অনলাইন ডেস্ক
গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারে উচ্চ মাত্রায় আফিম চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি)। এই সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাষের পরিমাণ সামান্য (৪ শতাংশ) কমে ৪৭ হাজার ১০০ হেক্টর থেকে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টরে নেমে এসেছে। কিন্তু মিয়ানমার এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম সরবরাহকারী দেশ।
তবে চাষের এই পরিবর্তন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসমভাবে ঘটেছে। কিছু এলাকায় চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আবার কিছু এলাকায় কমেছে।
ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি মাসুদ করিমিপুর জানান, মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিমের পরিমাণ এখনো বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলমান সংঘাত ও আফগানিস্তানে আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞার ফলে, ভবিষ্যতে মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে আফিম চাষের বৈচিত্র্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। দেশটির শান রাজ্য সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী অঞ্চল, যেখানে দেশের মোট আফিম চাষের ৮৮ শতাংশ উৎপাদিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ শানে চাষের পরিমাণ কিছুটা কমলেও, পূর্ব শান রাজ্যে (যা লাওস এবং থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী) ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাচিন রাজ্যে ১০ শতাংশ হ্রাস পেলেও, চিন রাজ্যে চাষ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। কায়াহ রাজ্যে তুলনামূলক কম হলেও, এ বছর ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘বাজারমূল্য’ আফিম চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুকনো আফিমের দাম ৮ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৩০৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে আফিমের ঘাটতি দেখা দিলে, মিয়ানমারের কৃষকদের দেওয়া দামের ওপর চাপ বাড়তে পারে। ফলে, মিয়ানমারের কৃষকদের আফিম চাষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ইউএনওডিসির প্রতিনিধি করিমিপুর সতর্ক করেছেন, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলে উচ্চমাত্রায় আফিম চাষসহ সিনথেটিক ড্রাগ (মেথামফেটামিন) উৎপাদন ক্রমাগত বাড়ছে এবং অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে আফিম চাষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আফিম চাষকারী গ্রামগুলোতে সাধারণত চরম দারিদ্র্য, ঋণের বোঝা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে তারা আয়ের পথ হিসেবে আফিম চাষে ঝুঁকছেন।
ইউএনওডিসির মিয়ানমার বিষয়ক কান্ট্রি ম্যানেজার ইয়াটা ডাকোওয়া বলেন, ‘মিয়ানমারের কৃষকেরা আফিম চাষ করে ধনী হন না বরং তাদের পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। তাদের আফিম চাষ থেকে দূরে রাখতে হলে টেকসই আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে।’
গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারে উচ্চ মাত্রায় আফিম চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি)। এই সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাষের পরিমাণ সামান্য (৪ শতাংশ) কমে ৪৭ হাজার ১০০ হেক্টর থেকে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টরে নেমে এসেছে। কিন্তু মিয়ানমার এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম সরবরাহকারী দেশ।
তবে চাষের এই পরিবর্তন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসমভাবে ঘটেছে। কিছু এলাকায় চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আবার কিছু এলাকায় কমেছে।
ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি মাসুদ করিমিপুর জানান, মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিমের পরিমাণ এখনো বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলমান সংঘাত ও আফগানিস্তানে আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞার ফলে, ভবিষ্যতে মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে আফিম চাষের বৈচিত্র্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। দেশটির শান রাজ্য সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী অঞ্চল, যেখানে দেশের মোট আফিম চাষের ৮৮ শতাংশ উৎপাদিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ শানে চাষের পরিমাণ কিছুটা কমলেও, পূর্ব শান রাজ্যে (যা লাওস এবং থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী) ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাচিন রাজ্যে ১০ শতাংশ হ্রাস পেলেও, চিন রাজ্যে চাষ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। কায়াহ রাজ্যে তুলনামূলক কম হলেও, এ বছর ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘বাজারমূল্য’ আফিম চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুকনো আফিমের দাম ৮ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৩০৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে আফিমের ঘাটতি দেখা দিলে, মিয়ানমারের কৃষকদের দেওয়া দামের ওপর চাপ বাড়তে পারে। ফলে, মিয়ানমারের কৃষকদের আফিম চাষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ইউএনওডিসির প্রতিনিধি করিমিপুর সতর্ক করেছেন, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলে উচ্চমাত্রায় আফিম চাষসহ সিনথেটিক ড্রাগ (মেথামফেটামিন) উৎপাদন ক্রমাগত বাড়ছে এবং অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে আফিম চাষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আফিম চাষকারী গ্রামগুলোতে সাধারণত চরম দারিদ্র্য, ঋণের বোঝা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে তারা আয়ের পথ হিসেবে আফিম চাষে ঝুঁকছেন।
ইউএনওডিসির মিয়ানমার বিষয়ক কান্ট্রি ম্যানেজার ইয়াটা ডাকোওয়া বলেন, ‘মিয়ানমারের কৃষকেরা আফিম চাষ করে ধনী হন না বরং তাদের পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। তাদের আফিম চাষ থেকে দূরে রাখতে হলে টেকসই আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে।’
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওরিয়লের একটি তেলের ডিপোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবার রাতে এসব হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে, বার্তা সংস্থা এএফপি। ওরিয়ল অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ক্লিচকোভ টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের ড্রোনগুলোকে গুলি করে নামিয়েছে এবং তেলের ডিপোর আগুন
৭ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের সীমান্তবর্তী উমফাং শহরে একটি উৎসবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত ও অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্
৮ ঘণ্টা আগেসিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের। এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার প্রধান কমান্ডার আবু হাসান আল-হামুই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম
১৩ ঘণ্টা আগেঅভিশংসিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। দেশটির আইনপ্রণেতারা আজ শনিবার ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। তবে এখনই তিনি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত হবেন না। বিরোধী দল একে ‘জনগণের বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে
১৫ ঘণ্টা আগে