ডা. তাহমিদা খানম
চিকিৎসাশাস্ত্রের অভূতপূর্ব সাফল্যে গত দশকগুলোয় মানুষের গড় আয়ু যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যকালীন স্বাস্থ্যসমস্যাও বেড়েছে। এর মধ্যে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ভুলে যাওয়ার সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আলঝেইমার রোগ, যেটি সাম্প্রতিক সময়ের বার্ধক্যজনিত অসুখগুলোর মধ্যে বহুল চর্চিত। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেলেও ৪৫ বছরের আগে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম।
প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের মস্তিষ্কে বয়সজনিত কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন মস্তিষ্কে কোষ বা নিউরনের সংখ্যা কমে যাওয়া, মস্তিষ্কের খাঁজ গভীর হওয়া ও সামগ্রিকভাবে মস্তিষ্কের আয়তন ছোট হয়ে যাওয়া। তাই বয়সের পঞ্জিকার যত পাতা ওল্টাবে, ততই মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। কিন্তু আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তনগুলো কম সময়ে ও দ্রুতগতিতে হয়ে থাকে। আলঝেইমার রোগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে খুব খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায় এবং আক্রান্ত মানুষকে স্মৃতিশক্তিহীন, কর্মক্ষমতাহীন, পরনির্ভরশীল মানুষে পরিণত করে ফেলে।
আলঝেইমার রোগের মূল উপসর্গ হলো ভুলে যাওয়া। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে সাম্প্রতিক স্মৃতিগুলো, যেমন কোনো তথ্য, ঘটনা বা চেহারা মনে রাখতে না পারাটা বেশি হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো স্মৃতিগুলোও হারিয়ে যায়। চেনা জায়গায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি হওয়া, একই কাজের জন্য বারবার জিজ্ঞাসা করা, কোনো বেলার খাবার খেয়েও খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা, চেনা মুখ বা জিনিস দেখেও নাম মনে করতে না পারা, এমন হাজারো ঘটনা ও কাজ যদি পরিবারের সদস্যরা খেয়াল করেন তাহলে প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব।
আলঝেইমার রোগটির চিকিৎসার দুটি অংশের একটি হলো ওষুধ ও অপরটি পারিবারিক সহায়তা। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্যটি হলো, বাজারে কিছু ওষুধ (যেমন ডোনপেজিল, রিভাস্টিগমিন, গ্যালান্টামিন ও মেমান্টিন) প্রচলিত থাকলেও এর কোনোটিই রোগটি থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি দিতে অপারগ। তাই পরিবারের সদস্যদেরই আলঝেইমার রোগীদের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হয়।
রোগীর জন্য যা করতে হবে
রোগ ঠেকাতে যা করতে হবে
লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
চিকিৎসাশাস্ত্রের অভূতপূর্ব সাফল্যে গত দশকগুলোয় মানুষের গড় আয়ু যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যকালীন স্বাস্থ্যসমস্যাও বেড়েছে। এর মধ্যে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ভুলে যাওয়ার সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আলঝেইমার রোগ, যেটি সাম্প্রতিক সময়ের বার্ধক্যজনিত অসুখগুলোর মধ্যে বহুল চর্চিত। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেলেও ৪৫ বছরের আগে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম।
প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের মস্তিষ্কে বয়সজনিত কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন মস্তিষ্কে কোষ বা নিউরনের সংখ্যা কমে যাওয়া, মস্তিষ্কের খাঁজ গভীর হওয়া ও সামগ্রিকভাবে মস্তিষ্কের আয়তন ছোট হয়ে যাওয়া। তাই বয়সের পঞ্জিকার যত পাতা ওল্টাবে, ততই মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। কিন্তু আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তনগুলো কম সময়ে ও দ্রুতগতিতে হয়ে থাকে। আলঝেইমার রোগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে খুব খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায় এবং আক্রান্ত মানুষকে স্মৃতিশক্তিহীন, কর্মক্ষমতাহীন, পরনির্ভরশীল মানুষে পরিণত করে ফেলে।
আলঝেইমার রোগের মূল উপসর্গ হলো ভুলে যাওয়া। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে সাম্প্রতিক স্মৃতিগুলো, যেমন কোনো তথ্য, ঘটনা বা চেহারা মনে রাখতে না পারাটা বেশি হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো স্মৃতিগুলোও হারিয়ে যায়। চেনা জায়গায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি হওয়া, একই কাজের জন্য বারবার জিজ্ঞাসা করা, কোনো বেলার খাবার খেয়েও খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা, চেনা মুখ বা জিনিস দেখেও নাম মনে করতে না পারা, এমন হাজারো ঘটনা ও কাজ যদি পরিবারের সদস্যরা খেয়াল করেন তাহলে প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব।
আলঝেইমার রোগটির চিকিৎসার দুটি অংশের একটি হলো ওষুধ ও অপরটি পারিবারিক সহায়তা। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্যটি হলো, বাজারে কিছু ওষুধ (যেমন ডোনপেজিল, রিভাস্টিগমিন, গ্যালান্টামিন ও মেমান্টিন) প্রচলিত থাকলেও এর কোনোটিই রোগটি থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি দিতে অপারগ। তাই পরিবারের সদস্যদেরই আলঝেইমার রোগীদের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হয়।
রোগীর জন্য যা করতে হবে
রোগ ঠেকাতে যা করতে হবে
লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১১ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
১১ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
১১ ঘণ্টা আগে