নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: চলমান টিকাদান কার্যক্রম চলতি সপ্তাহেই গুটিয়ে যাচ্ছে। ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের সংস্থান এখনো অনিশ্চিত। চুক্তি অনুযায়ী শিগগিরই টিকা সরবরাহের কোনো আশ্বাসও দিচ্ছে না ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ডের কোভিড টিকার বিকল্প উৎসের খোঁজে অন্তত সাতটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কারও কাছ থেকেই আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
তবে আশা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদন দিলেই বাইডেন প্রশাসন তাদের অব্যবহৃত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশকে দেবে।
গতকাল শুক্রবার (২১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দেশটির কাছ থেকে ৬০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছিল সরকার।
সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো, যারা প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন, তাদের বড় একটি অংশের দ্বিতীয় ডোজের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে টিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম, তাঁরা দিতে রাজি হয়েছেন। তবে পাব কি–না তা নির্ভর করছে এফডিএর ওপর। তারা রপ্তানি করবে কি–না এখনো নিশ্চিত নয়।
সেই সঙ্গে মন্ত্রী এ–ও উল্লেখ করেন যে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং প্রাণহানি কম হওয়ায় টিকা সরবরাহের অগ্রাধিকার তালিকায় বাংলাদেশকে রাখেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাঁরা আট কোটি ডোজ অতিরিক্ত (অব্যবহৃত) টিকা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। এই খবরেই আশা দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের কাছেও টিকা পেতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। ১৬ ডোজ লাখ টিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে ব্রিটিশ সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে হাল ছাড়তে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের এপ্রিলের শেষ নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মে মাসেই ছয় কোটি ডোজ টিকা বিভিন্ন দেশকে দেবেন তাঁরা। দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন না দিলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারও প্রচুর মজুত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফাইজার ও মডার্নার টিকার কোনো সংকট না থাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আর প্রয়োজন মনে করছে না বাইডেন প্রশাসন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪০ লাখের কিছু বেশি। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি। হাতে আছে মাত্র চার লাখ ডোজ।
ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার শর্তে গত বছরের নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। পুরো অর্থও অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দু্ই দফায় মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েছে তারা। অক্টোবরের আগে টিকা দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সেরাম। টিকা সংকটে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যাবে দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগও। অবশ্য টিকাদান কার্যক্রম আরও আগেই থেমে যেত যদি ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখ ডোজ না পাওয়া যেত।
এদিকে, টিকাদান কর্মসূচি চলমান রাখতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করেছে সরকার। এই দুই দেশ থেকে এক কোটি ডোজ করে টিকা কিনতে সম্মত হয়েছে সরকার। এরই মধ্যে চীন উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ দিয়েছে। আরও ছয় লাখ ডোজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে টিকা প্রাপ্তির গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা কমবেশি এলেও চাহিদা অনুযায়ী এখনো সরবরাহ পাওয়ার নিশ্চয়তা মেলেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা অনেক আশা নিয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু নানাবিধ কারণে এখন তা বন্ধ হওয়ার পথে। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আসার খবর পেলেও চাহিদার তুলনায় তা কিছুই নয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র টিকা দিতে রাজি হয়েছে এমন কোনো খবর সরকারের ওপর মহল থেকে এখনো আমরা পাইনি। তবে নতুন করে যতক্ষণ না কারও সঙ্গে পুরোপুরি চুক্তি হচ্ছে টিকার সংকট কাটিয়ে ওঠা অনেকটা অসম্ভব।
ঢাকা: চলমান টিকাদান কার্যক্রম চলতি সপ্তাহেই গুটিয়ে যাচ্ছে। ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের সংস্থান এখনো অনিশ্চিত। চুক্তি অনুযায়ী শিগগিরই টিকা সরবরাহের কোনো আশ্বাসও দিচ্ছে না ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ডের কোভিড টিকার বিকল্প উৎসের খোঁজে অন্তত সাতটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কারও কাছ থেকেই আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
তবে আশা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদন দিলেই বাইডেন প্রশাসন তাদের অব্যবহৃত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশকে দেবে।
গতকাল শুক্রবার (২১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দেশটির কাছ থেকে ৬০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছিল সরকার।
সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো, যারা প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন, তাদের বড় একটি অংশের দ্বিতীয় ডোজের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে টিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম, তাঁরা দিতে রাজি হয়েছেন। তবে পাব কি–না তা নির্ভর করছে এফডিএর ওপর। তারা রপ্তানি করবে কি–না এখনো নিশ্চিত নয়।
সেই সঙ্গে মন্ত্রী এ–ও উল্লেখ করেন যে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং প্রাণহানি কম হওয়ায় টিকা সরবরাহের অগ্রাধিকার তালিকায় বাংলাদেশকে রাখেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাঁরা আট কোটি ডোজ অতিরিক্ত (অব্যবহৃত) টিকা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। এই খবরেই আশা দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের কাছেও টিকা পেতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। ১৬ ডোজ লাখ টিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে ব্রিটিশ সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে হাল ছাড়তে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের এপ্রিলের শেষ নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মে মাসেই ছয় কোটি ডোজ টিকা বিভিন্ন দেশকে দেবেন তাঁরা। দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন না দিলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারও প্রচুর মজুত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফাইজার ও মডার্নার টিকার কোনো সংকট না থাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আর প্রয়োজন মনে করছে না বাইডেন প্রশাসন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪০ লাখের কিছু বেশি। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি। হাতে আছে মাত্র চার লাখ ডোজ।
ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার শর্তে গত বছরের নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। পুরো অর্থও অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দু্ই দফায় মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েছে তারা। অক্টোবরের আগে টিকা দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সেরাম। টিকা সংকটে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যাবে দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগও। অবশ্য টিকাদান কার্যক্রম আরও আগেই থেমে যেত যদি ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখ ডোজ না পাওয়া যেত।
এদিকে, টিকাদান কর্মসূচি চলমান রাখতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করেছে সরকার। এই দুই দেশ থেকে এক কোটি ডোজ করে টিকা কিনতে সম্মত হয়েছে সরকার। এরই মধ্যে চীন উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ দিয়েছে। আরও ছয় লাখ ডোজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে টিকা প্রাপ্তির গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা কমবেশি এলেও চাহিদা অনুযায়ী এখনো সরবরাহ পাওয়ার নিশ্চয়তা মেলেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা অনেক আশা নিয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু নানাবিধ কারণে এখন তা বন্ধ হওয়ার পথে। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আসার খবর পেলেও চাহিদার তুলনায় তা কিছুই নয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র টিকা দিতে রাজি হয়েছে এমন কোনো খবর সরকারের ওপর মহল থেকে এখনো আমরা পাইনি। তবে নতুন করে যতক্ষণ না কারও সঙ্গে পুরোপুরি চুক্তি হচ্ছে টিকার সংকট কাটিয়ে ওঠা অনেকটা অসম্ভব।
ফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
১ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্বেগ। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শিক্ষা, আন্দোলনের সুফল এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য।
২ ঘণ্টা আগে