অনলাইন ডেস্ক
গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা। করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণেই গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকার এই আস্থার সংকটে ভুগছে বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে।
সরকার, গণমাধ্যম, ব্যবসা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা—তা নিয়ে দুই দশক ধরে কাজ করছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান এডলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার (ইটিবি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের ওপর পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে তারা দেশগুলোর সরকারের ওপর জন-আস্থার একটা চিত্র তুলে ধরে। এবারের জরিপে দেখা গেছে, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমছে। বিপরীতে চীনের সরকারের মতো কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইটিবির এবারের জরিপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। দেখা গেছে, করোনায় এই সময়েও ব্যবসা খাতের ওপর মানুষ আস্থা ধরে রেখেছে। এ জন্য টিকা উৎপাদন, করোনায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে ধারণায় বদল আনা ইত্যাদি বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ব্যবসা খাতের ওপর আস্থা অটুট থাকলেও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রশ্নে অসন্তোষ রয়েই গেছে।
গত বছরের ১-২৪ নভেম্বরের মধ্যে ২৮টি দেশের ৩৬ হাজার মানুষের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করে ইটিবি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রিচার্ড এডলম্যানের ভাষ্যমতে, গণতন্ত্রের ওপর মানুষের আস্থা সত্যিই কমেছে। আর অর্থনীতির ক্ষেত্রে যতটা যা উদ্বেগ দেখা গেছে, তা হয় মহামারির কারণে, নয়তো অটোমেশনের কারণে।
সরকারের ওপর আস্থা হারানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে জার্মানি। দেশটির সরকারের ওপর জন-আস্থা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৪৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় এ হার ৫৩ শতাংশ, আগের বছরের তুলনায় যা ৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। একই হারে কমে নেদারল্যান্ডসের সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে। আর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট করে কমে যথাক্রমে ৪২ ও ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এই যখন গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থা, তখন চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), থাইল্যান্ডের মতো দেশের সরকারের ওপর মানুষের আস্থা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। রয়টার্স জানায়, চীনা সরকারের ওপর দেশটির নাগরিকদের ৮৩ শতাংশ আস্থাশীল, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। আর ইউএইর ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। থাইল্যান্ডে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। সব মিলিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলোর সরকার বেশ ভালোই আছে বলা যায়।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ধনী দেশগুলো মহামারি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে লাখো কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু তারপরও এই দেশগুলোর সরকারের ওপর মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। জাপানের কথাই ধরা যাক। জরিপে অংশ নেওয়া জাপানিদের মাত্র ১৫ শতাংশ মনে করে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা ও তাদের পরিবার একটি উন্নত জীবন পাবে। অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এমন মত দেওয়ার হার ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অথচ চীনের ক্ষেত্রে এমন মত প্রকাশ করেছেন জরিপে অংশ নেওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ।
এমন হওয়ার কারণ হিসেবে এডলম্যান রয়টার্সকে বলেন, চীনা লোকেরা শুধু অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিচারে এমনটা বলছেন না। তাঁদের কাছে চীনের নীতি অনেক বেশি অনুমানযোগ্য। এটি শুধু মহামারি সময়ের বাস্তবতা নয়। যা বলা হচ্ছে, তা করা হচ্ছে কি-না, তার ওপরই নির্ভর করে এই জন-আস্থার বিষয়টি।
গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা। করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণেই গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকার এই আস্থার সংকটে ভুগছে বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে।
সরকার, গণমাধ্যম, ব্যবসা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা—তা নিয়ে দুই দশক ধরে কাজ করছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান এডলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার (ইটিবি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের ওপর পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে তারা দেশগুলোর সরকারের ওপর জন-আস্থার একটা চিত্র তুলে ধরে। এবারের জরিপে দেখা গেছে, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমছে। বিপরীতে চীনের সরকারের মতো কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইটিবির এবারের জরিপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। দেখা গেছে, করোনায় এই সময়েও ব্যবসা খাতের ওপর মানুষ আস্থা ধরে রেখেছে। এ জন্য টিকা উৎপাদন, করোনায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে ধারণায় বদল আনা ইত্যাদি বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ব্যবসা খাতের ওপর আস্থা অটুট থাকলেও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রশ্নে অসন্তোষ রয়েই গেছে।
গত বছরের ১-২৪ নভেম্বরের মধ্যে ২৮টি দেশের ৩৬ হাজার মানুষের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করে ইটিবি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রিচার্ড এডলম্যানের ভাষ্যমতে, গণতন্ত্রের ওপর মানুষের আস্থা সত্যিই কমেছে। আর অর্থনীতির ক্ষেত্রে যতটা যা উদ্বেগ দেখা গেছে, তা হয় মহামারির কারণে, নয়তো অটোমেশনের কারণে।
সরকারের ওপর আস্থা হারানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে জার্মানি। দেশটির সরকারের ওপর জন-আস্থা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৪৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় এ হার ৫৩ শতাংশ, আগের বছরের তুলনায় যা ৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। একই হারে কমে নেদারল্যান্ডসের সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে। আর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট করে কমে যথাক্রমে ৪২ ও ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এই যখন গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থা, তখন চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), থাইল্যান্ডের মতো দেশের সরকারের ওপর মানুষের আস্থা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। রয়টার্স জানায়, চীনা সরকারের ওপর দেশটির নাগরিকদের ৮৩ শতাংশ আস্থাশীল, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। আর ইউএইর ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। থাইল্যান্ডে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। সব মিলিয়ে কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলোর সরকার বেশ ভালোই আছে বলা যায়।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ধনী দেশগুলো মহামারি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে লাখো কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু তারপরও এই দেশগুলোর সরকারের ওপর মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। জাপানের কথাই ধরা যাক। জরিপে অংশ নেওয়া জাপানিদের মাত্র ১৫ শতাংশ মনে করে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা ও তাদের পরিবার একটি উন্নত জীবন পাবে। অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এমন মত দেওয়ার হার ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অথচ চীনের ক্ষেত্রে এমন মত প্রকাশ করেছেন জরিপে অংশ নেওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ।
এমন হওয়ার কারণ হিসেবে এডলম্যান রয়টার্সকে বলেন, চীনা লোকেরা শুধু অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিচারে এমনটা বলছেন না। তাঁদের কাছে চীনের নীতি অনেক বেশি অনুমানযোগ্য। এটি শুধু মহামারি সময়ের বাস্তবতা নয়। যা বলা হচ্ছে, তা করা হচ্ছে কি-না, তার ওপরই নির্ভর করে এই জন-আস্থার বিষয়টি।
ভারতের আলোচিত গান্ধী পরিবারের অন্যতম উত্তরাধিকার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। এই প্রথম তিনি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এর জীবনের প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করতে যাচ্ছেন তিনি। ভাই রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া ওয়ানাদ আসনে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া নতুন রণকৌশল গ্রহণ করেছে। এখন থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনবে। কেবল সামরিক অবকাঠামো বা স্থাপনায় নয়, রাশিয়া এখন থেকে ইউক্রেনের কৌশলগত সব ধরনের স্থাপনায়ই হামলা চালাবে।
২ ঘণ্টা আগেগুলির শব্দ শুনে রেড্ডির বন্ধুরা, যারা অন্য একটি ঘরে ছিলেন, ছুটে তাঁর ঘরে আসেন এবং তাঁকে রক্তে ভেজা অবস্থায় পান। বন্ধুরা দ্রুত কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের হাত ছিল বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। সংবাদমাধ্যমগুলো বুশরা বিবির একটি ভিডিও বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে