সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা,
অবিনাশী গান।…’
গত অর্ধশত বছরে স্বাধীনতার অর্থ বহুমাত্রিক ও গভীর হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাত্রাও হয়েছে বৈচিত্র্যময়। সেই উদ্যাপনে অনেক অনুষঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ফ্যাশন। বিশেষ দিন উদযাপনে বিশেষ রঙের বা ধরনের পোশাক পরার ধারা এখন বহমান সব বয়সী মানুষের মধ্য়ে।
পোশাকের রং
যদি প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতা দিবসে কোন রঙের পোশাক পরবেন? নির্দ্বিধায় বলে উঠবেন, লাল ও সবুজের মিলমিশ। লাল-সবুজ যে দেশের পতাকার রং সেখানে স্বাধীনতা দিবসে এমন রঙের পোশাক গায়ে জড়ানো জুতসই বটে। খুব মিলিয়ে পোশাক পরতে যাঁরা অতটা অভ্যস্থ নন, তাঁরাও হয় লাল, নয় শুধু সবুজ পরেই বেরিয়ে পড়েন এই দিনটিতে।
বাংলা দিনপঞ্জির হিসাবে এখন চৈত্র মাস চলছে। আমরা পার করছি দাবদাহে তেতে ওঠা দিন। হাওয়ায় যেন আগুনের ফুলকি। দরদর করে ঘামছে শরীর। ফলে পরেও আরাম পাওয়া যায় এবং চোখেরও প্রশান্তি হয় এমন রংই তো বেছে নেওয়া হবে এ সময়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, এবারের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পোশাকের জমিনে পতাকার সবুজের বাইরেও বিভিন্ন শেডের সবুজ রং কাপড়ে ব্যবহার করা হয়েছে। টি-গ্রিন, লাইট গ্রিন, মিন্ট গ্রিন, লাইম গ্রিন, শিন গ্রিন, ফরেস্ট গ্রিন, ডার্ক গ্রিনসহ আরও অনেক ধরনের সবুজ রং দিয়ে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবি তৈরি করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
সবুজ মূলত প্রকৃতি ও প্রশান্তির রং। এ ছাড়া এ রংটি অর্থ, সৌভাগ্য, সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতার প্রতিনিধিত্ব করে। তা ছাড়া মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছুক্ষণ সবুজ রঙের দিকে তাকিয়ে থাকার পরামর্শ দেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। মোটকথা, এ রংটি মানুষের মনের ওপর এক প্রশান্ত প্রভাব ফেলে।
কথাগুলো যে একেবারেই মনগড়া নয়, তারই প্রতিবিম্ব পাওয়া যায় ফ্যাশন হাউসগুলোর স্বাধীনতা দিবসের কালেকশনে। শাড়ি, থ্রি-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি, শাল, কটি, ওড়না, ব্লাউজ, ব্লাউজ পিস, আনস্টিচড থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, কটি, উত্তরীয় কিংবা শিশুদের পোশাক তৈরিতে চলতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ কাপড়ের ক্যানভাসে মূল রং হিসেবে বেছে নিয়েছে বোতল গ্রিন ও অলিভ গ্রিনকে। সঙ্গে ছিল লাল ও সাদা। সহকারী অন্যান্য় রং হিসেবেও ছিল সবুজের শেড, যেমন সি গ্রিন।
অন্যদিকে স্বাধীনতার ভাবনায় লাল-সবুজের পোশাক ছাড়াও ফ্যাশন হাউস কে-ক্র্যাফটের এবারের বিশেষ সংগ্রহ সেজেছে সবুজের বিভিন্ন শেডে। সময়, আবহাওয়া ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় রেখে সুতি, সিল্ক, লিনেন ও তাঁতের আরামদায়ক শাড়ি, টিউনিক, কুর্তি, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট এবং শিশুদের পোশাকে রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ফরেস্ট গ্রিন, পেইল গ্রিন, চিলি গ্রিন ও ভিভিড গ্রিন। সহকারী রং হিসেবে ছিল লাল।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের আয়োজনে চোখ রাখলেও দেখা যাবে সবুজের আধিক্য়। মূল রং সবুজ রেখে সহকারী হিসেবে লাল রং ব্যবহার করা হয়েছে তাদের পোশাকে। আবার সাদার ওপর ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ। মোটকথা, ঋতু ও আরামের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিস্তর পরিসরে এবার বিভিন্ন রকম সবুজ রং ব্যবহৃত হয়েছে।
চোখের পাতায় সবুজ
মিন্ট গ্রিন আইশ্যাডো গোটা চেহারায় প্রশান্তি এনে দেয়। একটা শীতল অনুভূতি দেয় গরমে। ফলে বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই এই রংটি তরুণীদের চোখের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে গরমের মৌসুমে। রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘গরমে স্নিগ্ধ দেখায় এমন আইশ্যাডো বেছে নিতে হবে। রাতের সাজে একটু স্মোকি চোখের সাজই মেকআপে পরিপূর্ণতা আনবে। চোখের কাজল রেখা ঘেঁষে ঘন করে আইলাইনার লাগান। নিচের পাতার ভেতরের অংশে ঘন কাজল দিয়ে নিচে মিন্ট গ্রিন শ্যাডো টানুন। পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা দিন। এ ছাড়া সবুজ আইপেনসিল দিয়ে অনেকে চোখের নিচে রেখা টেনে নিন। এতে দেখতেও ভালো লাগে আর অনেক তরতাজা মনে হয়।’
সবুজ নিয়ে মজার তথ্য
‘স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা,
অবিনাশী গান।…’
গত অর্ধশত বছরে স্বাধীনতার অর্থ বহুমাত্রিক ও গভীর হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাত্রাও হয়েছে বৈচিত্র্যময়। সেই উদ্যাপনে অনেক অনুষঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ফ্যাশন। বিশেষ দিন উদযাপনে বিশেষ রঙের বা ধরনের পোশাক পরার ধারা এখন বহমান সব বয়সী মানুষের মধ্য়ে।
পোশাকের রং
যদি প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতা দিবসে কোন রঙের পোশাক পরবেন? নির্দ্বিধায় বলে উঠবেন, লাল ও সবুজের মিলমিশ। লাল-সবুজ যে দেশের পতাকার রং সেখানে স্বাধীনতা দিবসে এমন রঙের পোশাক গায়ে জড়ানো জুতসই বটে। খুব মিলিয়ে পোশাক পরতে যাঁরা অতটা অভ্যস্থ নন, তাঁরাও হয় লাল, নয় শুধু সবুজ পরেই বেরিয়ে পড়েন এই দিনটিতে।
বাংলা দিনপঞ্জির হিসাবে এখন চৈত্র মাস চলছে। আমরা পার করছি দাবদাহে তেতে ওঠা দিন। হাওয়ায় যেন আগুনের ফুলকি। দরদর করে ঘামছে শরীর। ফলে পরেও আরাম পাওয়া যায় এবং চোখেরও প্রশান্তি হয় এমন রংই তো বেছে নেওয়া হবে এ সময়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, এবারের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পোশাকের জমিনে পতাকার সবুজের বাইরেও বিভিন্ন শেডের সবুজ রং কাপড়ে ব্যবহার করা হয়েছে। টি-গ্রিন, লাইট গ্রিন, মিন্ট গ্রিন, লাইম গ্রিন, শিন গ্রিন, ফরেস্ট গ্রিন, ডার্ক গ্রিনসহ আরও অনেক ধরনের সবুজ রং দিয়ে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবি তৈরি করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
সবুজ মূলত প্রকৃতি ও প্রশান্তির রং। এ ছাড়া এ রংটি অর্থ, সৌভাগ্য, সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতার প্রতিনিধিত্ব করে। তা ছাড়া মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছুক্ষণ সবুজ রঙের দিকে তাকিয়ে থাকার পরামর্শ দেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। মোটকথা, এ রংটি মানুষের মনের ওপর এক প্রশান্ত প্রভাব ফেলে।
কথাগুলো যে একেবারেই মনগড়া নয়, তারই প্রতিবিম্ব পাওয়া যায় ফ্যাশন হাউসগুলোর স্বাধীনতা দিবসের কালেকশনে। শাড়ি, থ্রি-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি, শাল, কটি, ওড়না, ব্লাউজ, ব্লাউজ পিস, আনস্টিচড থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, কটি, উত্তরীয় কিংবা শিশুদের পোশাক তৈরিতে চলতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ কাপড়ের ক্যানভাসে মূল রং হিসেবে বেছে নিয়েছে বোতল গ্রিন ও অলিভ গ্রিনকে। সঙ্গে ছিল লাল ও সাদা। সহকারী অন্যান্য় রং হিসেবেও ছিল সবুজের শেড, যেমন সি গ্রিন।
অন্যদিকে স্বাধীনতার ভাবনায় লাল-সবুজের পোশাক ছাড়াও ফ্যাশন হাউস কে-ক্র্যাফটের এবারের বিশেষ সংগ্রহ সেজেছে সবুজের বিভিন্ন শেডে। সময়, আবহাওয়া ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় রেখে সুতি, সিল্ক, লিনেন ও তাঁতের আরামদায়ক শাড়ি, টিউনিক, কুর্তি, টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট এবং শিশুদের পোশাকে রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ফরেস্ট গ্রিন, পেইল গ্রিন, চিলি গ্রিন ও ভিভিড গ্রিন। সহকারী রং হিসেবে ছিল লাল।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের আয়োজনে চোখ রাখলেও দেখা যাবে সবুজের আধিক্য়। মূল রং সবুজ রেখে সহকারী হিসেবে লাল রং ব্যবহার করা হয়েছে তাদের পোশাকে। আবার সাদার ওপর ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ। মোটকথা, ঋতু ও আরামের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিস্তর পরিসরে এবার বিভিন্ন রকম সবুজ রং ব্যবহৃত হয়েছে।
চোখের পাতায় সবুজ
মিন্ট গ্রিন আইশ্যাডো গোটা চেহারায় প্রশান্তি এনে দেয়। একটা শীতল অনুভূতি দেয় গরমে। ফলে বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই এই রংটি তরুণীদের চোখের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে গরমের মৌসুমে। রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘গরমে স্নিগ্ধ দেখায় এমন আইশ্যাডো বেছে নিতে হবে। রাতের সাজে একটু স্মোকি চোখের সাজই মেকআপে পরিপূর্ণতা আনবে। চোখের কাজল রেখা ঘেঁষে ঘন করে আইলাইনার লাগান। নিচের পাতার ভেতরের অংশে ঘন কাজল দিয়ে নিচে মিন্ট গ্রিন শ্যাডো টানুন। পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা দিন। এ ছাড়া সবুজ আইপেনসিল দিয়ে অনেকে চোখের নিচে রেখা টেনে নিন। এতে দেখতেও ভালো লাগে আর অনেক তরতাজা মনে হয়।’
সবুজ নিয়ে মজার তথ্য
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে