ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
যে ত্বকে পানির পরিমাণ ঠিক থাকে, সঠিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, সে ত্বকই উজ্জ্বল ত্বক। আর্দ্রতা হারালে ত্বক হয়ে যাবে মলিন। তাই ত্বকের প্রতিটি কোষ রাখতে হবে সুস্থ। সুস্থ কোষ নির্দিষ্ট পরিমাণ মেলানিন তৈরি করবে। কোষগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তখন সেগুলো হাইপার অ্যাকটিভ হয়ে বেশি বেশি মেলানিন তৈরি করে, যা উজ্জ্বলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ত্বকের গভীরে থাকে তেলগ্রন্থি। এটি সিবাম তৈরি করে, যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। প্রয়োজনের তুলনায় কম সিবাম তৈরি হলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। ত্বক প্রাণহীন থাকলে আসল সৌন্দর্য থাকে না।
যে কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়
উজ্জ্বলতা হারানোর প্রথম কারণ বয়স। বয়স বাড়তে থাকলে ইলাস্টিন ও কোলাজেন কমতে থাকে। এতে ত্বক দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতা হারায়। এরপর কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তখন বেশি মেলানিন তৈরি হয়। এর সঙ্গে অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অপুষ্টিকর খাবার এগুলো যোগ হলে বয়স বাড়ার গতিটাও বাড়ে, সঙ্গে ত্বকও অনুজ্জ্বল হয়।ত্বকের যত্ন নিতে হয় এর ধরন আর আবহাওয়া বুঝে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে যা করবেন
ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুম দরকার। দেহে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাকে কমিয়ে আনতে এবং শরীর সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। সতেজ ত্বকের জন্য পানির বিকল্প নেই। নিয়ম করে প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার গাজর, ডিম, টমেটো, কমলা, গ্রিন টি, শাক, শসা, মৌসুমি ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কুমড়োবীজ, মাছ, টক দই ইত্যাদি। ত্বকের জন্য উপকারী খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত।
বাইরে বের হলে যেকোনো ঋতুতেই ত্বকের ওপর ধুলোর আস্তরণ পড়ে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল, গোলাপজল, নারকেল দুধ দিয়ে মুখ ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। সবশেষে ভালো কোনো মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন।
উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন।
শরীর সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের সুস্থতাও নির্ভর করে ব্যায়ামের ওপর। ব্যায়াম মানসিক চাপ দূরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও অক্সিজেন চলাচলে সহায়তা করে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশ
যে ত্বকে পানির পরিমাণ ঠিক থাকে, সঠিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, সে ত্বকই উজ্জ্বল ত্বক। আর্দ্রতা হারালে ত্বক হয়ে যাবে মলিন। তাই ত্বকের প্রতিটি কোষ রাখতে হবে সুস্থ। সুস্থ কোষ নির্দিষ্ট পরিমাণ মেলানিন তৈরি করবে। কোষগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তখন সেগুলো হাইপার অ্যাকটিভ হয়ে বেশি বেশি মেলানিন তৈরি করে, যা উজ্জ্বলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ত্বকের গভীরে থাকে তেলগ্রন্থি। এটি সিবাম তৈরি করে, যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। প্রয়োজনের তুলনায় কম সিবাম তৈরি হলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। ত্বক প্রাণহীন থাকলে আসল সৌন্দর্য থাকে না।
যে কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়
উজ্জ্বলতা হারানোর প্রথম কারণ বয়স। বয়স বাড়তে থাকলে ইলাস্টিন ও কোলাজেন কমতে থাকে। এতে ত্বক দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতা হারায়। এরপর কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তখন বেশি মেলানিন তৈরি হয়। এর সঙ্গে অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অপুষ্টিকর খাবার এগুলো যোগ হলে বয়স বাড়ার গতিটাও বাড়ে, সঙ্গে ত্বকও অনুজ্জ্বল হয়।ত্বকের যত্ন নিতে হয় এর ধরন আর আবহাওয়া বুঝে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে যা করবেন
ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুম দরকার। দেহে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাকে কমিয়ে আনতে এবং শরীর সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। সতেজ ত্বকের জন্য পানির বিকল্প নেই। নিয়ম করে প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার গাজর, ডিম, টমেটো, কমলা, গ্রিন টি, শাক, শসা, মৌসুমি ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কুমড়োবীজ, মাছ, টক দই ইত্যাদি। ত্বকের জন্য উপকারী খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত।
বাইরে বের হলে যেকোনো ঋতুতেই ত্বকের ওপর ধুলোর আস্তরণ পড়ে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল, গোলাপজল, নারকেল দুধ দিয়ে মুখ ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। সবশেষে ভালো কোনো মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন।
উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন।
শরীর সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের সুস্থতাও নির্ভর করে ব্যায়ামের ওপর। ব্যায়াম মানসিক চাপ দূরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও অক্সিজেন চলাচলে সহায়তা করে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশ
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৪ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৪ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৪ ঘণ্টা আগে