অনলাইন ডেস্ক
পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে বহু বছর ধরে রাজতন্ত্র চালু আছে। ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়া এই দেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ কোনো দিনই পায়নি। তবে সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার দাবি করে—তারা দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ও সুশাসনের আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড মেনে চলে। বাস্তব পরিস্থিতি যদিও ভিন্ন।
দেশটিতে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখাতে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এই দেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। প্রত্যেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কে এমপি হবেন আর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী—সব রাজাই নির্ধারণ করে দেন।
এমন একটি দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান জন্য সংগ্রাম করছেন ম্যাক্সওয়েল দালামিনি নামে এক রাজনীতিবিদ।
সোমবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈশবে রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন দালামিনি। এর ফলাফলও তাঁকে ভোগ করতে হচ্ছে। ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে রাজধানীতে একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার চেয়েছিলেন দালামিনি। কিন্তু সরকারের কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা অন্যরকম। ফলস্বরূপ, দালামিনির বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এবং তাঁকে বিপজ্জনক রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কুখ্যাত এক কারাগারে টানা এক বছর ধরে নির্মম নির্যাতনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। বহু দিন তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এমনকি অন্য কোনো বন্দীর সঙ্গেও দেখা হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে ডিগ্রি অর্জন না করেই তাঁর ছাত্রজীবন শেষ হয়ে যায়। আর কারাগারের ভেতর নানা ধরনের নির্যাতনের ফলে একবার স্ট্রোকও হয় তাঁর।
তবে আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে এক বছর পর জামিনে ছাড়া পান দালামিনি। কিন্তু খুব বেশি দিনের জন্য নয়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আরও দুইবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একবার গ্রেপ্তার করা হয় ধুমধাম ও বিপুল খরচ করে রাজার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করায়। আরেকবার গ্রেপ্তার হন মে দিবসের র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রদ্রোহ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়। এক দশক পরও ওই মামলাগুলো এখনো ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দালামিনির ‘পিপলস ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ও এখন নিষিদ্ধ।
এমন একটি দেশেই ২০২১ সালে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেন। কিন্তু সীমাহীন কঠোরতার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করে, সে সময় সরকারি বাহিনীর গুলি এবং দমন-পীড়নে অন্তত ৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন করতে সম্মত হন রাজা। কিন্তু সেই সংলাপ এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। তার আগেই অতীতের মতো গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশটিতে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে।
এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে তীব্র অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ বিরাজ করলেও এখন অনেকেই ভয়ে চুপ করে আছেন। ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটারস নামে দেশটিতে নিষিদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক দলের নেত্রী নমবোলেলো মোস্তা দাবি করেছেন, ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। দিনে দিনে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে।
মোস্তা বলেন, ‘যদি রাতের বেলায় যদি আপনি হাঁটতে বের হন, তবে হয়তো আপনাকে নির্মমভাবে পেটানো হবে কিংবা গুলি করে মারা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ভয় পাচ্ছে। কারণ কেউ রাস্তায় বিক্ষোভ করতে গেলেই তাঁকে অনুসরণ করা হচ্ছে। শুধু মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্যও মানুষের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। তবে এটা ঠিক যে, আমরা এখন বন্দুক ভয় পাই।’
মাত্র ১২ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি একসময় সোয়াজিল্যান্ড নামে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ইসোয়াতিনি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে।
পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে বহু বছর ধরে রাজতন্ত্র চালু আছে। ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়া এই দেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ কোনো দিনই পায়নি। তবে সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার দাবি করে—তারা দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ও সুশাসনের আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড মেনে চলে। বাস্তব পরিস্থিতি যদিও ভিন্ন।
দেশটিতে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখাতে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এই দেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। প্রত্যেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কে এমপি হবেন আর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী—সব রাজাই নির্ধারণ করে দেন।
এমন একটি দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান জন্য সংগ্রাম করছেন ম্যাক্সওয়েল দালামিনি নামে এক রাজনীতিবিদ।
সোমবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈশবে রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন দালামিনি। এর ফলাফলও তাঁকে ভোগ করতে হচ্ছে। ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে রাজধানীতে একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার চেয়েছিলেন দালামিনি। কিন্তু সরকারের কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা অন্যরকম। ফলস্বরূপ, দালামিনির বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এবং তাঁকে বিপজ্জনক রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কুখ্যাত এক কারাগারে টানা এক বছর ধরে নির্মম নির্যাতনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। বহু দিন তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এমনকি অন্য কোনো বন্দীর সঙ্গেও দেখা হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে ডিগ্রি অর্জন না করেই তাঁর ছাত্রজীবন শেষ হয়ে যায়। আর কারাগারের ভেতর নানা ধরনের নির্যাতনের ফলে একবার স্ট্রোকও হয় তাঁর।
তবে আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে এক বছর পর জামিনে ছাড়া পান দালামিনি। কিন্তু খুব বেশি দিনের জন্য নয়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আরও দুইবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একবার গ্রেপ্তার করা হয় ধুমধাম ও বিপুল খরচ করে রাজার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করায়। আরেকবার গ্রেপ্তার হন মে দিবসের র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রদ্রোহ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়। এক দশক পরও ওই মামলাগুলো এখনো ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দালামিনির ‘পিপলস ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ও এখন নিষিদ্ধ।
এমন একটি দেশেই ২০২১ সালে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেন। কিন্তু সীমাহীন কঠোরতার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করে, সে সময় সরকারি বাহিনীর গুলি এবং দমন-পীড়নে অন্তত ৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন করতে সম্মত হন রাজা। কিন্তু সেই সংলাপ এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। তার আগেই অতীতের মতো গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশটিতে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে।
এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে তীব্র অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ বিরাজ করলেও এখন অনেকেই ভয়ে চুপ করে আছেন। ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটারস নামে দেশটিতে নিষিদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক দলের নেত্রী নমবোলেলো মোস্তা দাবি করেছেন, ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। দিনে দিনে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে।
মোস্তা বলেন, ‘যদি রাতের বেলায় যদি আপনি হাঁটতে বের হন, তবে হয়তো আপনাকে নির্মমভাবে পেটানো হবে কিংবা গুলি করে মারা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ভয় পাচ্ছে। কারণ কেউ রাস্তায় বিক্ষোভ করতে গেলেই তাঁকে অনুসরণ করা হচ্ছে। শুধু মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্যও মানুষের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। তবে এটা ঠিক যে, আমরা এখন বন্দুক ভয় পাই।’
মাত্র ১২ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি একসময় সোয়াজিল্যান্ড নামে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ইসোয়াতিনি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
২ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলটদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্লাইট অপারেশনস গ্রুপ। সংস্থাটি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ। তবে আন্তর্জাতিক...
৩ ঘণ্টা আগেলেবাননের উদীয়মান নারী ফুটবলার সেলিন হায়দার। কয়েকদিন আগেই জাতীয় নারী ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে লেবাননের জার্সি গায়ে মাঠে নামার। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন অনেক দূরে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়ে এখন কোমায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সেলিন।
৩ ঘণ্টা আগে