকিৎসাসেবাও উন্নতমানের।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিভাগীয় শহর ছাড়া নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক পাওয়া যায় না। আবার সব সময় বিভাগীয় শহরে ডাক্তার পাওয়াও কঠিন। যাতায়াত ব্যবস্থাও দুরূহ, খরচ বেশি। কিন্তু এখানে কম খরচে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাওয়া যায়। তাই এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’

জীবন তরীর টিমের সঙ্গে শিশুদের জন্মগত মুগর পায়ের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যুক্ত হয়েছেন পেডিয়াট্রিক অর্থোপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের ৬ জন বিশেজ্ঞ সার্জন। এই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. সরোয়ার ইবনে সালাম।

জানা গেছে, ৫০ টাকার টিকিটে মিলবে চিকিৎসাসেবা। তবে অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলাদা খরচ রোগীকে বহন করতে হবে। অপারেশনের পর রোগীরা ভাসমান হাসপাতালে থাকেন। তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে। যে রোগীদের ছানি অপারেশনের পরে লেন্স বসানো প্রয়োজন হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন হাজার টাকা থেকে ২২ হাজার টাকার প্যাকেজ রয়েছে। তবে অসহায় ও গরিব রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জীবন তরী ভাসমান হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা মিলিয়ে জীবন তরী জাহাজটিতে সার্বক্ষণিক ৩৫ জন থাকেন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসে সার্জারিসহ নাক-কান-গলার চিকিৎসা দিচ্ছেন। ১০ শয্যার হাসপাতালটিতে চারজন চিকিৎসক নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত