নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোজ্যতেল বিক্রিতে আমদানিকারক বা পরিশোধনকারী, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী কেউই আইন মানছে না। আইন না মানায় পণ্যটির দাম ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে কারও মনে স্বস্তি নেই। সরকার ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন নানাভাবে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। কিন্তু দাম আর কমছে না।
নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে এবং কারসাজি প্রতিরোধে ২০১১ সালে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ তৈরি করে সরকার। সরকারের ওই আদেশটি প্রায় অকার্যকর রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। এর একটি হলো বিক্রয় আদেশ হস্তান্তর না করা। ব্যবসায়ীরা তাঁদের নেওয়া বিক্রয় আদেশ একে অপরের কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এতে একাধিক হাতবদলের কারণে বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজারের পরিবেশক হারুন-উর-রশিদ পাপ্পু ভোজ্যতেলের একজন পরিবেশক। তিনি মিল থেকে তেল না তুলে বিক্রয় আদেশের (এসও) কপি অন্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ঘটনা তিনি গতকাল ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নিজেই স্বীকার করেন। শুধু পাপ্পুই নয়। তাঁর মতো অসংখ্য ব্যবসায়ী এভাবে বিক্রয় আদেশ হাতবদল করছেন।
পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৯ ধারার উপধারা (২)-এ বলা আছে, সরবরাহ আদেশ কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য হবে না। উপধারা (৩)-এ বলা আছে, সরবরাহ আদেশ-এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৫ দিন হবে, যা কোনো অবস্থাতেই বাড়ানো যাবে না এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এটির বিপরীতে কোনো পণ্য সরবরাহ করা যাবে না। কিন্তু কেউ এসব তোয়াক্কা করছে না।
জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, পরিবেশকেরা বিক্রয় আদেশের (এসও) হাতবদল করছেন। অথচ এটি হাতবদলের কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের এসও-এর পেছনের সে নির্দেশনা রয়েছে।
এখন বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হওয়ায় মিলমালিক, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। তবে তাঁদের মধ্যে কেউ আইন মানছেন না। কেউ কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন, সে তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকও হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে পাম তেলের নির্ধারিত দাম রয়েছে লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা। অথচ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৮ টাকায়। আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দাম রয়েছে ১৪৩ টাকা। অথচ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭২ টাকায়। এক লিটারের বোতলের নির্ধারিত দাম ১৬৯ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭২ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল নির্ধারিত ৭৯৫ টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৯০-৮৩০ টাকায়। যা টিসিবির বাজার তদারকির তথ্যে উঠে এসেছে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশকেরা পাকা রসিদ দিচ্ছেন না। এ জন্য তিনি দুই সপ্তাহ ধরে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তবে কারওয়ান বাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান বলেন, খোলা তেলের দাম বেশি থাকায় তিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৬ ধারার উপধারা (৪)-এ বলা হয়েছে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সরকার কর্তৃক পণ্যের সরবরাহ লাইন ঠিক আছে কি না, তা মনিটরে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বাস্তবে কেউ তা করছে না। আবার পণ্যের মূল্য প্রদর্শন করার কথা থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পণ্যের মূল্য টাঙিয়ে রাখছে না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজির সুযোগ নেই। কোম্পানি কত দামে ঋণপত্র খুলছে, সে তথ্য সরকারের কাছে আছে। কাজেই চাইলেই কেউ দাম বাড়াতে পারবে না।
ভোজ্যতেল বিক্রিতে আমদানিকারক বা পরিশোধনকারী, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী কেউই আইন মানছে না। আইন না মানায় পণ্যটির দাম ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে কারও মনে স্বস্তি নেই। সরকার ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন নানাভাবে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। কিন্তু দাম আর কমছে না।
নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে এবং কারসাজি প্রতিরোধে ২০১১ সালে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ তৈরি করে সরকার। সরকারের ওই আদেশটি প্রায় অকার্যকর রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। এর একটি হলো বিক্রয় আদেশ হস্তান্তর না করা। ব্যবসায়ীরা তাঁদের নেওয়া বিক্রয় আদেশ একে অপরের কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এতে একাধিক হাতবদলের কারণে বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজারের পরিবেশক হারুন-উর-রশিদ পাপ্পু ভোজ্যতেলের একজন পরিবেশক। তিনি মিল থেকে তেল না তুলে বিক্রয় আদেশের (এসও) কপি অন্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ঘটনা তিনি গতকাল ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নিজেই স্বীকার করেন। শুধু পাপ্পুই নয়। তাঁর মতো অসংখ্য ব্যবসায়ী এভাবে বিক্রয় আদেশ হাতবদল করছেন।
পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৯ ধারার উপধারা (২)-এ বলা আছে, সরবরাহ আদেশ কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য হবে না। উপধারা (৩)-এ বলা আছে, সরবরাহ আদেশ-এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৫ দিন হবে, যা কোনো অবস্থাতেই বাড়ানো যাবে না এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এটির বিপরীতে কোনো পণ্য সরবরাহ করা যাবে না। কিন্তু কেউ এসব তোয়াক্কা করছে না।
জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, পরিবেশকেরা বিক্রয় আদেশের (এসও) হাতবদল করছেন। অথচ এটি হাতবদলের কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের এসও-এর পেছনের সে নির্দেশনা রয়েছে।
এখন বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হওয়ায় মিলমালিক, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। তবে তাঁদের মধ্যে কেউ আইন মানছেন না। কেউ কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন, সে তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকও হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে পাম তেলের নির্ধারিত দাম রয়েছে লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা। অথচ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৮ টাকায়। আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দাম রয়েছে ১৪৩ টাকা। অথচ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭২ টাকায়। এক লিটারের বোতলের নির্ধারিত দাম ১৬৯ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭২ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল নির্ধারিত ৭৯৫ টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৯০-৮৩০ টাকায়। যা টিসিবির বাজার তদারকির তথ্যে উঠে এসেছে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশকেরা পাকা রসিদ দিচ্ছেন না। এ জন্য তিনি দুই সপ্তাহ ধরে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তবে কারওয়ান বাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান বলেন, খোলা তেলের দাম বেশি থাকায় তিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৬ ধারার উপধারা (৪)-এ বলা হয়েছে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সরকার কর্তৃক পণ্যের সরবরাহ লাইন ঠিক আছে কি না, তা মনিটরে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বাস্তবে কেউ তা করছে না। আবার পণ্যের মূল্য প্রদর্শন করার কথা থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পণ্যের মূল্য টাঙিয়ে রাখছে না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজির সুযোগ নেই। কোম্পানি কত দামে ঋণপত্র খুলছে, সে তথ্য সরকারের কাছে আছে। কাজেই চাইলেই কেউ দাম বাড়াতে পারবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে