নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলে কোনো সময়েই আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদ উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এই কথাটি এখনো আমরা দাবি হিসেবে শুনি। আমি মনে করি, সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলে কোনো সময়েই আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আজ আমরা আনন্দ উৎসাহ নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। আমি চাই, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি আনন্দ উৎসাহ নিয়ে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী উদ্যাপন করতে পারে। সে পথ প্রশস্ত করে যেতে হবে আমাদেরই। আজ আমাদের সকলেরই অঙ্গীকার হোক বিগত দিনের সকল ব্যর্থতা গ্লানি মুছে ফেলে এগিয়ে যাব ঐক্যবদ্ধভাবে।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি-ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তালে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।
জিএম কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা কোনো বিশেষ দলের নিজস্ব সম্পদ নয়। তিনি এ দেশের সব দলের সব মানুষের জাতির পিতা। তাকে কুক্ষিগত করে রাখতে চাইলে তার সর্বজনীন চরিত্রকে খাটো করা হয়। বিশ্বে অনেক দেশে জাতির পিতা আছে। তারা তাদের জাতির পিতাকে যেভাবে সর্বজনীন ভাবে সম্মান দিয়ে রাখে আমাদেরও গোটা জাতির সেভাবে জাতির পিতাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে রাখতে হবে।’
জাপা নেতা বলেন, ‘আজ আমরা এক সুন্দর অসুন্দরের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি। একদিকে উন্নয়নের চাকা এগিয়ে চলছে আর এক দিকে দুর্নীতি আমাদের পিছিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা যার মূলে ছিল শাসকেরা প্রশাসনের মাধ্যমে শাসনের নামে জনগণকে শোষণ করবে। সেটাকে ভেঙে জনগণের নির্বাচিত শাসকেরা প্রশাসনের নিম্নতম ইউনিট পর্যন্ত প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণকে সেবা করবে-শোষণ নয়, সে ব্যবস্থা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘সে উদ্দেশ্যে তিনি মহকুমাকে জেলা করে তার প্রধান করেছিলেন জনপ্রতিনিধিদের। তাঁদের অধীনে প্রশাসনকে ন্যস্ত করে তাঁদের দ্বারা জবাবদিহিমূলক শাসন নিশ্চিত করেছিলেন। এ ব্যবস্থায় কখনই শোষণ হবে না, হবে সেবা। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা ও জেলা পরিষদ প্রবর্তন অনেকটা সে ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর সে ভাবধারা ধরে রাখেনি বা ধরে রাখার কোনো উদ্যোগ নেননি। বর্তমান জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বের পরিবর্তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত। সেখানে সেবার পরিবর্তে শোষণের সুযোগ থাকে। কেননা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে সরাসরি জবাবদিহি করার কোনো ব্যবস্থা নেই। করতে হয় না। এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর ধ্যান ধারণার ব্যত্যয়, বলে মনে করি।’
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার মনে হয়, স্বাধীনতার ৫০ বৎসর অতিক্রান্ত হলেও আজও সম্পূর্ণভাবে তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। না হলে এখনো জনগণকে দাবি করতে হয় নির্বাচন ব্যবস্থা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে। আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা যেটা অভিযোগ পাচ্ছি, আমাদের যারা প্রার্থী তারা সব সময় আমাদের কাছে একটা কথাই বলছেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা চাই না। আমরা যাতে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারি সেই ব্যবস্থা চাই। তার মানে এই ব্যবস্থাটি এখন কাজ করছে না।’
