গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মার্কিন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার টেলর সুইফট। তিনি শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠা এবং এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র নিয়ে বক্তব্য দেন। সেই বক্তৃতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে।
জীবন মাঝে মাঝে বেশ ভারী। বিশেষ করে তুমি যখন একসঙ্গে অনেক কিছু করতে যাও। বেড়ে ওঠার এবং এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র একটাই—কখন ধরতে হবে এবং ছাড়তে হবে তা বোঝা। তুমি কখনোই একসঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তাই ঠিক করে নাও যে জীবনের কী কী তুমি ধরে রাখতে চাও, আর কী কী ছেড়ে দিতে চাও। কারণ, সব সুন্দর স্মৃতি ধরে রেখে বাজে অভিজ্ঞতাগুলো ছেড়ে দিলে জীবন অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে উদ্ভট কাজকর্ম করাও মজার
মাঝেমধ্যে উদ্ভট কাজকর্ম করা কোনো দোষের কিছু নয়। তুমি নিজেকে জীবনে যতই সিরিয়াস প্রমাণের চেষ্টা করো না কেন, দিন শেষে তোমার করা এই অদ্ভুতুড়ে কাজকর্মগুলোই তোমার মুখে হাসি ফোটাবে। আমি কথা দিচ্ছি, তুমি এখন যে কাজটা করছ বা পোশাকটা পরে আছ, কয়েক বছর পর তা মনে পড়লে তোমার নিজেরই হাসি পাবে। যেহেতু তুমি এটা এড়াতে পারবে না, তাই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করারও কোনো দরকার নেই! আমি ২০১২ সালের দিকে ১৯৫০ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করছিলাম। এখন সে কথা মনে পড়লে হাসি পায়, কিন্তু সেই সময় পুরো ব্যাপারটাই আমি উপভোগ করেছিলাম। ফিরে দেখা বেশ মজার একটা কাজ, এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।
স্বপ্ন দেখায় লজ্জা পেয়ো না
মাঝে মাঝে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়াটা খারাপ নয়। বিশেষ করে তুমি যখন বেশ ভালোভাবেই জানো যে আসলে কী চাও, কীভাবে সেটা পেতে হবে এবং ধৈর্য ধরে তার পেছনে লেগে থাকো। আমাদের সংস্কৃতিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকাকে দোষের বলে মনে করা হয়। কিন্তু এটা একেবারেই মিথ্যে কথা। সবাই মনে করে, কোনো কিছু চাওয়াটা ‘আনকুল’, বরং কোনো কিছুর কেয়ার না করাটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবী এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তাই পৃথিবী জয় করার স্বপ্ন দেখায় কোনো ভুল নেই। আমি জানি, আমরা ভবিষ্যতে কী হতে চাই—এই চিন্তা কতটা কঠিন। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, বিষয়টা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপর! আবার দুঃসংবাদ হচ্ছে, এটা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপরেই!
তাই এমন ডোন্ট কেয়ার মনোভাব রেখো না। নিজের প্যাশনের পেছনে কাজ করে যাও। আর কখনোই চেষ্টা করাকে লজ্জার মনে করো না। সবকিছু যে অনায়াসে পাওয়া যায়, এটা একটা মিথ। পৃথিবী এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তাই পৃথিবী জয় করার স্বপ্ন দেখায় কোনো ভুল নেই। আমি জানি, আমরা ভবিষ্যতে কী হতে চাই—এই চিন্তা কতটা কঠিন। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, বিষয়টা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপর! আবার দুঃসংবাদ হচ্ছে, এটা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপরেই!
ভুল করলেও সমস্যা নেই
সবাই মনে করে, ভুল করা মানেই হার মেনে নেওয়া। কিংবা আমার হয়তো একটা সুখী জীবন পাওয়ার কোনো অধিকার নেই। আমাদের মধ্যে কেউই পরিপূর্ণ নয়, এমনকি টেলর সুইফটও পরিপূর্ণ নয়। তাই এটা যতই গতানুগতিক শোনা যাক না কেন, ভুল করা মানে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা ব্যর্থ হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে হচ্ছে, তোমার এখনো নিজের ওপর কাজ করার সুযোগ আছে, ভুলকে ঠিক করার সময় আছে। এটা আমাদের অভিজ্ঞতারই একটা অংশ। আমি আমার ভুল থেকেই জীবনের সেরা শিক্ষাগুলো পেয়েছি। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, এগুলো আমাদের জীবনেরই অংশ ৷
আবার প্রথম থেকে শুরু করো
মাঝপথে কোনো কিছু করতে সমস্যা হলে আবার প্রথম থেকে কাজটা শুরু করো। ভুল করা এবং হেরে যাওয়া কখনোই সোজা নয়। তবে আমাদের উচিত সেসব ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নতুন করে শুরু করা। সবাই চায় আমরা যাতে পারফেকশনিস্ট হই। কিন্তু আমরা জীবনে অনেক ভুল কথা বলি, ভুল কাজ করি, ভুল মানুষদের বিশ্বাস করি, মানুষকে কষ্ট দিই, দুশ্চিন্তা করি, সুন্দর মুহূর্তগুলো নষ্ট করি—এসব কাজ আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নেয়। তবে জীবন আমাদের থেকে যতটা কেড়ে নেয়, তার অনেকটুকু আবার ফিরিয়েও দেয়।
তোমার জীবন তুমিই গড়ে তুলবে
জীবন একই সঙ্গে ভয়ংকর, আবার রোমাঞ্চকরও। তোমার চলার পথ কেমন হবে, তা নির্ভর করবে তুমি সেই পথ কেমন বানাচ্ছ। আমি জানি, তুমি কোন পথে যাবে, তা বাছাই করা খুবই কঠিন। মাঝে মাঝে তুমি এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, যেখানে নিজের জন্য নিজেকেই দাঁড়াতে হবে। এমন সব পরিস্থিতিতে পড়বে, যেখানে দোষ না করেও তোমাকে মাফ চাইতে হবে। আবার এমন সময় আসবে, যখন সবকিছু ফেলে উল্টো দিকে দৌড় দিতে হবে! কখনো আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে হবে। কিন্তু কখন বুঝবে যে কোন সময় কী করতে হবে? সেটা তুমি আগেভাগে বুঝবে না। একই সঙ্গে সুখের ও ভয়ের খবর হচ্ছে, আর কেউ না থাকুক, তুমি তো আছ তোমার নিজের সঙ্গে।
জীবনের ভ্রমণটা বেশ পাগলাটে। আর এটাকে পাগলাটে বলা হয় এ কারণেই যে আমাদের উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিতেই হবে, সেটা আগে হোক বা পরে।
সূত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মার্কিন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার টেলর সুইফট। তিনি শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠা এবং এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র নিয়ে বক্তব্য দেন। সেই বক্তৃতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে।
জীবন মাঝে মাঝে বেশ ভারী। বিশেষ করে তুমি যখন একসঙ্গে অনেক কিছু করতে যাও। বেড়ে ওঠার এবং এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র একটাই—কখন ধরতে হবে এবং ছাড়তে হবে তা বোঝা। তুমি কখনোই একসঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তাই ঠিক করে নাও যে জীবনের কী কী তুমি ধরে রাখতে চাও, আর কী কী ছেড়ে দিতে চাও। কারণ, সব সুন্দর স্মৃতি ধরে রেখে বাজে অভিজ্ঞতাগুলো ছেড়ে দিলে জীবন অনেকটাই হালকা হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে উদ্ভট কাজকর্ম করাও মজার
মাঝেমধ্যে উদ্ভট কাজকর্ম করা কোনো দোষের কিছু নয়। তুমি নিজেকে জীবনে যতই সিরিয়াস প্রমাণের চেষ্টা করো না কেন, দিন শেষে তোমার করা এই অদ্ভুতুড়ে কাজকর্মগুলোই তোমার মুখে হাসি ফোটাবে। আমি কথা দিচ্ছি, তুমি এখন যে কাজটা করছ বা পোশাকটা পরে আছ, কয়েক বছর পর তা মনে পড়লে তোমার নিজেরই হাসি পাবে। যেহেতু তুমি এটা এড়াতে পারবে না, তাই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করারও কোনো দরকার নেই! আমি ২০১২ সালের দিকে ১৯৫০ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করছিলাম। এখন সে কথা মনে পড়লে হাসি পায়, কিন্তু সেই সময় পুরো ব্যাপারটাই আমি উপভোগ করেছিলাম। ফিরে দেখা বেশ মজার একটা কাজ, এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।
স্বপ্ন দেখায় লজ্জা পেয়ো না
মাঝে মাঝে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়াটা খারাপ নয়। বিশেষ করে তুমি যখন বেশ ভালোভাবেই জানো যে আসলে কী চাও, কীভাবে সেটা পেতে হবে এবং ধৈর্য ধরে তার পেছনে লেগে থাকো। আমাদের সংস্কৃতিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকাকে দোষের বলে মনে করা হয়। কিন্তু এটা একেবারেই মিথ্যে কথা। সবাই মনে করে, কোনো কিছু চাওয়াটা ‘আনকুল’, বরং কোনো কিছুর কেয়ার না করাটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবী এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তাই পৃথিবী জয় করার স্বপ্ন দেখায় কোনো ভুল নেই। আমি জানি, আমরা ভবিষ্যতে কী হতে চাই—এই চিন্তা কতটা কঠিন। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, বিষয়টা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপর! আবার দুঃসংবাদ হচ্ছে, এটা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপরেই!
তাই এমন ডোন্ট কেয়ার মনোভাব রেখো না। নিজের প্যাশনের পেছনে কাজ করে যাও। আর কখনোই চেষ্টা করাকে লজ্জার মনে করো না। সবকিছু যে অনায়াসে পাওয়া যায়, এটা একটা মিথ। পৃথিবী এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তাই পৃথিবী জয় করার স্বপ্ন দেখায় কোনো ভুল নেই। আমি জানি, আমরা ভবিষ্যতে কী হতে চাই—এই চিন্তা কতটা কঠিন। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, বিষয়টা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপর! আবার দুঃসংবাদ হচ্ছে, এটা পুরোটাই নির্ভর করছে তোমার ওপরেই!
ভুল করলেও সমস্যা নেই
সবাই মনে করে, ভুল করা মানেই হার মেনে নেওয়া। কিংবা আমার হয়তো একটা সুখী জীবন পাওয়ার কোনো অধিকার নেই। আমাদের মধ্যে কেউই পরিপূর্ণ নয়, এমনকি টেলর সুইফটও পরিপূর্ণ নয়। তাই এটা যতই গতানুগতিক শোনা যাক না কেন, ভুল করা মানে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা ব্যর্থ হয়ে যাওয়া নয়। এর মানে হচ্ছে, তোমার এখনো নিজের ওপর কাজ করার সুযোগ আছে, ভুলকে ঠিক করার সময় আছে। এটা আমাদের অভিজ্ঞতারই একটা অংশ। আমি আমার ভুল থেকেই জীবনের সেরা শিক্ষাগুলো পেয়েছি। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, এগুলো আমাদের জীবনেরই অংশ ৷
আবার প্রথম থেকে শুরু করো
মাঝপথে কোনো কিছু করতে সমস্যা হলে আবার প্রথম থেকে কাজটা শুরু করো। ভুল করা এবং হেরে যাওয়া কখনোই সোজা নয়। তবে আমাদের উচিত সেসব ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নতুন করে শুরু করা। সবাই চায় আমরা যাতে পারফেকশনিস্ট হই। কিন্তু আমরা জীবনে অনেক ভুল কথা বলি, ভুল কাজ করি, ভুল মানুষদের বিশ্বাস করি, মানুষকে কষ্ট দিই, দুশ্চিন্তা করি, সুন্দর মুহূর্তগুলো নষ্ট করি—এসব কাজ আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নেয়। তবে জীবন আমাদের থেকে যতটা কেড়ে নেয়, তার অনেকটুকু আবার ফিরিয়েও দেয়।
তোমার জীবন তুমিই গড়ে তুলবে
জীবন একই সঙ্গে ভয়ংকর, আবার রোমাঞ্চকরও। তোমার চলার পথ কেমন হবে, তা নির্ভর করবে তুমি সেই পথ কেমন বানাচ্ছ। আমি জানি, তুমি কোন পথে যাবে, তা বাছাই করা খুবই কঠিন। মাঝে মাঝে তুমি এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, যেখানে নিজের জন্য নিজেকেই দাঁড়াতে হবে। এমন সব পরিস্থিতিতে পড়বে, যেখানে দোষ না করেও তোমাকে মাফ চাইতে হবে। আবার এমন সময় আসবে, যখন সবকিছু ফেলে উল্টো দিকে দৌড় দিতে হবে! কখনো আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে হবে। কিন্তু কখন বুঝবে যে কোন সময় কী করতে হবে? সেটা তুমি আগেভাগে বুঝবে না। একই সঙ্গে সুখের ও ভয়ের খবর হচ্ছে, আর কেউ না থাকুক, তুমি তো আছ তোমার নিজের সঙ্গে।
জীবনের ভ্রমণটা বেশ পাগলাটে। আর এটাকে পাগলাটে বলা হয় এ কারণেই যে আমাদের উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিতেই হবে, সেটা আগে হোক বা পরে।
সূত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগেমৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি পদে ৫৮০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক (প্রশাসন) এস এম রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ ধরনের শূন্য পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
২ দিন আগে