নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলোচিত রেইন ট্রি ধর্ষণ মামলার বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে কর্মস্থলে প্রত্যাহারে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির দুই সংসদ সদস্য। তাঁরা বলছেন, গুজবে ওনাকে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। একজন মন্ত্রী বিচার বিভাগ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন–এই দৃশ্য অসুন্দর, অশোভন।
আজ বৃহস্পতিবার ট্যুর অপারেটর বিল ২০২১ নিয়ে আলোচনার সময় এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, বিচারকের যে রায় নিয়ে সমালোচনা। সে রায়ের কোথাও বলা নাই যে, তিন দিন পরে মামলা নেওয়া যাবে না। রায়টা সম্পূর্ণ আমি একজনকে দিয়ে পড়িয়েছি। সম্পূর্ণ, চিল কান নিয়ে গেছে এই গুজবে ওনাকে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় বিচারক যে অবজারভেশন দিয়েছিলেন তার প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী যে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন, তিনি যে মিডিয়ায় এটার ব্যাপারে ব্যবস্থার কথা বলেছেন, সেই বিচারককে বিচার কাজ থেকে সাময়িকভাবে নিবৃত্ত করে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে, এসব একজন আইন প্রণেতা তো বটেই একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও আমাকে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ করেছে।
রুমিন বলেন, নিম্ন আদালতকে পুরো নিজের কবজায় রাখা সরকারের একজন মন্ত্রী বিচার বিভাগ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন–এই দৃশ্য অসুন্দর, অশোভন। একটা সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা হতে পারে না। দেশের নিম্ন আদালতের একজন বিচারকের রায় বা পর্যবেক্ষণে কোনো ভুল হলে সেটার তদারকি করার জন্য তো উচ্চ আদালতই আছে, তারাই করবেন সেটা। কিছুদিন আগেই তো পরিমনিকে অন্যায়ভাবে একাধিকবার রিমান্ড দেওয়ার কারণে নিম্ন আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে তো উচ্চ আদালত নিজেই ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিএনপির এমপি বলেন, আমরা তো কাগজে-কলমে অন্তত স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ বলে-'রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন' ৷ তাই আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৫ এবং ১১৬ কিন্তু ২২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
গত ১১ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আদালত পর্যবেক্ষণে (মতামত) বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। পুলিশ যেন ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়।
এটাকে সম্পূর্ণ বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং বিচারকদের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচারকের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, একই সঙ্গে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হয় পরদিন। এরপর বিচারককে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
আলোচিত এই মামলার লিখিত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ‘ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা করা যাবে না’ বলে বিচারকের যে মতামত নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে লিখিত রায়ে তা নেই। ৪৯ পৃষ্ঠার লিখিত রায়ে এমন কোনো পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেননি বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার।
আলোচিত রেইন ট্রি ধর্ষণ মামলার বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে কর্মস্থলে প্রত্যাহারে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির দুই সংসদ সদস্য। তাঁরা বলছেন, গুজবে ওনাকে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। একজন মন্ত্রী বিচার বিভাগ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন–এই দৃশ্য অসুন্দর, অশোভন।
আজ বৃহস্পতিবার ট্যুর অপারেটর বিল ২০২১ নিয়ে আলোচনার সময় এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, বিচারকের যে রায় নিয়ে সমালোচনা। সে রায়ের কোথাও বলা নাই যে, তিন দিন পরে মামলা নেওয়া যাবে না। রায়টা সম্পূর্ণ আমি একজনকে দিয়ে পড়িয়েছি। সম্পূর্ণ, চিল কান নিয়ে গেছে এই গুজবে ওনাকে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় বিচারক যে অবজারভেশন দিয়েছিলেন তার প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী যে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন, তিনি যে মিডিয়ায় এটার ব্যাপারে ব্যবস্থার কথা বলেছেন, সেই বিচারককে বিচার কাজ থেকে সাময়িকভাবে নিবৃত্ত করে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে, এসব একজন আইন প্রণেতা তো বটেই একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও আমাকে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ করেছে।
রুমিন বলেন, নিম্ন আদালতকে পুরো নিজের কবজায় রাখা সরকারের একজন মন্ত্রী বিচার বিভাগ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন–এই দৃশ্য অসুন্দর, অশোভন। একটা সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা হতে পারে না। দেশের নিম্ন আদালতের একজন বিচারকের রায় বা পর্যবেক্ষণে কোনো ভুল হলে সেটার তদারকি করার জন্য তো উচ্চ আদালতই আছে, তারাই করবেন সেটা। কিছুদিন আগেই তো পরিমনিকে অন্যায়ভাবে একাধিকবার রিমান্ড দেওয়ার কারণে নিম্ন আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে তো উচ্চ আদালত নিজেই ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিএনপির এমপি বলেন, আমরা তো কাগজে-কলমে অন্তত স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ বলে-'রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন' ৷ তাই আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৫ এবং ১১৬ কিন্তু ২২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
গত ১১ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আদালত পর্যবেক্ষণে (মতামত) বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। পুলিশ যেন ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়।
এটাকে সম্পূর্ণ বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং বিচারকদের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচারকের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, একই সঙ্গে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হয় পরদিন। এরপর বিচারককে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
আলোচিত এই মামলার লিখিত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ‘ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা করা যাবে না’ বলে বিচারকের যে মতামত নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে লিখিত রায়ে তা নেই। ৪৯ পৃষ্ঠার লিখিত রায়ে এমন কোনো পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেননি বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করায় আটক আরও ৭৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার...
২ ঘণ্টা আগেভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আব্দুস সবুর মণ্ডল ছিলেন একজন প্রভাবশালী ও আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে এবং এটাকে মিডিয়ার বাড়াবাড়ি হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে