গ্যাবার প্রেসবক্সের ঠিক পাশেই প্লেয়ার্স লাউঞ্জ। সেখানে বসে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দেখছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে কর্মরত সাবেক এই জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ইনিংস বিরতিতে আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন আরভিন-উইলিয়ামস-রাজাদের বদলে যাওয়ার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ে যেন বদলে যাওয়া এক দল। এর পেছনে রহস্য কী?
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা: এখন পর্যন্ত সব দারুণ যাচ্ছে। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। দেখতেই ভালো লাগছে। তারা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। এটার মধ্যে আসলে কোনো জাদু নেই। ছেলেরা অনেক দিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। আমরা কিছু ফলের আশা করছি।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বদলে যাওয়ার পেছনে কোচ ডেভ হটন আর আপনার বড় অবদান আছে। এই দলে কী কী পরিবর্তন আপনারা এনেছেন?
মাসাকাদজা: বলব না, আমরা খুব একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আমি মনে করি, ডেভ যেটা করেছে ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরির চেষ্টা করেছে। এবং তাদের মাথা থেকে ব্যর্থ হওয়ার ভয়ের ব্যাপারটা দূর করতে ভূমিকা রেখেছে। তারা এখন অনেক বেশি স্বাধীনভাবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। কেউ না কেউ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছে।
প্রশ্ন: এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের পার্থক্য কোথায়?
মাসাকাদজা: এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করতে বাংলাদেশ কাজ করছে। এখানে আমরা কিছুটা এগিয়ে গেছি। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেট ও লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে গেছে। তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা অনেক ভালো করছি।
প্রশ্ন: পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় কি জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে?
মাসাকাদজা: হ্যাঁ, এটা (পাওয়ার হিটিং) বড় পার্থক্য তৈরি করছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না, এটাই সবকিছু কিংবা এটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কিছু আছে। বাউন্ডারি মারতে না পারলেও স্কোরিং শটের অনেক অপশন আছে। সেই অপশন বের করা গুরুত্বপূর্ণ।শেষ করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে যেখানে বাউন্ডারি সীমানা অনেক বড়। বাউন্ডারি সীমানার দূরত্বের কারণে ছক্কা মারার ক্ষমতা এখানে পার্থক্য তৈরি করছে না। স্মার্ট ক্রিকেট খেলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাপ খুঁজে বের করে রান করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার মতে তাই বিগ হিটিং দরকার কিন্তু এটা নিয়ে পড়ে থাকার কিছু নেই।
প্রশ্ন: সেদিন বাংলাদেশ কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম বলছিলেন, অনেক বেশি বাইরের লিগ খেলায় ক্রিকেটাররা স্কিলে এগিয়ে যাচ্ছে। জিম্বাবুয়েও তেমন। আসলেই তাই?
মাসাকাদজা: আসলে আমাদের বেশি ছেলে বাইরের লিগে খেলে না। রাজা ও ব্লেসিং কিছু সুযোগ পায়। তারা অনেক বেশি (আন্তর্জাতিক) ম্যাচ খেলেছে এই কারণে। বিশেষ করে কোয়ালিফায়ার মিলিয়ে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। কোয়ালিফায়ার খেলা এক অর্থে এই ছেলেদের জন্য সৌভাগ্য হয়ে এসেছে। নিজেদের খেলাটা বুঝতে তারা সময় পাচ্ছে এখানে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে তৈরি হওয়ার জন্য তারা অনেক টি-টোয়েন্টি খেলেছে। আমার মনে হয়, তারা এসব ম্যাচ থেকে নিজেদের নিয়ে বোঝার সময় পেয়েছে এবং সেটা কাজে লাগিয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে আপনার ভালো ধারণা আছে। এর মান নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
মাসাকাদজা: আমার মনে হয়, তাদের ঘরোয়া সেটআপ দুর্দান্ত। তারা ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট খেলে। এখানে বেশি কিছু আর করার নেই। টি-টোয়েন্টিতে ফল পেতে কিছু সময় দরকার। ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণে তাদের ৫০ ওভারের ক্রিকেট এবং টেস্টে বেশ উন্নতি হয়েছে। এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বলার মতো হচ্ছে না। এটির কারণ কী?
মাসাকাদজা: কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় চলে যাওয়াটা একটা কারণ হতে পারে। এখন যারা আছে, তারা সময়ের সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।
গ্যাবার প্রেসবক্সের ঠিক পাশেই প্লেয়ার্স লাউঞ্জ। সেখানে বসে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দেখছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে কর্মরত সাবেক এই জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ইনিংস বিরতিতে আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন আরভিন-উইলিয়ামস-রাজাদের বদলে যাওয়ার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ে যেন বদলে যাওয়া এক দল। এর পেছনে রহস্য কী?
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা: এখন পর্যন্ত সব দারুণ যাচ্ছে। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। দেখতেই ভালো লাগছে। তারা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। এটার মধ্যে আসলে কোনো জাদু নেই। ছেলেরা অনেক দিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। আমরা কিছু ফলের আশা করছি।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বদলে যাওয়ার পেছনে কোচ ডেভ হটন আর আপনার বড় অবদান আছে। এই দলে কী কী পরিবর্তন আপনারা এনেছেন?
মাসাকাদজা: বলব না, আমরা খুব একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আমি মনে করি, ডেভ যেটা করেছে ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরির চেষ্টা করেছে। এবং তাদের মাথা থেকে ব্যর্থ হওয়ার ভয়ের ব্যাপারটা দূর করতে ভূমিকা রেখেছে। তারা এখন অনেক বেশি স্বাধীনভাবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। কেউ না কেউ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছে।
প্রশ্ন: এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের পার্থক্য কোথায়?
মাসাকাদজা: এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করতে বাংলাদেশ কাজ করছে। এখানে আমরা কিছুটা এগিয়ে গেছি। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেট ও লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে গেছে। তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা অনেক ভালো করছি।
প্রশ্ন: পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় কি জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে?
মাসাকাদজা: হ্যাঁ, এটা (পাওয়ার হিটিং) বড় পার্থক্য তৈরি করছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না, এটাই সবকিছু কিংবা এটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কিছু আছে। বাউন্ডারি মারতে না পারলেও স্কোরিং শটের অনেক অপশন আছে। সেই অপশন বের করা গুরুত্বপূর্ণ।শেষ করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে যেখানে বাউন্ডারি সীমানা অনেক বড়। বাউন্ডারি সীমানার দূরত্বের কারণে ছক্কা মারার ক্ষমতা এখানে পার্থক্য তৈরি করছে না। স্মার্ট ক্রিকেট খেলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাপ খুঁজে বের করে রান করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার মতে তাই বিগ হিটিং দরকার কিন্তু এটা নিয়ে পড়ে থাকার কিছু নেই।
প্রশ্ন: সেদিন বাংলাদেশ কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম বলছিলেন, অনেক বেশি বাইরের লিগ খেলায় ক্রিকেটাররা স্কিলে এগিয়ে যাচ্ছে। জিম্বাবুয়েও তেমন। আসলেই তাই?
মাসাকাদজা: আসলে আমাদের বেশি ছেলে বাইরের লিগে খেলে না। রাজা ও ব্লেসিং কিছু সুযোগ পায়। তারা অনেক বেশি (আন্তর্জাতিক) ম্যাচ খেলেছে এই কারণে। বিশেষ করে কোয়ালিফায়ার মিলিয়ে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। কোয়ালিফায়ার খেলা এক অর্থে এই ছেলেদের জন্য সৌভাগ্য হয়ে এসেছে। নিজেদের খেলাটা বুঝতে তারা সময় পাচ্ছে এখানে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে তৈরি হওয়ার জন্য তারা অনেক টি-টোয়েন্টি খেলেছে। আমার মনে হয়, তারা এসব ম্যাচ থেকে নিজেদের নিয়ে বোঝার সময় পেয়েছে এবং সেটা কাজে লাগিয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে আপনার ভালো ধারণা আছে। এর মান নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
মাসাকাদজা: আমার মনে হয়, তাদের ঘরোয়া সেটআপ দুর্দান্ত। তারা ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট খেলে। এখানে বেশি কিছু আর করার নেই। টি-টোয়েন্টিতে ফল পেতে কিছু সময় দরকার। ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণে তাদের ৫০ ওভারের ক্রিকেট এবং টেস্টে বেশ উন্নতি হয়েছে। এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বলার মতো হচ্ছে না। এটির কারণ কী?
মাসাকাদজা: কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় চলে যাওয়াটা একটা কারণ হতে পারে। এখন যারা আছে, তারা সময়ের সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে