ডা. নূরজাহান বেগম
প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১০ বছর। স্বাস্থ্য অতটা ভালো নয়। খুব চঞ্চল। আট বছর বয়স থেকে রোজা রাখার বায়না ধরে। ১৪-১৫টা রাখে। ফেব্রুয়ারিতে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগেছে। এখনো দুর্বল। ওকে নিষেধ করলেও বা ভোররাতে সাহ্রিতে না ডাকলে সে না খেয়েই রোজা রাখে। কোনো কথা শোনে না। একটুতেই পেটে সমস্যার ধাতও আছে। কোন ধরনের খাবার ওকে দিতে পারি সাহ্রি ও ইফতারে। যেটা খেতেও ভালো লাগবে আবার সুস্থও থাকবে। হালিমা খাতুন, মানিকগঞ্জ
উত্তর: যদি শিশু রোজা রাখতে চায়, তাহলে যতক্ষণ পারবে রাখতে, রাখুক। যেহেতু এখন গরম, তাই সাহ্রিতে ভাজি, ভর্তা ও তেলযুক্ত খাবার না রাখাই ভালো। তার পছন্দসই যে খাবারগুলো সে হজম করতে পারবে সহজে, সেগুলোই দিন। খাবারে প্রোটিন, অর্থাৎ মাছ বা মাংস ও শাকসবজি রাখবেন। অনেক শিশু সাহ্রিতে ঝাল তরকারি দিয়ে খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে দুধ ও কলা দিয়ে ভাত খেতে পারে। ইফতারে পেঁয়াজু, ডাল ও মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। অনেক শিশু খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে ইফতারে খিচুড়ি থাকতে পারে। সারা দিন না খেয়ে ইফতারে হঠাৎ বেশি খাওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে খেলে ভালো। ফল ও শরবত খেতে হবে। ইফতারের পর স্যুপ, পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।
প্রশ্ন: আমার মেয়ের গ্রোয়িং পেইন হয়। পা প্রচণ্ড কামড়ায়। খুব কান্না করে। এই গ্রোয়িং পেইনের জন্য কি কোনো ওষুধ আছে? মাহবুব আলম, ভোলা
উত্তর: চিকিৎসক যদি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে এটা আসলেই গ্রোয়িং পেইন, তাহলে অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যথায় রাতে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। এই অবস্থায় একটু পা টিপে দিলে শিশুরা আরাম পায়। সঙ্গে ভিটামিন ডি লেবেল চেক করে কম পেলে ভিটামিন ডি ওষুধ ও ক্যালসিয়াম দিতে হবে। এমন যদি হয় যে চিকিৎসক দেখানো হয়নি, কিন্তু নিজেরাই ভাবছেন এটা গ্রোয়িং পেইন, তাহলে চিকিৎসক দেখিয়ে সেই পরামর্শমতো চলতে হবে। কারণ, শিশুর পায়ে ব্যথা মানেই গ্রোয়িং পেইন নয়। ফলে না জেনে ব্যথানাশকও দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: আমার ছেলে খেলতে খুব ভালোবাসে। ওর বয়স ১২ বছর। ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, বাস্কেটবল—সবই খেলে। কিন্তু যে পরিমাণে শক্তি ক্ষয় হয়, সেই অনুযায়ী বিশ্রাম নেয় না, খাওয়াদাওয়াও করে না। ওর লাইফস্টাইলটা কেমন হলে ভালো হয়? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
উত্তর: শিশুর স্কুল ও খেলার সময় অনুযায়ী মাঝের সময়টায় তাকে বিশ্রামের সময় করে দিলে ভালো হয়। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বলব, যেহেতু সে খেলাধুলা করে, তাই তার খাবারে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল ও পানি থাকতে হবে। পানিজাতীয় খাবার যেন ঠিকমতো খায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, খেলাধুলা করলে শরীর প্রচুর ঘামে। এর ফলে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। খেলতে গেলে সঙ্গে পানি, ফলের রস—এগুলো নিয়ে যেতে পারে। তবে প্রয়োজন ছাড়া গ্লুকোজ ও স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১০ বছর। স্বাস্থ্য অতটা ভালো নয়। খুব চঞ্চল। আট বছর বয়স থেকে রোজা রাখার বায়না ধরে। ১৪-১৫টা রাখে। ফেব্রুয়ারিতে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগেছে। এখনো দুর্বল। ওকে নিষেধ করলেও বা ভোররাতে সাহ্রিতে না ডাকলে সে না খেয়েই রোজা রাখে। কোনো কথা শোনে না। একটুতেই পেটে সমস্যার ধাতও আছে। কোন ধরনের খাবার ওকে দিতে পারি সাহ্রি ও ইফতারে। যেটা খেতেও ভালো লাগবে আবার সুস্থও থাকবে। হালিমা খাতুন, মানিকগঞ্জ
উত্তর: যদি শিশু রোজা রাখতে চায়, তাহলে যতক্ষণ পারবে রাখতে, রাখুক। যেহেতু এখন গরম, তাই সাহ্রিতে ভাজি, ভর্তা ও তেলযুক্ত খাবার না রাখাই ভালো। তার পছন্দসই যে খাবারগুলো সে হজম করতে পারবে সহজে, সেগুলোই দিন। খাবারে প্রোটিন, অর্থাৎ মাছ বা মাংস ও শাকসবজি রাখবেন। অনেক শিশু সাহ্রিতে ঝাল তরকারি দিয়ে খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে দুধ ও কলা দিয়ে ভাত খেতে পারে। ইফতারে পেঁয়াজু, ডাল ও মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। অনেক শিশু খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে ইফতারে খিচুড়ি থাকতে পারে। সারা দিন না খেয়ে ইফতারে হঠাৎ বেশি খাওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে খেলে ভালো। ফল ও শরবত খেতে হবে। ইফতারের পর স্যুপ, পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।
প্রশ্ন: আমার মেয়ের গ্রোয়িং পেইন হয়। পা প্রচণ্ড কামড়ায়। খুব কান্না করে। এই গ্রোয়িং পেইনের জন্য কি কোনো ওষুধ আছে? মাহবুব আলম, ভোলা
উত্তর: চিকিৎসক যদি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে এটা আসলেই গ্রোয়িং পেইন, তাহলে অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যথায় রাতে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। এই অবস্থায় একটু পা টিপে দিলে শিশুরা আরাম পায়। সঙ্গে ভিটামিন ডি লেবেল চেক করে কম পেলে ভিটামিন ডি ওষুধ ও ক্যালসিয়াম দিতে হবে। এমন যদি হয় যে চিকিৎসক দেখানো হয়নি, কিন্তু নিজেরাই ভাবছেন এটা গ্রোয়িং পেইন, তাহলে চিকিৎসক দেখিয়ে সেই পরামর্শমতো চলতে হবে। কারণ, শিশুর পায়ে ব্যথা মানেই গ্রোয়িং পেইন নয়। ফলে না জেনে ব্যথানাশকও দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: আমার ছেলে খেলতে খুব ভালোবাসে। ওর বয়স ১২ বছর। ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, বাস্কেটবল—সবই খেলে। কিন্তু যে পরিমাণে শক্তি ক্ষয় হয়, সেই অনুযায়ী বিশ্রাম নেয় না, খাওয়াদাওয়াও করে না। ওর লাইফস্টাইলটা কেমন হলে ভালো হয়? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
উত্তর: শিশুর স্কুল ও খেলার সময় অনুযায়ী মাঝের সময়টায় তাকে বিশ্রামের সময় করে দিলে ভালো হয়। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বলব, যেহেতু সে খেলাধুলা করে, তাই তার খাবারে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল ও পানি থাকতে হবে। পানিজাতীয় খাবার যেন ঠিকমতো খায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, খেলাধুলা করলে শরীর প্রচুর ঘামে। এর ফলে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। খেলতে গেলে সঙ্গে পানি, ফলের রস—এগুলো নিয়ে যেতে পারে। তবে প্রয়োজন ছাড়া গ্লুকোজ ও স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২৯ মিনিট আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১৩ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে