জীবনধারা ডেস্ক
বারবার বাজার করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই একসঙ্গে অনেককিছু কিনে ফ্রি সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এর ফল কতটুকু ভালো হয় সেটা ভেবে দেখা জরুরি। সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এতে ভালো থাকার পরিবর্তে উল্টো নষ্টও হয়ে যেতে পারে। অথবা কমে যেতে পারে সেগুলোর গুণগত মান। দেখে নিন কোন কোন খাবার ফ্রিজে না রাখলেই বরং দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
মধু
মধু ঠান্ডায় জমে যায়। ফলে ব্যবহারের সুবিধার্থেই হোক বা দীর্ঘদিন ভালো রাখতে মধু ডাইনিং টেবিলে বা শেলফে রাখা ভালো। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় মধুর গুণগত মানও ঠিক থাকে।
আলু
অনেকে রান্নার সুবিধার্থে আলু কেটে ফ্রিজে রাখেন। এতে যে শুধু আলুর রং কালচে হয়, তা নয়। এতে আলুর শ্বেতসার চিনিতে রূপান্তরিত হয়। স্বাদও অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্নাঘরে ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় আলু রাখুন। তাতেই এর পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অটুট থাকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ এমন জায়গায় রাখা উচিত যেখানে আর্দ্রতা থাকবে না। অনেকে পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু এতে কয়েক দিন পরই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শুকনো জায়গায় আস্ত পেঁয়াজ ছড়িয়ে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে ব্যবহার করুন। তবে অনেকেই আলু আর পেঁয়াজ একই জায়গায় রাখেন। এতে পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজ অবশ্যই আলাদা ঝুড়িতে রাখতে হবে।
কেক ও কুকি
কেক ও কুকির মতো বেক করা খাবার ফ্রিজে নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশি ভালো থাকে। তাই এয়ারটাইট বয়ামে এগুলো সংরক্ষণ করা ভালো।
টমেটো
টমেটোর স্বাদ অটুট রাখতে অল্প পরিমাণে টমেটো কিনুন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঝুড়িতে সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে টমেটো রাখলে ঠান্ডায় এর মধ্যকার রাসায়নিক উপাদানগুলো বদলে যায় বলে স্বাদও পাল্টে যেতে থাকে।
কেচাপ ও সস
কেচাপ বা সসের মধ্য়ে প্রিজারভেটিভ ও ভিনেগার থাকে। ফলে এগুলো ফ্রিজে না রাখলেও চলে। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কেচাপ ও সস ভালো রাখা সম্ভব।
বাদাম
বাদাম শুষ্ক ও এয়ারটাইট বয়ামে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতার কারণে বাদামে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
পিনাট বাটার
অনেকে পিনাট বাটার ফ্রিজে রেখে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু এর ঘনত্ব বজায় রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে এর স্বাদও ভালো থাকে। চকলেটের বেলায়ও একই কথা। ফ্রিজে রাখার চেয়ে এগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই ভালো থাকে এবং স্বাদ অটুট থাকে।
আচার
এখন অনেকেই আচার ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু আচারে ভিনেগার, লবণ ও তেল থাকে বলে তা আলাদা করে ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। ছত্রাক এড়াতে নিয়মিত রোদে দেওয়াই যথেষ্ট।
লেবু, আপেল ও বেরি জাতীয় ফল
সব ধরনের ফল ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। লেবুজাতীয় ফল ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এক সপ্তাহের মতো ভালো থাকে। তবে এর চেয়ে বেশি সময় সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। আপেলও ফ্রিজে নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। নইলে এর কচকচে ভাব বজায় থাকলেও স্বাদ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বেরিজাতীয় ফল গাছ থেকে পাড়ার পর খুব বেশি সময় তরতাজা থাকে না। তাই কেনার পর যত দ্রুত সম্ভব খেয়ে ফেলাই ভালো। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতার কারণে সেগুলো আরও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাদটা পাল্টে যায়।
বেগুন
বেগুন কেনার পর যত দ্রুত সম্ভব তা রান্না করে ফেলা ভালো। ফ্রিজে রাখলে এর মাংসল অংশ অনেকটাই রাবারের মতো হয়ে যায় ও কচকচে ভাব নষ্ট হয়। রান্নার পর স্বাদটা খুব একটা ভালো হয় না।
মাখন
মাখন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এয়ারটাইট পাত্রে রাখলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে বেশি পরিমাণে কিনে ফেললে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে ভালো হয় যদি আলাদা পাত্রে দুই সপ্তাহে ব্যবহার করা যাবে এই পরিমাণে মাখন তুলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যায়। বাকি অংশ ফ্রিজেই থাকল। এতে ব্যবহার করাটাও সহজ হবে।
সূত্র: স্টারস ইনসাইডার
