আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমার বয়স ৬৫ অতিক্রম করেছে। সম্ভবত ফুড পয়জনিং থেকে প্রায় এক মাস আগে আমার ডায়রিয়া হয়। চিকিৎসায় তিন-চার দিন পরে সেরে গেলেও শরীর দুর্বল হয়ে যায়, বুক থেমে থেমে ধক ধক করতে থাকে। খুব খারাপ অনুভব করি। তারপর একজন কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হই। ইসিজি, এক্স-রেসহ রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানান, আমার হার্ট ভালো আছে; ব্লাড প্রেশারটা সমস্যা করছে। আমার হাই ব্লাড প্রেশার অনেক আগে থেকে। আমার পুরোনো ওষুধ তিনি বদলে দেন। কিন্তু ১৫-২০ দিন থেকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরও কোনো উপকার না পেয়ে ওষুধ বন্ধ করে দিই। প্রেশার মেপে দেখি ১৪০/৮০। তারপর আগের ওষুধ খাই। দুই-এক দিনের মধ্যে অনেকটা ভালো বোধ করি। আজ থেকে ৪০-৪২ বছর আগে নিহত এক ব্যক্তি সম্পর্কিত কিছু আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে বুক ভীষণ ধড়ফড় করতে থাকে। চিকিৎসায় সুস্থ হই। এরপর একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে ওঠে এবং হাত কাঁপতে থাকায় লিখতে পারিনি। এখন পর্যন্ত এ অবস্থা চলছে। তখন থেকে কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন, মানসিক বিভাগের চিকিৎসকদের চিকিৎসা চলছে। মূলত হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ ও রিলাক্সেবল কিছু ওষুধে এখনো চিকিৎসা চলছে। এখন জানতে চাই, ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে হাতের কম্পন বেশি হয়, এমনকি কণ্ঠস্বরও কাঁপে। এর কি কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই?
আশরাফুল আলম, ই-মেইলে পাঠানো প্রশ্ন
আপনি প্রথমে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান। এমনও হতে পারে এটি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা প্যানিক ডিসঅর্ডার। আর
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ বদলানো বা বন্ধ করবেন না। এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।
ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
প্রশ্ন: ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। নাকের ওপর, নাকের দুই পাশে, চিবুকে ও ঠোঁটের ধার ঘেঁষে সাদা মরা চামড়া সব সময় দেখা যায়। সিন্থল সাবান, হিমালয়া ফেসওয়াশ, প্যারাস্যুটের লোশন ও পমেড ব্যবহার করি। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে কী করব?
টুম্পা হক, ঢাকা
যেহেতু আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডার দিকে যাচ্ছে, তাই যাঁদের ত্বক আগে থেকে শুষ্ক, তাঁদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার ও সঠিকভাবে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার না থাকলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। মুখ পরিষ্কারের জন্য ওটমিল বা গ্লিসারিনযুক্ত মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কুসুম গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই মুখ ধুতে হবে। খুব নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুখ মুছে নিতে হবে এবং এই ভেজাভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্লিসারিন বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সানবার্ন থেকে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, নিয়াসিন ও জিংকের অভাবে ত্বকে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূরক খেতে হতে পারে।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: আমার মেয়ে খুবই ছোট। বয়স আড়াই বছর। প্রস্রাব প্রায়ই গাঢ় হলুদ হচ্ছে। খুবই অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাব করতে চায় না। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলেও প্রস্রাবের সময় কান্না করে। সম্ভবত জ্বালা করে। পানি খেতে চায় না। লেবু বা মালটা দিয়ে জুস করে দিলে অল্প খায়। কী করতে পারি?
রাবেয়া আক্তার, চাঁদপুর
পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয়। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালাপোড়া করে, ভয়ে শিশুরা প্রস্রাব আটকে রাখে, যা জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।
আবার যেসব শিশুর পায়খানা শক্ত বা কষা থাকে, তাদেরও প্রস্রাব পুরোপুরি হয় না। অল্প অল্প করে বারবার করতে থাকে। এ বিষয়গুলো প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণ বা প্রদাহ তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
সুতরাং এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে খুঁজে বের করতে হবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, যার কারণে প্রস্রাব করতে চাইছে না। অনেক শিশু পানি খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করে। সে ক্ষেত্রে লেবুর শরবত, ফলের রস, ডাল, ঝোল খাওয়াতে হবে। এক কথায় তরল খাবার বেশি দিতে হবে। সঙ্গে পায়খানা কষা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবার প্রস্রাবের পর পানি দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা ধুয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এরপরও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে প্রস্রাবের আরএমই ও সিএস পরীক্ষা করাতে হবে এবং চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ডা. নূরজাহান বেগম
স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
প্রশ্ন: আমার বয়স ৬৫ অতিক্রম করেছে। সম্ভবত ফুড পয়জনিং থেকে প্রায় এক মাস আগে আমার ডায়রিয়া হয়। চিকিৎসায় তিন-চার দিন পরে সেরে গেলেও শরীর দুর্বল হয়ে যায়, বুক থেমে থেমে ধক ধক করতে থাকে। খুব খারাপ অনুভব করি। তারপর একজন কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হই। ইসিজি, এক্স-রেসহ রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানান, আমার হার্ট ভালো আছে; ব্লাড প্রেশারটা সমস্যা করছে। আমার হাই ব্লাড প্রেশার অনেক আগে থেকে। আমার পুরোনো ওষুধ তিনি বদলে দেন। কিন্তু ১৫-২০ দিন থেকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরও কোনো উপকার না পেয়ে ওষুধ বন্ধ করে দিই। প্রেশার মেপে দেখি ১৪০/৮০। তারপর আগের ওষুধ খাই। দুই-এক দিনের মধ্যে অনেকটা ভালো বোধ করি। আজ থেকে ৪০-৪২ বছর আগে নিহত এক ব্যক্তি সম্পর্কিত কিছু আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে বুক ভীষণ ধড়ফড় করতে থাকে। চিকিৎসায় সুস্থ হই। এরপর একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে ওঠে এবং হাত কাঁপতে থাকায় লিখতে পারিনি। এখন পর্যন্ত এ অবস্থা চলছে। তখন থেকে কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন, মানসিক বিভাগের চিকিৎসকদের চিকিৎসা চলছে। মূলত হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ ও রিলাক্সেবল কিছু ওষুধে এখনো চিকিৎসা চলছে। এখন জানতে চাই, ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে হাতের কম্পন বেশি হয়, এমনকি কণ্ঠস্বরও কাঁপে। এর কি কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই?
আশরাফুল আলম, ই-মেইলে পাঠানো প্রশ্ন
আপনি প্রথমে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান। এমনও হতে পারে এটি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা প্যানিক ডিসঅর্ডার। আর
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ বদলানো বা বন্ধ করবেন না। এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।
ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
প্রশ্ন: ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। নাকের ওপর, নাকের দুই পাশে, চিবুকে ও ঠোঁটের ধার ঘেঁষে সাদা মরা চামড়া সব সময় দেখা যায়। সিন্থল সাবান, হিমালয়া ফেসওয়াশ, প্যারাস্যুটের লোশন ও পমেড ব্যবহার করি। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে কী করব?
টুম্পা হক, ঢাকা
যেহেতু আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডার দিকে যাচ্ছে, তাই যাঁদের ত্বক আগে থেকে শুষ্ক, তাঁদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার ও সঠিকভাবে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার না থাকলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। মুখ পরিষ্কারের জন্য ওটমিল বা গ্লিসারিনযুক্ত মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কুসুম গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই মুখ ধুতে হবে। খুব নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুখ মুছে নিতে হবে এবং এই ভেজাভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্লিসারিন বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সানবার্ন থেকে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, নিয়াসিন ও জিংকের অভাবে ত্বকে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূরক খেতে হতে পারে।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, বাংলাদেশ
প্রশ্ন: আমার মেয়ে খুবই ছোট। বয়স আড়াই বছর। প্রস্রাব প্রায়ই গাঢ় হলুদ হচ্ছে। খুবই অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাব করতে চায় না। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলেও প্রস্রাবের সময় কান্না করে। সম্ভবত জ্বালা করে। পানি খেতে চায় না। লেবু বা মালটা দিয়ে জুস করে দিলে অল্প খায়। কী করতে পারি?
রাবেয়া আক্তার, চাঁদপুর
পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয়। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালাপোড়া করে, ভয়ে শিশুরা প্রস্রাব আটকে রাখে, যা জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।
আবার যেসব শিশুর পায়খানা শক্ত বা কষা থাকে, তাদেরও প্রস্রাব পুরোপুরি হয় না। অল্প অল্প করে বারবার করতে থাকে। এ বিষয়গুলো প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণ বা প্রদাহ তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
সুতরাং এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে খুঁজে বের করতে হবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, যার কারণে প্রস্রাব করতে চাইছে না। অনেক শিশু পানি খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করে। সে ক্ষেত্রে লেবুর শরবত, ফলের রস, ডাল, ঝোল খাওয়াতে হবে। এক কথায় তরল খাবার বেশি দিতে হবে। সঙ্গে পায়খানা কষা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবার প্রস্রাবের পর পানি দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা ধুয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এরপরও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে প্রস্রাবের আরএমই ও সিএস পরীক্ষা করাতে হবে এবং চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ডা. নূরজাহান বেগম
স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৮ ঘণ্টা আগে