অনলাইন ডেস্ক
ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করে রেল ও শিপিং করিডর নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি–২০ সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে এমন ঘোষণা এল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ করিডর নির্মিত হবে বলে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
টরোন্টো স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, ঘোষণায় বাইডেন বলেন, ‘এটি বড় একটি বিষয়। আসলেই বড় বিষয়।’
বিশ্বের সেরা অর্থনীতির ২০টি দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষিত করিডর বাণিজ্য বৃদ্ধি, জ্বালানি শক্তি পৌঁছে দিতে ও ডিজিটাল সংযুক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, এই নেটওয়ার্ক বাইডেনের ‘কার্যকরী মার্কিন নেতৃত্ব’ ও অন্য দেশকে সহযোগী হিসেবে মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা থেকে অনুপ্রাণিত ‘সুদূরপ্রসারী বিনিয়োগের’ লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। অবকাঠামোটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবে ও অঞ্চলটিকে ‘সংঘর্ষ ও সংকটের উৎসের’ পরিবর্তে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন ও বিশ্বের অন্য নেতারা এ ঘোষণার অংশ হয়েছেন।
মোদি বলেছেন, ‘ভারতের জন্য সব দেশের সঙ্গে সংযুক্তি বাড়ানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশ্বাস, সংযুক্তি বিভিন্ন দেশের মধ্যে কেবল পারস্পরিক বাণিজ্যই নয় বরং পারস্পরিক আস্থাও বাড়ায়।’
রেল ও শিপিং করিডর গঠনগতভাবেই বিশ্বের এক বিশাল অংশকে যুক্ত করবে। এর ফলে ডিজিটাল সংযুক্তি ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে হাইড্রোজেনের মতো জ্বালানি বাণিজ্যের উন্নতি হবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি। এরপরও এই করিডর চীনের আন্তরাষ্ট্রীয় অবকাঠামো প্রকল্পের (বিআরআই) গঠনগত ও ভাবাদর্শগত বিকল্প হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পটি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সূচনা করেন ২০১৩ সালে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে উন্নতি সাধনের চেষ্টা করা। এ প্রকল্পে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় ও অর্থায়ন নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না পাওয়া গেলেও, ঘোষণার সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই অর্থ শুধু সৌদি আরবের অংশের জন্য প্রযোজ্য কি না সেটিও স্পষ্ট নয়।
ভন ডার লিয়েন প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেছেন, এটি হবে মহাদেশ ও সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি সবুজ এবং ডিজিটাল সেতু। এর মধ্যে থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন এবং ডেটা পরিবহনের অবকাঠামো।
তিনি আরও বলেন, একটি ট্রান্স আফ্রিকান করিডর অ্যাঙ্গোলার লবিতো বন্দরের সঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের স্থলবেষ্টিত এলাকা: কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কানাঙ্গা প্রদেশ এবং জাম্বিয়ার তামার খনি সমৃদ্ধ এলাকাকে সংযুক্ত করবে।
আফ্রিকার প্রকল্পটি সম্পর্কে জো বাইডেন বলেছেন, আঞ্চলিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি হবে যুগান্তকারী। দুই পক্ষের জন্যই এটি একটি বড় অগ্রগতির মাইলফলক।
বাইডেনের বৈশ্বিক অবকাঠামো ও জ্বালানি নিরাপত্তা সমন্বয়ক অ্যামস হোকস্টেইন এই প্রকল্পের জন্য আগামী বছরব্যাপী একটি খসড়া সময়সীমার কথা উল্লেখ করেন। আগামী ৬০ দিন এ সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপ পুরো পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়সীমা নির্ধারণে কাজ করবে। এর প্রথম পর্বে বিনিয়োগের উপযুক্ত এলাকা এবং দেশগুলোর মধ্যে যেসব পরস্পর যুক্ত করা সম্ভব সেগুলো চিহ্নিত করা হবে।
হোকস্টেইন বলেন, পরিকল্পনাটি আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশ করা হতে পারে, যাতে প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন এবং পরিকাঠামো নিশ্চিত হয়।
জ্যাক সুলিভান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০২২ সালের জুলাইয়ে সৌদি আরবের জেদ্দা সফরের সময়ই এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই সফরেই বাইডেন একটি বৃহৎ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতির ওপর জোর দিয়েছিলেন।
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস থেকে এই ধারণা নিয়ে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়। বসন্তের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান রেল অবকাঠামোর একটি মানচিত্র এবং লিখিত মূল্যায়নের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। সুলিভান এবং হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হোকস্টেইন ও ব্রেট ম্যাকগার্ক ভারত, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সৌদি আরব সফর করেছেন।
শনিবার যে চূড়ান্ত চুক্তির বিস্তারিত ঘোষণা করা হলো সেটি নিয়ে সব পক্ষ সেই তখন থেকেই কাজ করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পক্ষগুলো ইসরায়েল এবং জর্ডানকেও এই প্রকল্পে যুক্ত করেছে। সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাপ দিচ্ছে। তবে এই প্রকল্প সেই চাপের অংশ নয় বলে জানিয়েছেন সুলিভান।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি–২০ সম্মেলনে শনিবারের দুই সেশনেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে অন্যান্য দেশও যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং ঋণের সুদহার বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে সে বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন তিনি।
সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে সারা বিশ্বে অন্যান্য ইস্যু নিয়ে যুদ্ধাবস্থার বিষয়গুলো আলোচনায় সম্মত হয়েছে সব পক্ষ। বিবৃতিতে বলপ্রয়োগের কোনো রাষ্ট্রের সীমানা পরিবর্তন এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলো নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ চার্টারের ভিত্তিতে শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় যে কোনো ধরনের হামলা বন্ধের কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করে রেল ও শিপিং করিডর নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি–২০ সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে এমন ঘোষণা এল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ করিডর নির্মিত হবে বলে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
টরোন্টো স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, ঘোষণায় বাইডেন বলেন, ‘এটি বড় একটি বিষয়। আসলেই বড় বিষয়।’
বিশ্বের সেরা অর্থনীতির ২০টি দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষিত করিডর বাণিজ্য বৃদ্ধি, জ্বালানি শক্তি পৌঁছে দিতে ও ডিজিটাল সংযুক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, এই নেটওয়ার্ক বাইডেনের ‘কার্যকরী মার্কিন নেতৃত্ব’ ও অন্য দেশকে সহযোগী হিসেবে মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা থেকে অনুপ্রাণিত ‘সুদূরপ্রসারী বিনিয়োগের’ লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। অবকাঠামোটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবে ও অঞ্চলটিকে ‘সংঘর্ষ ও সংকটের উৎসের’ পরিবর্তে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন ও বিশ্বের অন্য নেতারা এ ঘোষণার অংশ হয়েছেন।
মোদি বলেছেন, ‘ভারতের জন্য সব দেশের সঙ্গে সংযুক্তি বাড়ানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশ্বাস, সংযুক্তি বিভিন্ন দেশের মধ্যে কেবল পারস্পরিক বাণিজ্যই নয় বরং পারস্পরিক আস্থাও বাড়ায়।’
রেল ও শিপিং করিডর গঠনগতভাবেই বিশ্বের এক বিশাল অংশকে যুক্ত করবে। এর ফলে ডিজিটাল সংযুক্তি ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে হাইড্রোজেনের মতো জ্বালানি বাণিজ্যের উন্নতি হবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি। এরপরও এই করিডর চীনের আন্তরাষ্ট্রীয় অবকাঠামো প্রকল্পের (বিআরআই) গঠনগত ও ভাবাদর্শগত বিকল্প হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পটি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সূচনা করেন ২০১৩ সালে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে উন্নতি সাধনের চেষ্টা করা। এ প্রকল্পে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় ও অর্থায়ন নিয়ে কোনো ইঙ্গিত না পাওয়া গেলেও, ঘোষণার সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই অর্থ শুধু সৌদি আরবের অংশের জন্য প্রযোজ্য কি না সেটিও স্পষ্ট নয়।
ভন ডার লিয়েন প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেছেন, এটি হবে মহাদেশ ও সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি সবুজ এবং ডিজিটাল সেতু। এর মধ্যে থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন এবং ডেটা পরিবহনের অবকাঠামো।
তিনি আরও বলেন, একটি ট্রান্স আফ্রিকান করিডর অ্যাঙ্গোলার লবিতো বন্দরের সঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের স্থলবেষ্টিত এলাকা: কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কানাঙ্গা প্রদেশ এবং জাম্বিয়ার তামার খনি সমৃদ্ধ এলাকাকে সংযুক্ত করবে।
আফ্রিকার প্রকল্পটি সম্পর্কে জো বাইডেন বলেছেন, আঞ্চলিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি হবে যুগান্তকারী। দুই পক্ষের জন্যই এটি একটি বড় অগ্রগতির মাইলফলক।
বাইডেনের বৈশ্বিক অবকাঠামো ও জ্বালানি নিরাপত্তা সমন্বয়ক অ্যামস হোকস্টেইন এই প্রকল্পের জন্য আগামী বছরব্যাপী একটি খসড়া সময়সীমার কথা উল্লেখ করেন। আগামী ৬০ দিন এ সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপ পুরো পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়সীমা নির্ধারণে কাজ করবে। এর প্রথম পর্বে বিনিয়োগের উপযুক্ত এলাকা এবং দেশগুলোর মধ্যে যেসব পরস্পর যুক্ত করা সম্ভব সেগুলো চিহ্নিত করা হবে।
হোকস্টেইন বলেন, পরিকল্পনাটি আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশ করা হতে পারে, যাতে প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন এবং পরিকাঠামো নিশ্চিত হয়।
জ্যাক সুলিভান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০২২ সালের জুলাইয়ে সৌদি আরবের জেদ্দা সফরের সময়ই এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই সফরেই বাইডেন একটি বৃহৎ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতির ওপর জোর দিয়েছিলেন।
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস থেকে এই ধারণা নিয়ে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়। বসন্তের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান রেল অবকাঠামোর একটি মানচিত্র এবং লিখিত মূল্যায়নের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। সুলিভান এবং হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হোকস্টেইন ও ব্রেট ম্যাকগার্ক ভারত, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সৌদি আরব সফর করেছেন।
শনিবার যে চূড়ান্ত চুক্তির বিস্তারিত ঘোষণা করা হলো সেটি নিয়ে সব পক্ষ সেই তখন থেকেই কাজ করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পক্ষগুলো ইসরায়েল এবং জর্ডানকেও এই প্রকল্পে যুক্ত করেছে। সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাপ দিচ্ছে। তবে এই প্রকল্প সেই চাপের অংশ নয় বলে জানিয়েছেন সুলিভান।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি–২০ সম্মেলনে শনিবারের দুই সেশনেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে অন্যান্য দেশও যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং ঋণের সুদহার বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে সে বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন তিনি।
সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে সারা বিশ্বে অন্যান্য ইস্যু নিয়ে যুদ্ধাবস্থার বিষয়গুলো আলোচনায় সম্মত হয়েছে সব পক্ষ। বিবৃতিতে বলপ্রয়োগের কোনো রাষ্ট্রের সীমানা পরিবর্তন এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলো নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ চার্টারের ভিত্তিতে শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় যে কোনো ধরনের হামলা বন্ধের কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
২ ঘণ্টা আগেহেজ ফান্ডের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬২ বছর বয়সী বেসেন্ট, বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে’র প্রতিষ্ঠাতা।
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
৭ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
৮ ঘণ্টা আগে