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সংবিধানের ১১৮ এবং ১২৬। ১১৮-এর অধীনে আইন করে একটি কমিটি যারা যোগ্য এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন যেটা আমাদের এখনো করা হয় নাই। এটা করা দরকার। ১২৬ এ আছে নির্বাহী বিভাগে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজন মতো সকল সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। এটি কার্যকর হলে আমি মনে করি নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু করার জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলে কোনো সময়েই আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদ উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এই কথাটি এখনো আমরা দাবি হিসেবে শুনি। আমি মনে করি, সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলে কোনো সময়েই আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আজ আমরা আনন্দ উৎসাহ নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। আমি চাই, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি আনন্দ উৎসাহ নিয়ে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী উদ্যাপন করতে পারে। সে পথ প্রশস্ত করে যেতে হবে আমাদেরই। আজ আমাদের সকলেরই অঙ্গীকার হোক বিগত দিনের সকল ব্যর্থতা গ্লানি মুছে ফেলে এগিয়ে যাব ঐক্যবদ্ধভাবে।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি-ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তালে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।
জিএম কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা কোনো বিশেষ দলের নিজস্ব সম্পদ নয়। তিনি এ দেশের সব দলের সব মানুষের জাতির পিতা। তাকে কুক্ষিগত করে রাখতে চাইলে তার সর্বজনীন চরিত্রকে খাটো করা হয়। বিশ্বে অনেক দেশে জাতির পিতা আছে। তারা তাদের জাতির পিতাকে যেভাবে সর্বজনীন ভাবে সম্মান দিয়ে রাখে আমাদেরও গোটা জাতির সেভাবে জাতির পিতাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে রাখতে হবে।’
জাপা নেতা বলেন, ‘আজ আমরা এক সুন্দর অসুন্দরের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি। একদিকে উন্নয়নের চাকা এগিয়ে চলছে আর এক দিকে দুর্নীতি আমাদের পিছিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা যার মূলে ছিল শাসকেরা প্রশাসনের মাধ্যমে শাসনের নামে জনগণকে শোষণ করবে। সেটাকে ভেঙে জনগণের নির্বাচিত শাসকেরা প্রশাসনের নিম্নতম ইউনিট পর্যন্ত প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণকে সেবা করবে-শোষণ নয়, সে ব্যবস্থা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘সে উদ্দেশ্যে তিনি মহকুমাকে জেলা করে তার প্রধান করেছিলেন জনপ্রতিনিধিদের। তাঁদের অধীনে প্রশাসনকে ন্যস্ত করে তাঁদের দ্বারা জবাবদিহিমূলক শাসন নিশ্চিত করেছিলেন। এ ব্যবস্থায় কখনই শোষণ হবে না, হবে সেবা। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা ও জেলা পরিষদ প্রবর্তন অনেকটা সে ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর সে ভাবধারা ধরে রাখেনি বা ধরে রাখার কোনো উদ্যোগ নেননি। বর্তমান জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বের পরিবর্তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত। সেখানে সেবার পরিবর্তে শোষণের সুযোগ থাকে। কেননা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে সরাসরি জবাবদিহি করার কোনো ব্যবস্থা নেই। করতে হয় না। এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর ধ্যান ধারণার ব্যত্যয়, বলে মনে করি।’
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার মনে হয়, স্বাধীনতার ৫০ বৎসর অতিক্রান্ত হলেও আজও সম্পূর্ণভাবে তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। না হলে এখনো জনগণকে দাবি করতে হয় নির্বাচন ব্যবস্থা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে। আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা যেটা অভিযোগ পাচ্ছি, আমাদের যারা প্রার্থী তারা সব সময় আমাদের কাছে একটা কথাই বলছেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা চাই না। আমরা যাতে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারি সেই ব্যবস্থা চাই। তার মানে এই ব্যবস্থাটি এখন কাজ করছে না।’
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সংবিধানের ১১৮ এবং ১২৬। ১১৮-এর অধীনে আইন করে একটি কমিটি যারা যোগ্য এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন যেটা আমাদের এখনো করা হয় নাই। এটা করা দরকার। ১২৬ এ আছে নির্বাহী বিভাগে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজন মতো সকল সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। এটি কার্যকর হলে আমি মনে করি নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু করার জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৪ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৬ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে