নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) কিছু অপপ্রয়োগ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরে আমি দেখেছি, এর কিছু-কিছু অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সবাই তো স্বীকার করে না!’
এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ বিষয়ে ঢাকায় এক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আইনটির অপপ্রয়োগ অনেক কমেছে, এমন দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অপপ্রয়োগ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে বাড়াবাড়ি না করে সেটাও দেখা হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ডিএসএ বাক্স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য হয়নি। এটি জনস্বার্থেই করা হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন, এই আইন সাংবাদিকদের টার্গেট করে করা হয়েছে, তা ঠিক নয়।’
আইনটির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে এখন ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। পেনাল কোডের ধারায় যে চুরির কথা বলা আছে, তাতে চোরের শারীরিক উপস্থিতির ব্যাপার ছিল। যে মুহূর্তে ডিজিটালি চুরি হওয়া শুরু করল, তখন এটাকে কি পেনাল কোডের ধারায় শাস্তিযোগ্য করা যাবে? পারবেন না। পেনাল কোডের অনেক ধারাতেই ডিজিটাল মাধ্যমে অবমাননার কথা নেই। যার জন্য এসব বিষয়কে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, এই আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের আগেই গ্রেপ্তার করা হবে না। পাশাপাশি যে কেউ মামলা করুক না কেন, সেটাকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে না—এ বিষয়ে দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন।
একই সঙ্গে যে অভিযোগগুলো আসছে, তা ডিএসএর ধারায় পড়ে কি না, নাকি হয়রানি করা হচ্ছে, তা দেখার জন্য আইসিটি অ্যাক্টের একটি সেল আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেলটিকে কার্যকর করে এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে পরীক্ষা করে যখন আদালতে কিংবা থানায় পাঠানো হবে, তখনই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনকে বলে দেওয়া হয়েছে যেন প্রথমেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া না হয়, সমন জারি করা হয়। যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে এসে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনের আওতাধীন অপরাধ অজামিনযোগ্য মানে এই না যে, আসামি কোনো দিন জামিন পাবেন না। অজামিনযোগ্য অর্থ আসামিকে পুলিশ থানা থেকে ছাড়তে পারবেন না। বিজ্ঞ আদালত বিবেচনা করবেন তাঁকে জামিন দেবেন কি দেবেন না।’
উপাত্ত সুরক্ষা আইন কারও উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হবে না নিশ্চয়তা দিয়ে মন্ত্রী বলে, ‘এটা করা হবে শুধুই উপাত্ত সুরক্ষার জন্য।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে এডিটরস গিল্ডের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘দুই বছর আগে ডিএসএতে আটক সাংবাদিক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়। এরপর পত্রিকায় কার্টুন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় উঠে গেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘নাটকে অনেক সময় মুচির চরিত্র, পুলিশের চরিত্র ইত্যাদি দেখানো হয়। যদি পুলিশের চরিত্র একটু নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়, তাহলে মামলা দিয়ে দিচ্ছে।’
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম–সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘আইনের একটা উদ্দেশ্য হওয়ার কথা জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে যে আইন জনগণের স্বাধীনতা বন্ধ করতে চায়, সেই আইন আর জনগণকে সুরক্ষা দিতে পারে না।’
আর্টিকেল-১৯–এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘ডিএসএ অনুযায়ী সাংবাদিকদের আটকের জন্য সরকারের অনুমতি লাগে না। জামিন অযোগ্য অনেক ধারা আছে। ডেটা অ্যাক্টসহ তিনটি আইন করার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর আওতায় মানুষের সব তথ্য সরকার পাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখেই এসব করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
তবে ডিএসএকে সময়োপযোগী আইন অভিহিত করে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এ আইনের ধারা অনুযায়ী সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ১৩ হাজার জনের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে।’
একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় এ আলোচনায় আরও অংশ নেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সায়মন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) কিছু অপপ্রয়োগ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরে আমি দেখেছি, এর কিছু-কিছু অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সবাই তো স্বীকার করে না!’
এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ বিষয়ে ঢাকায় এক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আইনটির অপপ্রয়োগ অনেক কমেছে, এমন দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অপপ্রয়োগ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে বাড়াবাড়ি না করে সেটাও দেখা হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ডিএসএ বাক্স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য হয়নি। এটি জনস্বার্থেই করা হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন, এই আইন সাংবাদিকদের টার্গেট করে করা হয়েছে, তা ঠিক নয়।’
আইনটির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে এখন ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। পেনাল কোডের ধারায় যে চুরির কথা বলা আছে, তাতে চোরের শারীরিক উপস্থিতির ব্যাপার ছিল। যে মুহূর্তে ডিজিটালি চুরি হওয়া শুরু করল, তখন এটাকে কি পেনাল কোডের ধারায় শাস্তিযোগ্য করা যাবে? পারবেন না। পেনাল কোডের অনেক ধারাতেই ডিজিটাল মাধ্যমে অবমাননার কথা নেই। যার জন্য এসব বিষয়কে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, এই আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের আগেই গ্রেপ্তার করা হবে না। পাশাপাশি যে কেউ মামলা করুক না কেন, সেটাকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে না—এ বিষয়ে দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন।
একই সঙ্গে যে অভিযোগগুলো আসছে, তা ডিএসএর ধারায় পড়ে কি না, নাকি হয়রানি করা হচ্ছে, তা দেখার জন্য আইসিটি অ্যাক্টের একটি সেল আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেলটিকে কার্যকর করে এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে পরীক্ষা করে যখন আদালতে কিংবা থানায় পাঠানো হবে, তখনই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনকে বলে দেওয়া হয়েছে যেন প্রথমেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া না হয়, সমন জারি করা হয়। যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে এসে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনের আওতাধীন অপরাধ অজামিনযোগ্য মানে এই না যে, আসামি কোনো দিন জামিন পাবেন না। অজামিনযোগ্য অর্থ আসামিকে পুলিশ থানা থেকে ছাড়তে পারবেন না। বিজ্ঞ আদালত বিবেচনা করবেন তাঁকে জামিন দেবেন কি দেবেন না।’
উপাত্ত সুরক্ষা আইন কারও উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হবে না নিশ্চয়তা দিয়ে মন্ত্রী বলে, ‘এটা করা হবে শুধুই উপাত্ত সুরক্ষার জন্য।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে এডিটরস গিল্ডের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘দুই বছর আগে ডিএসএতে আটক সাংবাদিক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়। এরপর পত্রিকায় কার্টুন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় উঠে গেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘নাটকে অনেক সময় মুচির চরিত্র, পুলিশের চরিত্র ইত্যাদি দেখানো হয়। যদি পুলিশের চরিত্র একটু নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়, তাহলে মামলা দিয়ে দিচ্ছে।’
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম–সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘আইনের একটা উদ্দেশ্য হওয়ার কথা জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে যে আইন জনগণের স্বাধীনতা বন্ধ করতে চায়, সেই আইন আর জনগণকে সুরক্ষা দিতে পারে না।’
আর্টিকেল-১৯–এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘ডিএসএ অনুযায়ী সাংবাদিকদের আটকের জন্য সরকারের অনুমতি লাগে না। জামিন অযোগ্য অনেক ধারা আছে। ডেটা অ্যাক্টসহ তিনটি আইন করার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর আওতায় মানুষের সব তথ্য সরকার পাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখেই এসব করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
তবে ডিএসএকে সময়োপযোগী আইন অভিহিত করে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এ আইনের ধারা অনুযায়ী সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ১৩ হাজার জনের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে।’
একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় এ আলোচনায় আরও অংশ নেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সায়মন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
১ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৩ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে