অনলাইন ডেস্ক
২৭ বছর বয়সী রহিম রহমান একজন আফগান সাংবাদিক। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন তিনি। তালেবানের রক্তচক্ষু এড়িয়ে, বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলা পেরিয়ে তার আকাশে উড়ার রুদ্ধশ্বাস গল্পটি গতকাল প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়–
তালেবানরা যেদিন কাবুল দখল করে নেয়, জার্মান প্রবাসী বন্ধুর ফোন পেয়ে সেই দিনটি শুরু হয় রহিমের। বন্ধুটি তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব কাবুলের বিমানবন্দরে যাওয়ার তাড়া দিয়েছিল। কারণ সেদিনই একটি জার্মান বিমান নিজেদের কূটনীতিক ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আফগানকে নিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রহিমের নামটিও এই তালিকায় যুক্ত করতে পেরেছিলেন জার্মানিতে থাকা বন্ধুটি। কারণ রহিম বেশ কিছুদিন ধরেই একটি জার্মান গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর গত এক বছর ধরেই জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করে আসছিলেন তিনি।
তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করার পর পালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না রহিমের। কারণ তিনি ছিলেন প্রগতিশীল সাংবাদিক। বাহুতে ট্যাটু আঁকা। তালেবানের চোখে তিনি একজন অবিশ্বাসী ছাড়া আর কিছু নন। এ অবস্থায় শুধু নিজের ল্যাপটপ আর ফোনটি নিয়ে বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়েন রহিম। কিন্তু বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই একরাশ আতঙ্ক তাঁকে ঘিরে ধরে। এমন আতঙ্ক এর আগে কোনো দিনই অনুভব করেননি তিনি।
সারা শহর যেন বদলে গিয়েছিল সেদিন। যে কোনো মুহূর্তে তালেবানের কাছে ধরা পড়ে যাবেন, সারাক্ষণ এমন ভয় কাজ করছিল রহিমের। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের গেটে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি। সেখানেও ছিল আরেক ভয়। কারণ তার কাছে কোনো ভিসা ছিল না। এ অবস্থায় গেট থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে এমন আশঙ্কাও ছিল। রহিম ভাবছিলেন, তার বাড়ি ফেরার আর কোনো উপায়ই নেই।
শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন রহিম। ভেতরে প্রবেশ করেই যা দেখেন তাতে পুরোপুরি আশা হারিয়ে ফেলেন তিনি। কারণ সেখানে ছিল হাজার হাজার মানুষ। নারী–পুরুষের চিৎকার, শিশুদের কান্না–কাটি ছাড়া আর কোনো শব্দই কানে আসছিল না। তালেবানরা যে কোনো মুহূর্তে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করবে–এই আতঙ্ক সবার মাঝেই। আফগানদের পাশাপাশি অনেক বিদেশিকেও হতবিহ্বল হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখেন রহিম। হাতে টিকিট নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিমানে উঠতে না পারার ভয়ে ছিলেন অনেকেই। আতঙ্কে উদভ্রান্ত হয়ে যাওয়া কিছু মানুষ বিমানবন্দরে দরজা জানালা এবং টিকিট কাউন্টারগুলো ভাঙচুর করছিলেন। আর বিশৃঙ্খলার এটা ছিল শুরু মাত্র।
চারপাশের অবস্থা দেখে প্রচণ্ড ভয়ে বুক ধড়ফড় শুরু হয় রহিমেরও। তিনি বিমানবন্দরের একটি কোনায় গিয়ে জড়সড় হয়ে লুকিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই ছোট্ট একটি জানালা দিয়ে তিনি দেখতে পান–একটি তুর্কি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বিমানটির চারপাশ ঘিরে ধরেছে অসংখ্য মানুষ। তারা সবাই বিমানের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন। এমনকি অনেককে বিমানটির সিঁড়িতেও ঝুলে থাকতে দেখা যায়। বিমানটি এমনিতেই ছিল ওভারলোড। তার ওপর এর সিঁড়ির মধ্যেই হুড়োহুড়ি করছিল কয়েক শ মানুষ। তাই কিছুতেই আকাশে উড়াল দিতে পারছিল না এটি। মানুষগুলোর চিৎকার অনেক দূর থেকেই শুনতে পারছিলেন রহিম। কেউ একজন চিৎকার করছিল–‘আমরা যেতে চাই, তা না হলে আমরা মরে যাব।’ লুকিয়ে থাকার স্থানটিতে বসে রহিম এসব দেখছিল তার সুযোগের অপেক্ষা করছিল।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা কিংবা ৯টার দিকে একজন চিৎকার করে উঠল, বিমানবন্দরের ভেতরে তালেবানরা ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষ আবারও দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সাধ্য কারওরই ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজও শুনতে পেলেন রহিম। তারও মনে হলো–তালেবানরা চলে এসেছে। এ অবস্থায় তিনি আবারও জার্মানিতে থাকা বন্ধুটিকে ফোন দিলেন। সেই বন্ধুটি জানাল, জার্মান বিমান ছাড়বে পরের দিন।
এই খবরে দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলেন রহিম। কিন্তু এমন সময়ই তিনি দেখলেন মার্কিন সৈন্যদের একটি দল কিছু বিদেশিকে একটি সামরিক টার্মাকে নিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যদের একজন বিদেশিদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘এটা আমেরিকার মাটি, তালেবানরা এখানে আসবে না।’ এটা শোনা মাত্রই সেই দলটির দিকে ছুটতে শুরু করলেন রহিম। শুধু তিনিই নন, আরও অনেক মানুষই ছুটে যাচ্ছিলেন তাদের দিকে। কানে তখন গুলির আওয়াজও ভেসে আসছিল কোত্থেকে যেন। কিছু সময়ের জন্য সময়টি যেন থমকে গেছে। আর এ সময়ই রহিম শুনতে পেলেন, আমেরিকান সৈন্যরা চিৎকার করে বলছে–‘চল, সবাই’। রহিম দেখলেন, বিদেশিসহ অসংখ্য আফগান স্রোতের মতো প্রবেশ করছে বিমানটির ভেতরে। রহিম বুঝতে পারলেন, এটাই তার জীবনের সেরা সুযোগ।
প্রাণপণ চেষ্টায় তিনিও ঢুকে পড়লেন বিমানটির ভেতরে! কয়েক শ মানুষ নিমেষেই ঢুকে পড়েছে। সবাই দাঁড়িয়ে আছে। তিল পরিমাণ জায়গা আর অবশিষ্ট নেই। একে অপরের সঙ্গে লেপ্টে যাচ্ছিল মানুষগুলো। অনেকের কোলে ছিল তাদের ছোট্ট শিশু। রহিম নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না। এমন সময়ই বিমানের এক পাইলট ঘোষণা করলেন–বিমানটি কোথাও যাবে না। কারণ এর ভেতরে ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ।
একজন চিৎকার করে বলছিলেন–‘দয়া করে বাইরে যান, বাইরে যান. . ’। এ সময় কয়েকজন সেনা এগিয়ে এলেন এবং সামনের ও পেছনের দরজার কাছাকাছি থাকা বেশ কিছু মানুষকে ঠেলা–ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন। কিছুটা ভেতরের দিকে থাকা রহিমকেও প্রায় বের করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দরজার কাছে যাওয়া মাত্রই একজন সেনা বললেন, ‘যেখানে আছ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো’! সেখানেই ২০ মিনিট স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রহিম। বাইরে তখন বিমানের কাছ থেকে মানুষদের সরানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে সেনারা। একসময় এক সেনা নির্দেশ দিলেন, দরজার কাছে যারা দাঁড়িয়ে আছ তারা বিমানের ভেতরে চলে আসো। ভেতরে প্রবেশের পরও আরও এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিল বিমানটি। তারপরই এটি নড়তে শুরু করল এবং আকাশে উড়ল। এটাই রহিমের জীবনের সবচেয়ে সুখকর সময়। তার চারপাশে থাকা মানুষেরা প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেই উল্লাসধ্বনি করে উঠল। হাত তালি দিচ্ছিল তারা।
২৭ বছর বয়সী রহিম রহমান একজন আফগান সাংবাদিক। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন তিনি। তালেবানের রক্তচক্ষু এড়িয়ে, বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলা পেরিয়ে তার আকাশে উড়ার রুদ্ধশ্বাস গল্পটি গতকাল প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়–
তালেবানরা যেদিন কাবুল দখল করে নেয়, জার্মান প্রবাসী বন্ধুর ফোন পেয়ে সেই দিনটি শুরু হয় রহিমের। বন্ধুটি তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব কাবুলের বিমানবন্দরে যাওয়ার তাড়া দিয়েছিল। কারণ সেদিনই একটি জার্মান বিমান নিজেদের কূটনীতিক ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আফগানকে নিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রহিমের নামটিও এই তালিকায় যুক্ত করতে পেরেছিলেন জার্মানিতে থাকা বন্ধুটি। কারণ রহিম বেশ কিছুদিন ধরেই একটি জার্মান গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর গত এক বছর ধরেই জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করে আসছিলেন তিনি।
তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করার পর পালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না রহিমের। কারণ তিনি ছিলেন প্রগতিশীল সাংবাদিক। বাহুতে ট্যাটু আঁকা। তালেবানের চোখে তিনি একজন অবিশ্বাসী ছাড়া আর কিছু নন। এ অবস্থায় শুধু নিজের ল্যাপটপ আর ফোনটি নিয়ে বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়েন রহিম। কিন্তু বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই একরাশ আতঙ্ক তাঁকে ঘিরে ধরে। এমন আতঙ্ক এর আগে কোনো দিনই অনুভব করেননি তিনি।
সারা শহর যেন বদলে গিয়েছিল সেদিন। যে কোনো মুহূর্তে তালেবানের কাছে ধরা পড়ে যাবেন, সারাক্ষণ এমন ভয় কাজ করছিল রহিমের। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের গেটে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি। সেখানেও ছিল আরেক ভয়। কারণ তার কাছে কোনো ভিসা ছিল না। এ অবস্থায় গেট থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে এমন আশঙ্কাও ছিল। রহিম ভাবছিলেন, তার বাড়ি ফেরার আর কোনো উপায়ই নেই।
শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন রহিম। ভেতরে প্রবেশ করেই যা দেখেন তাতে পুরোপুরি আশা হারিয়ে ফেলেন তিনি। কারণ সেখানে ছিল হাজার হাজার মানুষ। নারী–পুরুষের চিৎকার, শিশুদের কান্না–কাটি ছাড়া আর কোনো শব্দই কানে আসছিল না। তালেবানরা যে কোনো মুহূর্তে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করবে–এই আতঙ্ক সবার মাঝেই। আফগানদের পাশাপাশি অনেক বিদেশিকেও হতবিহ্বল হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখেন রহিম। হাতে টিকিট নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিমানে উঠতে না পারার ভয়ে ছিলেন অনেকেই। আতঙ্কে উদভ্রান্ত হয়ে যাওয়া কিছু মানুষ বিমানবন্দরে দরজা জানালা এবং টিকিট কাউন্টারগুলো ভাঙচুর করছিলেন। আর বিশৃঙ্খলার এটা ছিল শুরু মাত্র।
চারপাশের অবস্থা দেখে প্রচণ্ড ভয়ে বুক ধড়ফড় শুরু হয় রহিমেরও। তিনি বিমানবন্দরের একটি কোনায় গিয়ে জড়সড় হয়ে লুকিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই ছোট্ট একটি জানালা দিয়ে তিনি দেখতে পান–একটি তুর্কি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বিমানটির চারপাশ ঘিরে ধরেছে অসংখ্য মানুষ। তারা সবাই বিমানের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন। এমনকি অনেককে বিমানটির সিঁড়িতেও ঝুলে থাকতে দেখা যায়। বিমানটি এমনিতেই ছিল ওভারলোড। তার ওপর এর সিঁড়ির মধ্যেই হুড়োহুড়ি করছিল কয়েক শ মানুষ। তাই কিছুতেই আকাশে উড়াল দিতে পারছিল না এটি। মানুষগুলোর চিৎকার অনেক দূর থেকেই শুনতে পারছিলেন রহিম। কেউ একজন চিৎকার করছিল–‘আমরা যেতে চাই, তা না হলে আমরা মরে যাব।’ লুকিয়ে থাকার স্থানটিতে বসে রহিম এসব দেখছিল তার সুযোগের অপেক্ষা করছিল।
রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা কিংবা ৯টার দিকে একজন চিৎকার করে উঠল, বিমানবন্দরের ভেতরে তালেবানরা ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষ আবারও দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সাধ্য কারওরই ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজও শুনতে পেলেন রহিম। তারও মনে হলো–তালেবানরা চলে এসেছে। এ অবস্থায় তিনি আবারও জার্মানিতে থাকা বন্ধুটিকে ফোন দিলেন। সেই বন্ধুটি জানাল, জার্মান বিমান ছাড়বে পরের দিন।
এই খবরে দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলেন রহিম। কিন্তু এমন সময়ই তিনি দেখলেন মার্কিন সৈন্যদের একটি দল কিছু বিদেশিকে একটি সামরিক টার্মাকে নিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যদের একজন বিদেশিদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘এটা আমেরিকার মাটি, তালেবানরা এখানে আসবে না।’ এটা শোনা মাত্রই সেই দলটির দিকে ছুটতে শুরু করলেন রহিম। শুধু তিনিই নন, আরও অনেক মানুষই ছুটে যাচ্ছিলেন তাদের দিকে। কানে তখন গুলির আওয়াজও ভেসে আসছিল কোত্থেকে যেন। কিছু সময়ের জন্য সময়টি যেন থমকে গেছে। আর এ সময়ই রহিম শুনতে পেলেন, আমেরিকান সৈন্যরা চিৎকার করে বলছে–‘চল, সবাই’। রহিম দেখলেন, বিদেশিসহ অসংখ্য আফগান স্রোতের মতো প্রবেশ করছে বিমানটির ভেতরে। রহিম বুঝতে পারলেন, এটাই তার জীবনের সেরা সুযোগ।
প্রাণপণ চেষ্টায় তিনিও ঢুকে পড়লেন বিমানটির ভেতরে! কয়েক শ মানুষ নিমেষেই ঢুকে পড়েছে। সবাই দাঁড়িয়ে আছে। তিল পরিমাণ জায়গা আর অবশিষ্ট নেই। একে অপরের সঙ্গে লেপ্টে যাচ্ছিল মানুষগুলো। অনেকের কোলে ছিল তাদের ছোট্ট শিশু। রহিম নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না। এমন সময়ই বিমানের এক পাইলট ঘোষণা করলেন–বিমানটি কোথাও যাবে না। কারণ এর ভেতরে ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ।
একজন চিৎকার করে বলছিলেন–‘দয়া করে বাইরে যান, বাইরে যান. . ’। এ সময় কয়েকজন সেনা এগিয়ে এলেন এবং সামনের ও পেছনের দরজার কাছাকাছি থাকা বেশ কিছু মানুষকে ঠেলা–ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন। কিছুটা ভেতরের দিকে থাকা রহিমকেও প্রায় বের করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দরজার কাছে যাওয়া মাত্রই একজন সেনা বললেন, ‘যেখানে আছ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো’! সেখানেই ২০ মিনিট স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রহিম। বাইরে তখন বিমানের কাছ থেকে মানুষদের সরানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে সেনারা। একসময় এক সেনা নির্দেশ দিলেন, দরজার কাছে যারা দাঁড়িয়ে আছ তারা বিমানের ভেতরে চলে আসো। ভেতরে প্রবেশের পরও আরও এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিল বিমানটি। তারপরই এটি নড়তে শুরু করল এবং আকাশে উড়ল। এটাই রহিমের জীবনের সবচেয়ে সুখকর সময়। তার চারপাশে থাকা মানুষেরা প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেই উল্লাসধ্বনি করে উঠল। হাত তালি দিচ্ছিল তারা।
ভারতের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিছুদিন আগেই। সেই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সই (এনডিএ) ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির জোট এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও স্থানী ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে।
৪ ঘণ্টা আগেএকজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১৩ ঘণ্টা আগে