ডা. নূরজাহান বেগম
প্রশ্ন: ছেলের বয়স চার বছর। পুরো শরীর, বিশেষ করে মুখ ও ঘাড়ে প্রচুর ঘামাচি উঠেছে। ত্বক অমসৃণ হয়ে গেছে। কী করা যায়?
লামিয়া ইসলাম, সাভার
গরমে শরীরের ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ঘামের বিভিন্ন উপাদান চামড়ার বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচি তৈরি করে। শিশুদের ঘামগ্রন্থি অপরিপক্ব, তাই তাদের ঘামাচি বেশি হয়।
যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে। এসি বা ফ্যান যা বাসায় আছে ব্যবহার করবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে কয়েক ঘণ্টা থাকলে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া কমে যায়।
পাতলা আরামদায়ক সুতির কাপড় পরাতে হবে, আটসাট পোশাক পরানো যাবে না।
নিয়মিত গোসল করাতে হবে। যেসব স্থানে অতিরিক্ত ঘামাচি উঠেছে, সেখানে ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগালে আরাম পাবে। এ সময় পর্যাপ্ত তরল খাবার দিতে হবে। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যাবে। ক্যালামাইন লোশন অনেক সময় ঘামাচির কষ্ট কমায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেবেন। অতিরিক্ত রোদে বাইরে খেলতে দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। ঘরে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে। ঘুমের সময় বারবার পাশ ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি দেখা যায় ঘামাচির জায়গায় সংক্রমণের লক্ষণ বা পুঁজ জমে যাচ্ছে কিংবা উন্নতি হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: ছেলের বয়স পাঁচ বছর। ইদানীং কিছু খেলেই বমি করে দেয়। এ জন্য কিছু খেতে চায় না। ওজনও দুই মাসে আরও কমে গেছে। মাঝে মাঝে রাতে জ্বর আসে। তবে সর্দি-কাশির সমস্যা হয় না। বুঝতে পারছি না কী করব। ঠান্ডার ওষুধ খাওয়াতেও ভয় হয়।
ফারিয়া হোসেন, লক্ষ্মীপুর
আপনার শিশুর উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করা দরকার। দুই মাস আগের ওজন যদি মাপা থাকে তাহলে বর্তমান ওজনের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে হবে আসলেই ওজন কমেছে কি না এবং কতটুকু কমেছে। সঙ্গে জ্বরের ডকুমেন্টস জরুরি। রাতে রাতে জ্বর এলে সেটা মেপে লিখে রাখতে হবে, ন্যূনতম সাত দিনের হিসাব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে জ্বরের ডকুমেন্টস নিয়ে। প্রতিবার খাবার খেলেই যদি বমি করে দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাঝে মাঝে বমি করা এবং বমি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা, যেমন–পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, প্রস্রাবের সমস্যা, চোখে দেখতে কোনো সমস্যা কিংবা অতিরিক্ত জ্বর যদি না থাকে এবং শিশু যদি খেলাধুলা ঠিকমতো করে, তাহলে শুধু খাবার দিলেই বমি করার ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
ঠান্ডা-কাশি থাকলে চিকিৎসক ওষুধ দেন, সেটা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। তবে আপনার শিশুর যেহেতু সর্দি-কাশির সমস্যা হয় না, তাই ঠান্ডার ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
প্রশ্ন: ছেলের বয়স চার বছর। পুরো শরীর, বিশেষ করে মুখ ও ঘাড়ে প্রচুর ঘামাচি উঠেছে। ত্বক অমসৃণ হয়ে গেছে। কী করা যায়?
লামিয়া ইসলাম, সাভার
গরমে শরীরের ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ঘামের বিভিন্ন উপাদান চামড়ার বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচি তৈরি করে। শিশুদের ঘামগ্রন্থি অপরিপক্ব, তাই তাদের ঘামাচি বেশি হয়।
যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে। এসি বা ফ্যান যা বাসায় আছে ব্যবহার করবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে কয়েক ঘণ্টা থাকলে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া কমে যায়।
পাতলা আরামদায়ক সুতির কাপড় পরাতে হবে, আটসাট পোশাক পরানো যাবে না।
নিয়মিত গোসল করাতে হবে। যেসব স্থানে অতিরিক্ত ঘামাচি উঠেছে, সেখানে ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগালে আরাম পাবে। এ সময় পর্যাপ্ত তরল খাবার দিতে হবে। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যাবে। ক্যালামাইন লোশন অনেক সময় ঘামাচির কষ্ট কমায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেবেন। অতিরিক্ত রোদে বাইরে খেলতে দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। ঘরে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে। ঘুমের সময় বারবার পাশ ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি দেখা যায় ঘামাচির জায়গায় সংক্রমণের লক্ষণ বা পুঁজ জমে যাচ্ছে কিংবা উন্নতি হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: ছেলের বয়স পাঁচ বছর। ইদানীং কিছু খেলেই বমি করে দেয়। এ জন্য কিছু খেতে চায় না। ওজনও দুই মাসে আরও কমে গেছে। মাঝে মাঝে রাতে জ্বর আসে। তবে সর্দি-কাশির সমস্যা হয় না। বুঝতে পারছি না কী করব। ঠান্ডার ওষুধ খাওয়াতেও ভয় হয়।
ফারিয়া হোসেন, লক্ষ্মীপুর
আপনার শিশুর উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করা দরকার। দুই মাস আগের ওজন যদি মাপা থাকে তাহলে বর্তমান ওজনের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে হবে আসলেই ওজন কমেছে কি না এবং কতটুকু কমেছে। সঙ্গে জ্বরের ডকুমেন্টস জরুরি। রাতে রাতে জ্বর এলে সেটা মেপে লিখে রাখতে হবে, ন্যূনতম সাত দিনের হিসাব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে জ্বরের ডকুমেন্টস নিয়ে। প্রতিবার খাবার খেলেই যদি বমি করে দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাঝে মাঝে বমি করা এবং বমি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা, যেমন–পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, প্রস্রাবের সমস্যা, চোখে দেখতে কোনো সমস্যা কিংবা অতিরিক্ত জ্বর যদি না থাকে এবং শিশু যদি খেলাধুলা ঠিকমতো করে, তাহলে শুধু খাবার দিলেই বমি করার ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে।
ঠান্ডা-কাশি থাকলে চিকিৎসক ওষুধ দেন, সেটা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। তবে আপনার শিশুর যেহেতু সর্দি-কাশির সমস্যা হয় না, তাই ঠান্ডার ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
৫ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১৭ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১৭ ঘণ্টা আগে