সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
একই নিবন্ধন নম্বরের দুটি সিএনজি অটোরিকশা। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সম্প্রতি আটকের পর জানা গেল দুটি সিএনজির রেজিস্ট্রেশন নম্বরই ছিল ভুয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করেই মূলত সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
গত ১৮ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর ও পশ্চিম) একটি দল পাঁচলাইশ থেকে ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত ওই দুটিসহ মোট তিনটি চোরাই সিএনজিসহ অটোরিকশা আটক করে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত অন্তত ১ হাজার গাড়ি চলাচল করছে। পুলিশ, সাংবাদিকদের পরিচয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নামে চলে এসব গাড়ি।
এ বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর) নোবেল চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাঁচলাইশে আটক হওয়া সিএনজি অটোরিকশাগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া ছিল। দিনে ট্রাফিক পুলিশ থাকায় এ ধরনের গাড়ি মূলত রাতে চলাচল করে।
ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত গাড়িগুলো সাধারণত বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত হয় জানিয়ে নোবেল চাকমা বলেন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া হওয়ায় এসব গাড়ি পরবর্তী সময়ে শনাক্ত করা যায় না। গাড়ির নিবন্ধন তথ্য ভুয়া থাকায় উল্লিখিত জায়গায় গিয়ে গাড়িগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তবে এ ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধে অভিযান চলছে।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর সাতটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭। ওই ঘটনায় জানা যায়, সব কটি গাড়িতে লাগানো রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলো ছিল ভুয়া। এ ছাড়া আগস্টে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত ছয়টি সিএনজি অটোরিকশাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল।
অভিযান-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিএনজি অটোরিকশাগুলো ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে দেখিয়ে শহরে চলাচল করে আসছিল। তবে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের দাবি, ট্রাফিক পুলিশের মধ্যস্থতায় এসব সিএনজি সড়কে চলছে এবং মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো আটক করা হচ্ছে।
এদিকে ব্যক্তিগত সিএনজির পাশাপাশি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ঝাউতলা, শেরশাহ বাংলা বাজার, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জেলায় নিবন্ধিত (চট্টগ্রাম) অটোরিকশাও। শহরের মূল সড়কে না চললেও, এসব অটোরিকশা অলিগলির বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে চলছে। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন চালক-মালিকের সংগঠনের পাশাপাশি ট্রাফিক সার্জেন্ট, থানা-পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার ও সোর্সসহ স্থানীয় ক্যাডাররা মাসোহারা ভিত্তিতে অবৈধভাবে এসব গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর-ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ভেতরে চট্টগ্রাম নিবন্ধনভুক্ত ও ভুয়া নম্বর প্লেটের সিএনজি অটোরিকশার চলাচল যখনই আমাদের নজরে পড়ছে, তাৎক্ষণিক সেগুলো আটক করা হচ্ছে। গাড়ির মালিকদের নিয়মিত জরিমানা করা হচ্ছে। যেগুলোর কাগজপত্র ঠিক নেই সেগুলো আমরা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
সম্প্রতি সিএনজি অটোরিকশায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করেছে সিএমপি। এই কার্যক্রমের আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশাগুলো পুলিশের ডেটাবেইসে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এতে গাড়িসহ মালিক ও চালকদের তাৎক্ষণিক শনাক্তকরণ সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই নিবন্ধন নম্বরের দুটি সিএনজি অটোরিকশা। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সম্প্রতি আটকের পর জানা গেল দুটি সিএনজির রেজিস্ট্রেশন নম্বরই ছিল ভুয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করেই মূলত সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
গত ১৮ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর ও পশ্চিম) একটি দল পাঁচলাইশ থেকে ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত ওই দুটিসহ মোট তিনটি চোরাই সিএনজিসহ অটোরিকশা আটক করে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত অন্তত ১ হাজার গাড়ি চলাচল করছে। পুলিশ, সাংবাদিকদের পরিচয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নামে চলে এসব গাড়ি।
এ বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর) নোবেল চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাঁচলাইশে আটক হওয়া সিএনজি অটোরিকশাগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া ছিল। দিনে ট্রাফিক পুলিশ থাকায় এ ধরনের গাড়ি মূলত রাতে চলাচল করে।
ভুয়া নম্বরপ্লেটযুক্ত গাড়িগুলো সাধারণত বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত হয় জানিয়ে নোবেল চাকমা বলেন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া হওয়ায় এসব গাড়ি পরবর্তী সময়ে শনাক্ত করা যায় না। গাড়ির নিবন্ধন তথ্য ভুয়া থাকায় উল্লিখিত জায়গায় গিয়ে গাড়িগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তবে এ ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধে অভিযান চলছে।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর সাতটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭। ওই ঘটনায় জানা যায়, সব কটি গাড়িতে লাগানো রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলো ছিল ভুয়া। এ ছাড়া আগস্টে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত ছয়টি সিএনজি অটোরিকশাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল।
অভিযান-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিএনজি অটোরিকশাগুলো ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে দেখিয়ে শহরে চলাচল করে আসছিল। তবে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের দাবি, ট্রাফিক পুলিশের মধ্যস্থতায় এসব সিএনজি সড়কে চলছে এবং মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো আটক করা হচ্ছে।
এদিকে ব্যক্তিগত সিএনজির পাশাপাশি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ঝাউতলা, শেরশাহ বাংলা বাজার, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জেলায় নিবন্ধিত (চট্টগ্রাম) অটোরিকশাও। শহরের মূল সড়কে না চললেও, এসব অটোরিকশা অলিগলির বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে চলছে। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন চালক-মালিকের সংগঠনের পাশাপাশি ট্রাফিক সার্জেন্ট, থানা-পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার ও সোর্সসহ স্থানীয় ক্যাডাররা মাসোহারা ভিত্তিতে অবৈধভাবে এসব গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর-ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ভেতরে চট্টগ্রাম নিবন্ধনভুক্ত ও ভুয়া নম্বর প্লেটের সিএনজি অটোরিকশার চলাচল যখনই আমাদের নজরে পড়ছে, তাৎক্ষণিক সেগুলো আটক করা হচ্ছে। গাড়ির মালিকদের নিয়মিত জরিমানা করা হচ্ছে। যেগুলোর কাগজপত্র ঠিক নেই সেগুলো আমরা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
সম্প্রতি সিএনজি অটোরিকশায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করেছে সিএমপি। এই কার্যক্রমের আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশাগুলো পুলিশের ডেটাবেইসে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এতে গাড়িসহ মালিক ও চালকদের তাৎক্ষণিক শনাক্তকরণ সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে