এসএম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। একইভাবে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগও রাষ্ট্রপতি দেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৯ বছরেও কোনো সরকার এই দুটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে আইন করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব সরকারই আইন করার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে চায় বলে আইন করেনি। তাই যোগ্যতর ব্যক্তি বাছাইয়ের স্বার্থে বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করা জরুরি।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতেই এই নিয়োগ হতে পারে। একইভাবে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় এই দুই প্রতিষ্ঠানে সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগে আইন প্রণয়নের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ২(ক)-তে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। (খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর বিচার বিভাগীয় পদে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং (গ)-তে বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে তিনি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। কিন্তু ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করবে কে? যোগ্যতা নির্ধারণে যে আইন করার কথা বলা হয়েছে, এত বছরেও সেই আইন-ই তৈরি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমি মনে করি, আর দেরি নয়, দ্রুত আইন করা উচিত।’
জানা যায়, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী রিট করেছিলেন। ওই বছরের ৬ জুন ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি করে রায়ও দেন আদালত, যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২০১৭ সালের ২৩ মে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদ তুলে ধরে রায়ে বিচারপতি নিয়োগে যোগ্যতার বিষয়ে সাত দফা পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে কোনো ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ৪৫ বছর হতে হবে। বিচারকদের ক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারিক অভিজ্ঞতা কমপক্ষে তিন বছর হতে হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর আস্থা থাকতে হবে। সুপারিশ করা ব্যক্তির শিক্ষাজীবনে দারুণ ফল, সমৃদ্ধ পেশাগত দক্ষতা, আইনগত বিচক্ষণতা ও একাগ্রতা থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন
একইভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনেও আইন করার কথা বলা আছে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে। ১১৮-এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।
২০১১ সালে শামসুল হুদা কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে ইসি নিয়োগে একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছিল। তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেই খসড়া আর এগোয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমার সময় নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া করেছিল। সংবিধানকে কার্যকর করতে হলে সেখানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে করতে হবে।’ দ্রুতই বিচারপতি ও ইসি নিয়োগে আইন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার কথা বললেও কবে নাগাদ হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। সম্প্রতি আইন প্রণয়নের পর নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনই এটি করা সম্ভব নয়।
যদিও গত ২৫ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলি খান ও রাশেদা কে চৌধুরীসহ ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছিল। সেটি রাজনৈতিক কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাই এখন সংবিধান অনুযায়ী আইন করে ইসি গঠনের বিকল্প নেই।’
আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সাধারণত যারা সরকারে থাকে তাদের ভয় থাকে, আইন করে ফেললে কিছুটা হলেও হাত-পা বাঁধা হয়ে যাবে। এ জন্যই তারা আইন করতে চায় না।’
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। একইভাবে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগও রাষ্ট্রপতি দেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৯ বছরেও কোনো সরকার এই দুটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে আইন করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব সরকারই আইন করার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে চায় বলে আইন করেনি। তাই যোগ্যতর ব্যক্তি বাছাইয়ের স্বার্থে বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করা জরুরি।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতেই এই নিয়োগ হতে পারে। একইভাবে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় এই দুই প্রতিষ্ঠানে সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগে আইন প্রণয়নের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ২(ক)-তে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। (খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর বিচার বিভাগীয় পদে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং (গ)-তে বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে তিনি নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। কিন্তু ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করবে কে? যোগ্যতা নির্ধারণে যে আইন করার কথা বলা হয়েছে, এত বছরেও সেই আইন-ই তৈরি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমি মনে করি, আর দেরি নয়, দ্রুত আইন করা উচিত।’
জানা যায়, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী রিট করেছিলেন। ওই বছরের ৬ জুন ওই রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি করে রায়ও দেন আদালত, যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২০১৭ সালের ২৩ মে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদ তুলে ধরে রায়ে বিচারপতি নিয়োগে যোগ্যতার বিষয়ে সাত দফা পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে কোনো ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ৪৫ বছর হতে হবে। বিচারকদের ক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারিক অভিজ্ঞতা কমপক্ষে তিন বছর হতে হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর আস্থা থাকতে হবে। সুপারিশ করা ব্যক্তির শিক্ষাজীবনে দারুণ ফল, সমৃদ্ধ পেশাগত দক্ষতা, আইনগত বিচক্ষণতা ও একাগ্রতা থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন
একইভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনেও আইন করার কথা বলা আছে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে। ১১৮-এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।
২০১১ সালে শামসুল হুদা কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে ইসি নিয়োগে একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছিল। তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেই খসড়া আর এগোয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমার সময় নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া করেছিল। সংবিধানকে কার্যকর করতে হলে সেখানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে করতে হবে।’ দ্রুতই বিচারপতি ও ইসি নিয়োগে আইন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার কথা বললেও কবে নাগাদ হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। সম্প্রতি আইন প্রণয়নের পর নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনই এটি করা সম্ভব নয়।
যদিও গত ২৫ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলি খান ও রাশেদা কে চৌধুরীসহ ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছিল। সেটি রাজনৈতিক কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাই এখন সংবিধান অনুযায়ী আইন করে ইসি গঠনের বিকল্প নেই।’
আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সাধারণত যারা সরকারে থাকে তাদের ভয় থাকে, আইন করে ফেললে কিছুটা হলেও হাত-পা বাঁধা হয়ে যাবে। এ জন্যই তারা আইন করতে চায় না।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৪ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৬ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে