কোভিড মুক্ত হওয়ার পর হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে: পিএমআরের গবেষণা  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ২০
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৩০

কোভিড মুক্ত হওয়ার পরে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কোভিড আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন জটিলতা অন্যান্য স্বাভাবিক গর্ভবতীদের থেকে বেশি হয়। আক্রান্ত গর্ভবতীর সদ্যোজাত সন্তানও জন্মগতভাবেই হৃদ্‌রোগ ও ওজনস্বল্পতার মতো সমস্যা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। প্ল্যানিং মনিটর রিসার্চ (পিএমআর) অপারেশনের আওতায় পরিচালিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে ‘গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের প্রধান হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ১৪২টি গবেষণা করা হয়। এদিন সেসব গবেষণার ফলাফল সংক্ষিপ্ত আকারে অবহিত করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে।

গবেষণায় পাওয়া ফলাফল থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনায় সব থেকে বেশি মারা গেছে এবং মারা যাওয়ার তালিকায় আশঙ্কাজনক হারে দেখা গেছে সব বয়সী ধূমপায়ীদের। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা আইসিইউ, ভেন্টিলেশনে ছিলেন এবং আক্রান্তকালীন অবস্থায় যাঁদের বেশি পরিমাণে অক্সিজেন নিতে হয়েছে তাঁদের কোভিড পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে টিকার বুস্টার ডোজের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকার বুস্টার ডোজ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলতে হয়েছে। তাঁকে বিস্তারিত বোঝাতে হয়েছে কেন আমাদের দেশে বুস্টার ডোজ দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী দেশের সবার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা সম্পন্ন করে তারপর বুস্টার ডোজ দিতে হবে। আমাকে প্রধানমন্ত্রীও তাই বলেছিলেন। তখন আমি তাকে বোঝাই, যাদের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার আগে যদি আমরা অন্যদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করতে যাই। তাহলে হয়তো এই সময়ের ভেতরে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া ব্যক্তিরা আবার আক্রান্ত হতে পারে। এটা কীভাবে করতে পেরেছি? এই ধরনের ফাইন্ডিংস থেকে। তাই গবেষণার প্রতি জোর দেওয়া জরুরি, গবেষণায় জোর দিলে আমরা অগ্রিম অনেক কিছুই জানতে পারব এবং এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। 

পিএমআর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ১৪২টি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কনসাল্ট (বিএমআরসি), বিভিন্ন বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং আইইডিসিআর ও নিপসমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত