ইয়াসিন আরাফাত
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পেছনে পাকিস্তানের বড় ভূমিকা আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। আবার সম্প্রতি তালেবান সরকার গঠন নিয়ে গণমাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য রাখাও থামছে না। একেবারে নীতিনির্ধারণী দিকনির্দেশনা থেকে শুরু করে নানা বক্তব্য তিনি দিচ্ছেন। সর্বশেষ মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্যও এমনই একটি উদাহরণ। গণমাধ্যমে দেওয়া ইমরানের এমন বক্তব্য তালেবান সরকারকে সমর্থনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কেন আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসায় পাকিস্তান উচ্ছ্বসিত?
পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান। এ দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৫৭০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক, জাতিগত ও ধর্মীয় দিক দিয়েও পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের অনেক মিল রয়েছে। এই মিল দেখে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ককে অবিচ্ছেদ্য ভাইয়ের সম্পর্ক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
তবে শুধু এটুকু দিয়েই তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ঠিক বোঝা যাবে না। আজকের যে তালেবান, তার গোড়াটি রয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আগ্রাসনের যুগে জন্ম নেওয়া মুজাহিদিনদের মধ্যে। মুজাহিদিনদের একটি অংশ থেকেই জন্ম হয়েছিল তালেবানের। মাদ্রাসাশিক্ষার্থী বা তালিবদের নিয়েই গড়ে ওঠা সংগঠন তালেবান। আর এই তালেবানের জন্ম ও বেড়ে ওঠায় সরাসরি ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের। সৌদি আরবের প্রযোজনায় এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এমনকি ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা আশ্রয় পেয়েছিল পাকিস্তানেই। এখনো পাকিস্তানে তালেবান বেশ সক্রিয় একটি গোষ্ঠী। দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকেও তালেবান বিভিন্ন সময়ে নানা সহযোগিতা পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবানকে প্রশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ৯/১১ হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন হামলা ও তার ফল হিসেবে যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ শুরু হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয় পাকিস্তান। ঠিক সেই সময় দেশটির সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তালেবানের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিল, যা এখনো চলমান বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
মোদ্দা কথা, পাকিস্তান কখনোই এমন আফগান সরকার চায়নি, যা ভারতের পক্ষে থাকবে। আশরাফ গনির সরকারের আমলে যেসব দেশ আফগানিস্তানকে ব্যাপকভাবে আর্থিক সহায়তা করেছে, ভারত সেই তালিকায় দ্বিতীয়। তালেবানের বিরোধী নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রকাশ্য সহায়তাকারীও ছিল ভারত। ভারতের বিজেপি সরকারের নীতির কারণে আফগানিস্তানে সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির আমলেই অসন্তোষ দানা বাঁধে। এর জেরে আফগানিস্তানের শহরে শহরে ভারতবিরোধী বড় বিক্ষোভও হয়েছে। আর এতে পাকিস্তান নিরবচ্ছিন্নভাবে তালেবানকে সাহায্য করে গেছে।
২০ বছর আগেও যখন তালেবান সর্বশেষ আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল, তখনো আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তানই। গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আফগানরা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে। এই বার্তাই বুঝিয়ে দেয়, তালেবান ক্ষমতায় আসায় চিন্তামুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভুগেছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান এখন চাইছে তালেবানের নতুন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আল-কায়দা এবং স্থানীয় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের থেকে পরিত্রাণ পেতে। তার মানে, তালেবানের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে কাজ করার আগ্রহ আছে পাকিস্তানের। পাশাপাশি ইসলামাবাদ চায় আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয়।
আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের আরেকটি মাথাব্যথার কারণ হলো শরণার্থীর সমস্যা। বর্তমানে পাকিস্তানে প্রায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে। নড়বড়ে অর্থনীতিতে এখন আর আফগান শরণার্থী নেওয়া সম্ভব নয় পাকিস্তানের পক্ষে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আহমাদ খান সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেই দিয়েছেন, যে পরিমাণ শরণার্থী নেওয়ার জন্য পরামর্শ ও অনুরোধ করা হচ্ছে, তা নেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই।
পাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমানে পশ্চিমাদের সম্পর্ক ভালো নয়। এখন দেশটির সঙ্গে সবচেয়ে বাজে সম্পর্ক এসময়ের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক থাকা যুক্তরাষ্ট্রের। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখনো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেননি। প্রতিবেশী ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আর আগের মতো নিবেদিত ভঙ্গিতে কথা বলে না পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ আর ম্যাকমাস্টার বলেছিলেন, পাকিস্তান যদি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করে, তাহলে তাকে একঘরে রাষ্ট্রের মতো বিবেচনা করা উচিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সমীকরণে চীন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে পাকিস্তান হঠাৎ করে সমর্থন দেওয়া শুরু করেনি। বেশ আগে থেকেই তারা এটা করে আসছিল। কিন্তু তখন এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি ছিল না। আপত্তি তৈরি হলো তখনই, যখন পাকিস্তান অনেকটাই চীনঘেঁষা হয়ে উঠল। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভসহ বিভিন্ন উদ্যোগে পাকিস্তান যুক্ত হয়েছে। আর এটিই চটিয়েছে ওয়াশিংটনকে। ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা সরকারের তরফ থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা এখন আর নিষ্পাপ কিছু নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে না থাকলেও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ইসলামাবাদের দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামাবাদ সফর করেছেন। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শিগগিরই পাকিস্তান সফর করবেন বলে জানা গেছে। কূটনীতিকদের ধারণা, এখনো পাকিস্তান তালেবানদের ওপর কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে। এখন প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান কি সত্যি তালেবানকে প্রভাবিত করে? ক্ষমতায় থাকা তালেবানের ওপর তার এই প্রভাব কতটা থাকবে? নাকি পাকিস্তানে কারাভোগ করা তালেবান নেতারা ক্ষমতা পাওয়ার পর ইসলামাবাদের প্রভাব থেকে বের হতে চাইবেন? তাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কিছু চালু করেন কি না, তা এখন দেখার বিষয়। আর এই পর্যবেক্ষণে সবচেয়ে কড়া নজরটি রাখতে হবে চীনের দিকেই। কারণ, এখন নতুন পরিস্থিতিতে এ দুই অংশের মধ্যে সম্পর্কের মূল সুতাটি সে-ই ধরে রেখেছে।
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পেছনে পাকিস্তানের বড় ভূমিকা আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। আবার সম্প্রতি তালেবান সরকার গঠন নিয়ে গণমাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য রাখাও থামছে না। একেবারে নীতিনির্ধারণী দিকনির্দেশনা থেকে শুরু করে নানা বক্তব্য তিনি দিচ্ছেন। সর্বশেষ মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্যও এমনই একটি উদাহরণ। গণমাধ্যমে দেওয়া ইমরানের এমন বক্তব্য তালেবান সরকারকে সমর্থনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কেন আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসায় পাকিস্তান উচ্ছ্বসিত?
পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান। এ দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৫৭০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক, জাতিগত ও ধর্মীয় দিক দিয়েও পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের অনেক মিল রয়েছে। এই মিল দেখে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ককে অবিচ্ছেদ্য ভাইয়ের সম্পর্ক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
তবে শুধু এটুকু দিয়েই তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ঠিক বোঝা যাবে না। আজকের যে তালেবান, তার গোড়াটি রয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আগ্রাসনের যুগে জন্ম নেওয়া মুজাহিদিনদের মধ্যে। মুজাহিদিনদের একটি অংশ থেকেই জন্ম হয়েছিল তালেবানের। মাদ্রাসাশিক্ষার্থী বা তালিবদের নিয়েই গড়ে ওঠা সংগঠন তালেবান। আর এই তালেবানের জন্ম ও বেড়ে ওঠায় সরাসরি ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের। সৌদি আরবের প্রযোজনায় এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এমনকি ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা আশ্রয় পেয়েছিল পাকিস্তানেই। এখনো পাকিস্তানে তালেবান বেশ সক্রিয় একটি গোষ্ঠী। দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকেও তালেবান বিভিন্ন সময়ে নানা সহযোগিতা পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবানকে প্রশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ৯/১১ হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন হামলা ও তার ফল হিসেবে যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ শুরু হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয় পাকিস্তান। ঠিক সেই সময় দেশটির সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তালেবানের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিল, যা এখনো চলমান বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
মোদ্দা কথা, পাকিস্তান কখনোই এমন আফগান সরকার চায়নি, যা ভারতের পক্ষে থাকবে। আশরাফ গনির সরকারের আমলে যেসব দেশ আফগানিস্তানকে ব্যাপকভাবে আর্থিক সহায়তা করেছে, ভারত সেই তালিকায় দ্বিতীয়। তালেবানের বিরোধী নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রকাশ্য সহায়তাকারীও ছিল ভারত। ভারতের বিজেপি সরকারের নীতির কারণে আফগানিস্তানে সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির আমলেই অসন্তোষ দানা বাঁধে। এর জেরে আফগানিস্তানের শহরে শহরে ভারতবিরোধী বড় বিক্ষোভও হয়েছে। আর এতে পাকিস্তান নিরবচ্ছিন্নভাবে তালেবানকে সাহায্য করে গেছে।
২০ বছর আগেও যখন তালেবান সর্বশেষ আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল, তখনো আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তানই। গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আফগানরা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে। এই বার্তাই বুঝিয়ে দেয়, তালেবান ক্ষমতায় আসায় চিন্তামুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভুগেছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান এখন চাইছে তালেবানের নতুন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আল-কায়দা এবং স্থানীয় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের থেকে পরিত্রাণ পেতে। তার মানে, তালেবানের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে কাজ করার আগ্রহ আছে পাকিস্তানের। পাশাপাশি ইসলামাবাদ চায় আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয়।
আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের আরেকটি মাথাব্যথার কারণ হলো শরণার্থীর সমস্যা। বর্তমানে পাকিস্তানে প্রায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে। নড়বড়ে অর্থনীতিতে এখন আর আফগান শরণার্থী নেওয়া সম্ভব নয় পাকিস্তানের পক্ষে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আহমাদ খান সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেই দিয়েছেন, যে পরিমাণ শরণার্থী নেওয়ার জন্য পরামর্শ ও অনুরোধ করা হচ্ছে, তা নেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই।
পাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমানে পশ্চিমাদের সম্পর্ক ভালো নয়। এখন দেশটির সঙ্গে সবচেয়ে বাজে সম্পর্ক এসময়ের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক থাকা যুক্তরাষ্ট্রের। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এখনো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেননি। প্রতিবেশী ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আর আগের মতো নিবেদিত ভঙ্গিতে কথা বলে না পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ আর ম্যাকমাস্টার বলেছিলেন, পাকিস্তান যদি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করে, তাহলে তাকে একঘরে রাষ্ট্রের মতো বিবেচনা করা উচিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সমীকরণে চীন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে পাকিস্তান হঠাৎ করে সমর্থন দেওয়া শুরু করেনি। বেশ আগে থেকেই তারা এটা করে আসছিল। কিন্তু তখন এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি ছিল না। আপত্তি তৈরি হলো তখনই, যখন পাকিস্তান অনেকটাই চীনঘেঁষা হয়ে উঠল। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভসহ বিভিন্ন উদ্যোগে পাকিস্তান যুক্ত হয়েছে। আর এটিই চটিয়েছে ওয়াশিংটনকে। ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা সরকারের তরফ থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা এখন আর নিষ্পাপ কিছু নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে না থাকলেও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ইসলামাবাদের দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামাবাদ সফর করেছেন। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শিগগিরই পাকিস্তান সফর করবেন বলে জানা গেছে। কূটনীতিকদের ধারণা, এখনো পাকিস্তান তালেবানদের ওপর কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে। এখন প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান কি সত্যি তালেবানকে প্রভাবিত করে? ক্ষমতায় থাকা তালেবানের ওপর তার এই প্রভাব কতটা থাকবে? নাকি পাকিস্তানে কারাভোগ করা তালেবান নেতারা ক্ষমতা পাওয়ার পর ইসলামাবাদের প্রভাব থেকে বের হতে চাইবেন? তাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কিছু চালু করেন কি না, তা এখন দেখার বিষয়। আর এই পর্যবেক্ষণে সবচেয়ে কড়া নজরটি রাখতে হবে চীনের দিকেই। কারণ, এখন নতুন পরিস্থিতিতে এ দুই অংশের মধ্যে সম্পর্কের মূল সুতাটি সে-ই ধরে রেখেছে।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
৬ ঘণ্টা আগেহেজ ফান্ডের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬২ বছর বয়সী বেসেন্ট, বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে’র প্রতিষ্ঠাতা।
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
১০ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
১১ ঘণ্টা আগে