ডা. মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার
চোখের পাতার রোগের মধ্যে ব্লেফারাইটিস মোটামুটি পরিচিত নাম। ব্লেফারাইটিস চোখের একধরনের সংক্রমণ, যার কারণে চোখের পাতা অত্যধিক ফুলে যায়। পাপড়ির গোড়ায় থাকা তেল গ্রন্থিগুলো যখন কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তখন চোখের পাতার প্রদাহ বেড়ে যায়। এ অবস্থাটিই ব্লেফারাইটিস। চোখের পাতার প্রদাহ দুই ধরনের হয়ে থাকে, যেমন অ্যান্টেরিওর ও পোস্টেরিওর। অ্যান্টেরিওর প্রদাহ চোখের পাতার বাইরের দিকে হয় এবং পোস্টেরিওর প্রদাহ হয় চোখের ভেতরের কোনায়।
রোগের কারণ
ব্লেফারাইটিসের কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো কিছুকে দায়ী করা সম্ভব নয়। তবে—
রোগের লক্ষণ
চিকিৎসা করা না হলে ব্লেফারাইটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা যায়। ছোটখাটো বা কম উপসর্গের ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণ করে উপসর্গের মাত্রা কমানো যায়।
ঘন ঘন চোখ পরিষ্কার করা
ব্লেফারাইটিসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সারা দিনে নিয়মিত বিরতিতে চোখ পরিষ্কার করতে হয়, যেন চোখের পাতায় স্তর না জমে। ভালো হয় গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চোখের পাতা মুছে ফেলা গেলে। এর ফলে আস্তর ও তেল জমতে পারবে না। গরম ভেজা তোয়ালে চোখের পাতার ওপর ২০ মিনিট হালকাভাবে চেপে ধরে রাখলে চোখের পাতার ভেতরের অংশও পরিষ্কার হবে। এ ছাড়া চোখ ও মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুলে চুলকানি ও জ্বলুনি কমে।
বেবি শ্যাম্পু
১ কাপ গরম পানিতে ২ থেকে ৩ ফোঁটা বেবি শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে একটি কটন বল ডুবিয়ে সেটি দিয়ে উভয় চোখের পাতায় ঘুষুন ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে চোখ ধুয়ে নিন।
আলুর প্যাক
আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে পাতলা টুকরো করে চোখের পাতার ওপর দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দিনে দুই থেকে তিনবার এ প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই ব্লেফারাইটিসের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।
টি-ট্রি অয়েল
১ টেবিল চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে ২ থেকে ৩ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে একটি কটন বল ডুবিয়ে নিন। চোখ বন্ধ করে তুলার বলটি চোখের পাতায় লাগান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত। ৫ থেকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। সমস্যা দূর হওয়া পর্যন্ত দিনে দুইবার এটি ব্যবহার করুন।
লেখক: সাবেক প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কনসালট্যান্ট, আঞ্জুমান ভিশন কেয়ার, চট্টগ্রাম
চোখের পাতার রোগের মধ্যে ব্লেফারাইটিস মোটামুটি পরিচিত নাম। ব্লেফারাইটিস চোখের একধরনের সংক্রমণ, যার কারণে চোখের পাতা অত্যধিক ফুলে যায়। পাপড়ির গোড়ায় থাকা তেল গ্রন্থিগুলো যখন কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তখন চোখের পাতার প্রদাহ বেড়ে যায়। এ অবস্থাটিই ব্লেফারাইটিস। চোখের পাতার প্রদাহ দুই ধরনের হয়ে থাকে, যেমন অ্যান্টেরিওর ও পোস্টেরিওর। অ্যান্টেরিওর প্রদাহ চোখের পাতার বাইরের দিকে হয় এবং পোস্টেরিওর প্রদাহ হয় চোখের ভেতরের কোনায়।
রোগের কারণ
ব্লেফারাইটিসের কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো কিছুকে দায়ী করা সম্ভব নয়। তবে—
রোগের লক্ষণ
চিকিৎসা করা না হলে ব্লেফারাইটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা যায়। ছোটখাটো বা কম উপসর্গের ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণ করে উপসর্গের মাত্রা কমানো যায়।
ঘন ঘন চোখ পরিষ্কার করা
ব্লেফারাইটিসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সারা দিনে নিয়মিত বিরতিতে চোখ পরিষ্কার করতে হয়, যেন চোখের পাতায় স্তর না জমে। ভালো হয় গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চোখের পাতা মুছে ফেলা গেলে। এর ফলে আস্তর ও তেল জমতে পারবে না। গরম ভেজা তোয়ালে চোখের পাতার ওপর ২০ মিনিট হালকাভাবে চেপে ধরে রাখলে চোখের পাতার ভেতরের অংশও পরিষ্কার হবে। এ ছাড়া চোখ ও মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুলে চুলকানি ও জ্বলুনি কমে।
বেবি শ্যাম্পু
১ কাপ গরম পানিতে ২ থেকে ৩ ফোঁটা বেবি শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে একটি কটন বল ডুবিয়ে সেটি দিয়ে উভয় চোখের পাতায় ঘুষুন ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে চোখ ধুয়ে নিন।
আলুর প্যাক
আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে পাতলা টুকরো করে চোখের পাতার ওপর দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দিনে দুই থেকে তিনবার এ প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই ব্লেফারাইটিসের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।
টি-ট্রি অয়েল
১ টেবিল চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে ২ থেকে ৩ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে একটি কটন বল ডুবিয়ে নিন। চোখ বন্ধ করে তুলার বলটি চোখের পাতায় লাগান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত। ৫ থেকে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। সমস্যা দূর হওয়া পর্যন্ত দিনে দুইবার এটি ব্যবহার করুন।
লেখক: সাবেক প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কনসালট্যান্ট, আঞ্জুমান ভিশন কেয়ার, চট্টগ্রাম
দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২০ মিনিট আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১৩ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে