নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’
দীর্ঘদিন বিশ্বে টিকে থাকা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার ওপর মানুষের নির্ভরতা অনেক দিনের। এই নির্ভরতা ঠিক কোন মাত্রায়, তা এই করোনা মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু করোনার যে টিকাগুলো এসেছে, সেগুলোর কোনোটিরই কার্যকারিতা বেশি দিনের নয়। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্য রোগের টিকার তুলনায় তা একেবারেই কম।
হামের টিকার কথাই ধরা যাক। এই টিকা জীবনে একবার নিলেই চলে। একই কথা পোলিওর টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জলবসন্তের টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ এত দীর্ঘ না হলেও তা গ্রহীতার শরীরে ১০-২০ বছর কার্যকর থাকে অনায়াসে। টিটেনাসের ক্ষেত্রেও টিকার কার্যকারিতা এক দশকের কম নয়। কিন্তু করোনার টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সেই তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এখন পর্যন্ত তৈরি কোভিড-১৯ টিকাগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ছয় মাস পর বুস্টার নেওয়ার কথা উঠছে।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে এমনটা কেন? এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক রুস্তম আন্তিয়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘একটি ভালো টিকা মূলত এমন এক সুরক্ষা তৈরি করে, যাতে ওই ভাইরাসের সংস্পর্শে কেউ গেলেও আর আক্রান্ত না হয়। কিন্তু সব টিকাই আদর্শ নয়।’ অধ্যাপক রুস্তমের এই শেষ কথাটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকার কাজ কী, তা এই করোনা মহামারির কল্যাণে বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু করোনার টিকাগুলো আদর্শ কি না, তা সম্ভবত সবচেয়ে কম লোক জানে।
অধ্যাপক রুস্তমের ভাষ্যমতে, টিকা তিন স্তরের নিরাপত্তার কাজ করে। প্রথমত, এটি সংক্রমণ ও অণুজীবটি ছড়িয়ে পড়া থেকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে; দ্বিতীয়ত, গুরুতর অসুস্থতা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ; তৃতীয়ত, শুধু গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখা। এটি কোন স্তরের সুরক্ষা দেবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট টিকাটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কতটা উদ্দীপ্ত করতে পারছে; টিকা গ্রহণের উৎপন্ন অ্যান্টিবডি কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; রোগের কারণ যে অণুজীব (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া), তার রূপান্তর হচ্ছে কি না, হলে কতটা এবং কোথায় সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। সুরক্ষার এই স্তর কেমন হবে, তা একেক অণুজীবের ক্ষেত্রে একেক রকম। এটি নির্ণয়ের পদ্ধতিও অণুজীবভেদে আলাদা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নাইট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একেক টিকা একেক রকম হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতিবছর দিতে হয়। যত দিন বেঁচে থাকবেন, এই টিকা নিতে হবে। কারণ, এ ভাইরাসের প্রতিবছর পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নতুন টিকা বের হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী টিকাগুলো তৈরি করা হয়। জলাতঙ্কের টিকা নিতে হয় মূলত বনে যাঁরা কাজ করেন। তাঁদের কিছুদিন পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। হামের টিকা আগে জীবনে একবার দিতে হলেও ইদানীং একটা বয়সে গিয়ে এই টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। এখন হামেরও বুস্টার দিতে হয় কয়েক বছর পরপর। বাচ্চাদের টিকাগুলোর বেশির ভাগই একাধিক ডোজ। তবে কোনোটির বুস্টার লাগে না।
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা যত দিন আছে, তত দিন যে টিকা নিতে হবে এমনটা নয়। সুখবর হলো, এখন পর্যন্ত যে লক্ষণ পাওয়া গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কোনো বুস্টার ডোজ নেওয়া লাগবে না। এটি আজীবন সুরক্ষা দিয়ে যাবে। তবে এমন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হলো, এই টিকায় যে অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তার থেকে একদম আলাদা, সে ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, এই টিকার কার্যকারিতা সারা জীবন থাকবে। অনুরূপভাবে সিনোফার্মকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। কারণ, এই টিকা একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা আগে হয়নি। আগে টিকাগুলো জীবাণুকে মেরে শরীরে প্রবেশ করত। এতে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে নানা ধরনের যে প্রতিরোধক্ষমতা হতো, তা সারা জীবন থেকে যেত। কিন্তু মেসেঞ্জের এমআরএনএ টিকা কিছুটা ভিন্ন। এটি জীবাণু টানে না। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক স্লিফকার বলছেন, ‘এটি মূলত নির্ভর করে অ্যান্টিবডির মাত্রা বা আরও ভালো করে বললে প্রতি মিলিলিটার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির মাত্রার ওপর।’ তাঁর ভাষ্যমতে, হাম, ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের টিকার ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। আমরা সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম সীমাটি নির্ধারণ করেছি। একই সঙ্গে অ্যান্টিবডি হ্রাস পাওয়ার হারটিও নির্ধারণ করেছি। ফলে আমরা অনায়াসে এই সুরক্ষার সময়সীমাটি নির্ধারণ করতে পারছি। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এটি এখনো জানি না।’
কোভিড টিকার ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকায় ভাইরাসের অনুলিপি ব্যবহার করা হয়নি। নেই কোনো সহায়ক উপাদানও। ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে, যার কাজের ধারাই অন্য রকম। এতে কোনো ভাইরাসই নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নেওয়া বা রূপান্তরের বিষয়টি। এ ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করাটা ভীষণ কঠিন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল লিখেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অন্তত আটবার রূপান্তরিত হয়েছে।
ড. স্লিফকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ‘এ কারণে এই টিকার পক্ষে কার্যকারিতা ধরে রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আপনি প্রতি মুহূর্তে নিজের লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লুর ক্ষেত্রেই যেমন, আমাদের প্রতিবছর নতুন টিকা নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই টিকা ছয় মাসের একটা সুরক্ষা দেয়।’
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনের মতে, ‘প্রতিটি ভাইরাসের ধরন ভিন্ন। অন্য ভাইরাসের সঙ্গে করোনা মেলানো যাবে না। প্রতিটি রোগের সঙ্গে তার ফর্মুলাও আলাদা। এটি অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।’
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে বিভক্তি, কার্যকর নেতৃত্বের অভাব ও রাখাইনে নিবর্তনমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না ওঠা তাঁদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমনটাই মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।
২ ঘণ্টা আগেসরকারি পর্যায়ে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বরাদ্দ করা বাজেটের খুব কমই পায় দরিদ্ররা। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মানুষ যে নগদ অর্থ পায়, তার পরিমাণ খুবই সামান্য। দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বাজেটের অর্ধেক বা তারও বেশি সুব
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মতামত জানতে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে একটি জনমত জরিপ পরিচালিত হয়েছে। টেলিফোনে এই জরিপে অংশ নিয়েছেন দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগেগত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় মামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের গ্রেপ্তারে আলাদা টিমও গঠন করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগে