অনলাইন ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলটদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্লাইট অপারেশনস গ্রুপ। সংস্থাটি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ। তবে আন্তর্জাতিক পাইলট ও বিমান কর্মীদের সংগঠন অপস গ্রুপ বলছে, ‘সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত কোনো রুট নেই।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অপস গ্রুপ তাদের ব্লগে ‘ডজিং ডেঞ্জার: দ্য থ্রি রাউটস থ্রু দ্য মিডল ইস্ট’—শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে লেখক ক্রিস শিয়েফ বলেছেন, ‘এখন আর প্রশ্নটি শুধু “এই রুটটি নিরাপদ কিনা? ”—তা নয়, বরং নিজেরা (পাইলট ও বিমানকর্মীরা) কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, সেটাই বিষয়।’
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে প্রধান প্রধান এয়ারলাইনসগুলো তিনটি রুট ব্যবহার করছে—দক্ষিণে মিসর ও সৌদি আরব হয়ে, কেন্দ্রভাগে তুরস্ক ও পূর্ব ইরাক হয়ে এবং উত্তরে ককেশাস, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে। সব রুটই অপস গ্রুপের ঝুঁকির তালিকায় আছে। সংস্থাটি এসব অঞ্চলকে ‘ডু নট ফ্লাই’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত না করলেও জানিয়েছে, প্রতিটি রুটেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় আকাশপথ
অপস গ্রুপ এই রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো পরিবহন সংস্থাগুলোকে ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আকস্মিক সংঘাতের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে’ পরামর্শ দিয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর জন্য অবশ্য নিরাপদ বিকল্প বিমানবন্দর সুবিধা আছে বলেও জানিয়েছে অপস গ্রুপ।
তবে গ্রুপটি সতর্ক করেছে, এই রুটে অবস্থিত পশ্চিম ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঝুঁকি আছে। ব্লগে বলা হয়েছে, ‘এই বিষয়টি বিমান চলাচলের জন্য তিন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে—সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত (খুবই কম সম্ভাবনা), ভূপতিত বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং ভুল শনাক্তকরণ।’ অর্থাৎ, এই রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হতে পারে।
এই রুটের আরেকটি সমস্যা হলো, অতিরিক্ত ব্যবহার। এর ফলে, এই অঞ্চলের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় চাপ পড়ছে। একটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট ক্রু জানিয়েছেন, মিসরের উত্তর উপকূল থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত পুরো পথ তারা কোনো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
কেন্দ্রভাগের আকাশপথ
অপস গ্রুপের ব্লগে বলা হয়েছে, ‘এই রুটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—ইরাকের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়া নিরাপদ কিনা? আমাদের মতে, হ্যাঁ, তবে কিছু সতর্কতার সঙ্গে যেতে হবে এই রুট দিয়ে।’
ব্লগে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তর ইরাকসহ কিছু এলাকায় ব্যাপক জিপিএস সিগন্যাল বিঘ্ন ঘটতে পারে। একবার এটি একটি বিমানকে অনুমতি ছাড়াই প্রায় ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিল।’ এ ছাড়া, তুরস্কের আকাশেও জিপিএস সিগন্যালেও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে, বিশেষ করে ইরান-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি।
উত্তরাঞ্চলের আকাশপথ
এশিয়া-ইউরোপের মধ্যে চলাচলকারী বিমানগুলোর ক্ষেত্রে এই রুট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। এটি তুরস্কের উত্তরাঞ্চল বা কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণ এলাকা হয়ে জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তানের ওপর দিয়ে যায়।
পূর্ব এশিয়ার (যেমন হংকং, সিউল, টোকিও) দিকে যাওয়া বিমানের জন্য এই রুটটি নিরাপদ। তবে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতের দিকে যাওয়া অনেক বিমান আফগানিস্তানের আকাশসীমা পাড়ি দেয়। তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির আকাশসীমা অরক্ষিত।
প্রতিদিনই আফগানিস্তানের আকাশ দিয়ে অসংখ্য ফ্লাইট নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে। তবে অপস গ্রুপের মতে, ইঞ্জিন বিকল, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া বা বিমানচাপ কমার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে আফগানিস্তানে জরুরি অবতরণের ঝুঁকি থেকেই যায়। আর সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলটদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্লাইট অপারেশনস গ্রুপ। সংস্থাটি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ। তবে আন্তর্জাতিক পাইলট ও বিমান কর্মীদের সংগঠন অপস গ্রুপ বলছে, ‘সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত কোনো রুট নেই।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অপস গ্রুপ তাদের ব্লগে ‘ডজিং ডেঞ্জার: দ্য থ্রি রাউটস থ্রু দ্য মিডল ইস্ট’—শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে লেখক ক্রিস শিয়েফ বলেছেন, ‘এখন আর প্রশ্নটি শুধু “এই রুটটি নিরাপদ কিনা? ”—তা নয়, বরং নিজেরা (পাইলট ও বিমানকর্মীরা) কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, সেটাই বিষয়।’
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে প্রধান প্রধান এয়ারলাইনসগুলো তিনটি রুট ব্যবহার করছে—দক্ষিণে মিসর ও সৌদি আরব হয়ে, কেন্দ্রভাগে তুরস্ক ও পূর্ব ইরাক হয়ে এবং উত্তরে ককেশাস, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে। সব রুটই অপস গ্রুপের ঝুঁকির তালিকায় আছে। সংস্থাটি এসব অঞ্চলকে ‘ডু নট ফ্লাই’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত না করলেও জানিয়েছে, প্রতিটি রুটেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় আকাশপথ
অপস গ্রুপ এই রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো পরিবহন সংস্থাগুলোকে ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে আকস্মিক সংঘাতের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে’ পরামর্শ দিয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর জন্য অবশ্য নিরাপদ বিকল্প বিমানবন্দর সুবিধা আছে বলেও জানিয়েছে অপস গ্রুপ।
তবে গ্রুপটি সতর্ক করেছে, এই রুটে অবস্থিত পশ্চিম ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঝুঁকি আছে। ব্লগে বলা হয়েছে, ‘এই বিষয়টি বিমান চলাচলের জন্য তিন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে—সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত (খুবই কম সম্ভাবনা), ভূপতিত বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং ভুল শনাক্তকরণ।’ অর্থাৎ, এই রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হতে পারে।
এই রুটের আরেকটি সমস্যা হলো, অতিরিক্ত ব্যবহার। এর ফলে, এই অঞ্চলের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় চাপ পড়ছে। একটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট ক্রু জানিয়েছেন, মিসরের উত্তর উপকূল থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত পুরো পথ তারা কোনো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
কেন্দ্রভাগের আকাশপথ
অপস গ্রুপের ব্লগে বলা হয়েছে, ‘এই রুটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—ইরাকের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়া নিরাপদ কিনা? আমাদের মতে, হ্যাঁ, তবে কিছু সতর্কতার সঙ্গে যেতে হবে এই রুট দিয়ে।’
ব্লগে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তর ইরাকসহ কিছু এলাকায় ব্যাপক জিপিএস সিগন্যাল বিঘ্ন ঘটতে পারে। একবার এটি একটি বিমানকে অনুমতি ছাড়াই প্রায় ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিল।’ এ ছাড়া, তুরস্কের আকাশেও জিপিএস সিগন্যালেও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে, বিশেষ করে ইরান-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি।
উত্তরাঞ্চলের আকাশপথ
এশিয়া-ইউরোপের মধ্যে চলাচলকারী বিমানগুলোর ক্ষেত্রে এই রুট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। এটি তুরস্কের উত্তরাঞ্চল বা কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণ এলাকা হয়ে জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তানের ওপর দিয়ে যায়।
পূর্ব এশিয়ার (যেমন হংকং, সিউল, টোকিও) দিকে যাওয়া বিমানের জন্য এই রুটটি নিরাপদ। তবে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতের দিকে যাওয়া অনেক বিমান আফগানিস্তানের আকাশসীমা পাড়ি দেয়। তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির আকাশসীমা অরক্ষিত।
প্রতিদিনই আফগানিস্তানের আকাশ দিয়ে অসংখ্য ফ্লাইট নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে। তবে অপস গ্রুপের মতে, ইঞ্জিন বিকল, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া বা বিমানচাপ কমার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে আফগানিস্তানে জরুরি অবতরণের ঝুঁকি থেকেই যায়। আর সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
১৭ মিনিট আগেহেজ ফান্ডের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬২ বছর বয়সী বেসেন্ট, বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে’র প্রতিষ্ঠাতা।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
৫ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
৬ ঘণ্টা আগে