বারবার বাজার করার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই একসঙ্গে অনেককিছু কিনে ফ্রি সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এর ফল কতটুকু ভালো হয় সেটা ভেবে দেখা জরুরি। সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এতে ভালো থাকার পরিবর্তে উল্টো নষ্টও হয়ে যেতে পারে। অথবা কমে যেতে পারে সেগুলোর গুণগত মান। দেখে নিন কোন কোন খাবার ফ্রিজে না রাখলেই বরং দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
মধু
মধু ঠান্ডায় জমে যায়। ফলে ব্যবহারের সুবিধার্থেই হোক বা দীর্ঘদিন ভালো রাখতে মধু ডাইনিং টেবিলে বা শেলফে রাখা ভালো। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় মধুর গুণগত মানও ঠিক থাকে।
আলু
অনেকে রান্নার সুবিধার্থে আলু কেটে ফ্রিজে রাখেন। এতে যে শুধু আলুর রং কালচে হয়, তা নয়। এতে আলুর শ্বেতসার চিনিতে রূপান্তরিত হয়। স্বাদও অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্নাঘরে ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় আলু রাখুন। তাতেই এর পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অটুট থাকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ এমন জায়গায় রাখা উচিত যেখানে আর্দ্রতা থাকবে না। অনেকে পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু এতে কয়েক দিন পরই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ভালো রাখতে শুকনো জায়গায় আস্ত পেঁয়াজ ছড়িয়ে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে ব্যবহার করুন। তবে অনেকেই আলু আর পেঁয়াজ একই জায়গায় রাখেন। এতে পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজ অবশ্যই আলাদা ঝুড়িতে রাখতে হবে।
কেক ও কুকি
কেক ও কুকির মতো বেক করা খাবার ফ্রিজে নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশি ভালো থাকে। তাই এয়ারটাইট বয়ামে এগুলো সংরক্ষণ করা ভালো।
টমেটো
টমেটোর স্বাদ অটুট রাখতে অল্প পরিমাণে টমেটো কিনুন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঝুড়িতে সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে টমেটো রাখলে ঠান্ডায় এর মধ্যকার রাসায়নিক উপাদানগুলো বদলে যায় বলে স্বাদও পাল্টে যেতে থাকে।
কেচাপ ও সস
কেচাপ বা সসের মধ্য়ে প্রিজারভেটিভ ও ভিনেগার থাকে। ফলে এগুলো ফ্রিজে না রাখলেও চলে। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কেচাপ ও সস ভালো রাখা সম্ভব।
বাদাম
বাদাম শুষ্ক ও এয়ারটাইট বয়ামে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতার কারণে বাদামে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
পিনাট বাটার
অনেকে পিনাট বাটার ফ্রিজে রেখে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু এর ঘনত্ব বজায় রাখতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে এর স্বাদও ভালো থাকে। চকলেটের বেলায়ও একই কথা। ফ্রিজে রাখার চেয়ে এগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই ভালো থাকে এবং স্বাদ অটুট থাকে।
আচার
এখন অনেকেই আচার ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু আচারে ভিনেগার, লবণ ও তেল থাকে বলে তা আলাদা করে ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। ছত্রাক এড়াতে নিয়মিত রোদে দেওয়াই যথেষ্ট।
লেবু, আপেল ও বেরি জাতীয় ফল
সব ধরনের ফল ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। লেবুজাতীয় ফল ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এক সপ্তাহের মতো ভালো থাকে। তবে এর চেয়ে বেশি সময় সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। আপেলও ফ্রিজে নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। নইলে এর কচকচে ভাব বজায় থাকলেও স্বাদ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বেরিজাতীয় ফল গাছ থেকে পাড়ার পর খুব বেশি সময় তরতাজা থাকে না। তাই কেনার পর যত দ্রুত সম্ভব খেয়ে ফেলাই ভালো। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতার কারণে সেগুলো আরও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাদটা পাল্টে যায়।
বেগুন
বেগুন কেনার পর যত দ্রুত সম্ভব তা রান্না করে ফেলা ভালো। ফ্রিজে রাখলে এর মাংসল অংশ অনেকটাই রাবারের মতো হয়ে যায় ও কচকচে ভাব নষ্ট হয়। রান্নার পর স্বাদটা খুব একটা ভালো হয় না।
মাখন
মাখন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এয়ারটাইট পাত্রে রাখলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে বেশি পরিমাণে কিনে ফেললে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে ভালো হয় যদি আলাদা পাত্রে দুই সপ্তাহে ব্যবহার করা যাবে এই পরিমাণে মাখন তুলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যায়। বাকি অংশ ফ্রিজেই থাকল। এতে ব্যবহার করাটাও সহজ হবে।
সূত্র: স্টারস ইনসাইডার
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে